HTML баннеры

শনিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১২

পিভট পয়েন্ট

পিভট পয়েন্ট কি?


বাই-সেল সিগন্যাল নির্ধারণ করার জন্য পিভট পয়েন্ট ফরেক্সে অনেক জনপ্রিয় একটি মেথড। রিভার্সাল পয়েন্ট (যেখানে গিয়ে প্রাইস বিপরীত দিকে ফিরে আসে) চিহ্নিত করার জন্য ট্রেডাররা পিভট পয়েন্ট ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে।

পিভট পয়েন্টে চার্টটিকে কয়েকটি সেকশনে ভাগ করা হয়। মাঝের পয়েন্টটি হল পিভট পয়েন্ট (PP)। পিভট পয়েন্টের ওপরে প্রাইস থাকলে মার্কেট বুল্লিশ (মার্কেটের গতিবিধি ঊর্ধ্বমুখী) এবং পিভট পয়েন্টের নিচে প্রাইস থাকলে মার্কেট বিয়ারিশ (মার্কেটের গতিবিধি নিম্নমুখী)। R1, R2 এবং R3 হল রেসিসট্যান্স লেভেল এবং পিভট পয়েন্টের (PP) অপরে থাকে। S1, S2 এবং S3 হল সাপোর্ট লেভেল এবং পিভট পয়েন্টের (PP) নিচে থাকে।


এখানে,

      PP = Pivot point (পিভট পয়েন্ট)
      S = Support (সাপোর্ট)
      R = Resistance (রেসিসট্যান্স)

কিভাবে পিভট পয়েন্ট হিসাব করা হয়ঃ



পিভট পয়েন্টের ক্ষেত্রেঃ


High = গতকাল প্রাইস সর্বোচ্চ যে প্রাইসে গিয়েছে
Low = গতকাল প্রাইস সর্বনিম্ন যে প্রাইসে গিয়েছে
Close = গতকাল মার্কেট যে প্রাইসে ক্লোজ হয়েছে

ক্যালকুলেশনঃ

R3 = High + 2 x (PP – Low)
R2 = PP + (High – Low) = PP + (R1 – S1)
R1 = (PP x 2) – Low
PP = (High + Low + Close) / 3
S1 = (PP x 2) – High
S2 = PP – (High – Low) = PP – (R1 – S1)
S3 = Low – 2 x (High – PP)




আপনি এখন কষ্ট করে High, low এবং close বের করে পিভট পয়েন্ট বের করতে পারেন। অথবা পিভট পয়েন্ট ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে High, low এবং close সহজেই ডাটাগুলো বের করে নিতে পারেন। এছাড়া কিছু পিভট ইন্ডিকেটর রয়েছে, যেগুলো আপনার চার্টেই পিভট পয়েন্ট দেখিয়ে দেবে। এজন্য ইন্ডিকেটর বিভাগটি দেখুন।





কিভাবে পিভট পয়েন্ট ব্যবহার করে ট্রেড করবেনঃ


ব্রেকআউট ট্রেডিং

ব্রেকআউট হলে আপনি যেভাবে ট্রেড করেন, এখানেও তা ঠিক সেভাবেই কাজ করবে। প্রাইস যদি পিভট লাইনকে ক্রস করে এবং সেদিকে ক্লোজ হয়, তবে সাধারনত প্রাইস সেদিকেই যেতে থাকে। নিচের চার্টটি দেখুনঃ



সবুজ জায়গাটি বোঝাচ্ছে যে প্রাইস প্রথমে পিভট পয়েন্টের নিচে ছিল এবং সবুজ জায়গা থেকে পিভট লাইন অতিক্রম করে ওপরের দিকে উঠেছে।

যখন পিভট লাইন ভেঙ্গে যায়, তার মানে হল যে প্রাইস এখন সেদিকে যেতে শুরু করবে। ব্রেকআউট ট্রেড করার উপায় হল, ব্রেক হবার পরেই সেই দিকে ট্রেড ওপেন করা। আপনি যখন ট্রেড ওপেন করবেন, তখন আপনি ব্রোকেন লাইনের ঠিক বিপরীতে স্টপ লস সেট করবেন এবং টেক প্রফিট হবে পরবর্তী লাইন।


ওপরের চার্টটি দেখুন। ট্রেড ওপেন করা হয়েছিল ২.০৫৫০ (সবুজ লাইন) প্রাইসে। স্টপ লস সেট করতে হবে ১.০৫৩৫ এ পিভট পয়েন্টের (লাল লাইন) নিচে। আপনার টেক প্রফিট হবে ১.০৫৯৪ এর R1 এর আশেপাশে।

এই ট্রেডটি মাত্র ৪০ পিপসের ছিল। খুব বেশী উত্তেজিত হবার কোন কারন নেই। কারন এগুলো সবসময় কাজ করে না। টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের অন্য কোন কিছুর সাথে আপনি এটাকে কাজে লাগিয়ে আপনি আরেকটু নিশ্চিত হতে পারনে যে আপনি ভুল ট্রেড করতে যাচ্ছেন না।

রেঞ্জ বাউন্ড ট্রেডিং

রেঞ্জ বাউন্ড ট্রেডিং হল যখন প্রাইস ২টি পিভট পয়েন্টের মধ্যে আঁটকে থাকে, অর্থাৎ ২টি লাইনের মধ্যেই বারবার ঘুরতে থাকে। নিচের চার্টটি দেখুনঃ



যতবার প্রাইস পিভট পয়েন্টকে হিট করে, কিন্তু ব্রেক না করে ফিরে যায়, পিভট পয়েন্ট তত শক্তিশালী হয়। যদি প্রাইস দিনে কোন পিভট পয়েন্টকে ৫ বার হিট করে, কিন্তু ব্রেক না করে, তবে বুঝতে হবে পিভট পয়েন্টটি অনেক শক্তিশালী। কিন্তু প্রাইস যদি পিভট পয়েন্টকে ১ বার হিত করে, তবে রেঞ্জ বাউন্ড ট্রেডিং ট্রেডিং করার জন্য আপনি আরও ১ বার ঐ পিভট পয়েন্ট হিট করার জন্য অপেক্ষা করতে পারেন।

আপনি যদি কোন চার্ট দেখতে থাকেন এবং দেখেন যে প্রাইস কমপক্ষে ২ বার পিভট পয়েন্টকে হিট করেছে কিন্তু ব্রেক না করে বিপরীত দিকে ফিরে গেছে, তাহলে আপনি রেঞ্জ বাউন্ড ট্রেডিং করার কথা ভাবতে পারেন।
facebook এ লাইক করুন এই পেজ টি Friends And Company
যেকোন সোময় account খুলতে এখানে ক্লিক করুন
প্রতিটি রিয়াল অ্যাকাউন্ট এর জন্য Frinds And Company আপনাদের দিচ্ছে আতিরিক্ত ৩০ ডলার gift.
আপনার Gift পেতে অ্যাকাউন্ট খোলার আগে যোগাযোগ করুন ফোন অথবা Skype তে ।
ফোন করুন এই নম্বরে +৮৮০১৯১৮-৭১৭৩৮৭
Skype তে অ্যাড করুন tushar.jee

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন