HTML баннеры

সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৪

Parabolic Sar

অধিকাংশ ইন্ডিকেটর আপনাকে নতুন ট্রেন্ড শুরু হবার সিগন্যাল দেয়। নতুন ট্রেন্ড চিহ্নিত করা যেমন
জরুরি, তেমনি ট্রেন্ডের সমাপ্তি চিহ্নিত করাটাও ততটা জরুরী। যদি সঠিক সময়ে ট্রেড ক্লোজ
না করা হয় তবে সঠিক সময়ে ট্রেড ওপেন করে খুব একটা লাভ নেই।




Parabolic SAR (Stop And Reversal) ইন্ডিকেটরটি ট্রেন্ড কখন শেষ
হতে পারে সে সম্পর্কে ধারনা পেতে আমাদের সাহায্য করে। Parabolic Sar চার্টে ডট অথবা পয়েন্টের
সাহায্যে ট্রেন্ডের পরিবর্তন নির্দেশ করে।
কিভাবে Parabolic SAR এর সাহায্যে ট্রেড করবেনঃ
Parabolic SAR খুব সহজ এবং সাধারন একটি ইন্ডিকেটর। যখন ক্যানডেলের নিচে ডট আসে, তখন তা বাই
সিগন্যাল বোঝায়। আর যখন ক্যানডেলের ওপরে ডট আসে তখন তা সেল সিগন্যাল বোঝায়।






ট্রেন্ডিং মার্কেটে এই ইন্ডিকেটরটি অনেক ভাল কাজ করবে। কিন্তু মার্কেট যখন
সাইডওয়ে ট্রেন্ডে থাকে, তখন আপনি ভাল ফল পাবেন না।
কিভাবে Parabolic Sar এর সাহায্যে ট্রেড ক্লোজ করবেনঃ
কখন আপনার ট্রেড ক্লোজ করা উচিত তা আপনি Parabolic Sar এর সাহায্যে বুঝতে পারেন। নিচের EURUSD
চার্টে দেখুন Parabolic Sar exit সিগন্যাল হিসেবে কাজ করেছে ডেইলি চার্টে।





৩ টি ডট দেখলেই আপনি আপনার পূর্বের ট্রেড ক্লোজ করে নতুন ট্রেন্ডের দিকে নতুন ট্রেড ওপেন
করতে পারেন।

রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৪


মার্কেট ভোলাটিলিটি অনুধাবন করার জন্য Bollinger Bands ইন্ডিকেটরটি ব্যবহার করা হয়।
এই ছোট টুলসটি আমাদের বলে দিবে যে মার্কেট কি এখন শান্ত না অশান্ত। যখন মার্কেট শান্ত
থাকে তখন ব্যান্ড ২টি সংকুচিত হয়ে যায়, আর যখন মার্কেট অশান্ত থাকে তখন ব্যান্ড ২টি প্রশস্ত
হয়ে যায়।
নিচের চার্টটি দেখুন। যখন মার্কেট শান্ত ছিল, তখন ব্যান্ড ২টি কাছাকাছি ছিল। কিন্তু যখন প্রাইস খুব
দ্রুত বেড়ে গেছে অর্থাৎ মার্কেট অশান্ত হয়ে গেছে, তখন ব্যান্ড ২টি দূরে সরে গেছে।









Bollinger Bounce:
Bollinger Bands সম্পর্কে একটি ব্যাপার আপনার জেনে রাখা দরকার যে প্রাইস অধিকাংশ সময় ব্যান্ডের
মাঝখানে ফিরে আসে। এটাই হল Bollinger Bounce এর আসল আইডিয়া। নিচের
চার্টটি দেখে কি আপনি বলতে পারেন যে প্রাইস পরবর্তীতে কোথায় যেতে পারে?









এখন আপনি যদি বলে থাকেন যে দাম কমবে তাহলে আপনার উত্তর সঠিক। নিচের
চার্টে আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে প্রাইস কমে গেছে এবং প্রাইস ব্যান্ড ২টির
মাঝখানে চলে এসেছে।




আপনি এখন যেটা দেখলেন সেটা হল Bollinger Bounce. এরকম বাউন্স হবার কারন হল Bollinger bands এর ব্যান্ড
২টি ডাইনামিক সাপোর্ট এবং রেসিসট্যান্স লেভেল হিসেবে কাজ করে।
আপনি যত বড় টাইমফ্রেম ব্যবহার করবেন, ব্যান্ডগুলো তত শক্তিশালি হবে। মার্কেট যখন একটি নির্দিষ্ট
রেঞ্জের মধ্যে ঘোরাফেরা করে এবং কোন নির্দিষ্ট ট্রেন্ড থাকে না, তখন এই স্ট্রাটেজীটি ভাল
কাজ করে।
Bollinger Squeeze:
যখন ব্যান্ড ২টি খুব বেশি সংকুচিত হয়ে যায় তখন এটি সাধারনত নির্দেশ করে যে সম্ভবত ব্রেকআউট
হতে যাচ্ছে।




যদি ক্যানডেল ওপরের ব্যান্ডটিকে ব্রেক করে ওপরে উঠে যায় তবে সাধারনত প্রাইস আরও
ওপরে উঠতে থাকে অর্থাৎ প্রাইস বাড়তে থাকে। আর যদি ক্যানডেল নিচের ব্যান্ডটিকে ব্রেক
করে নিচে নামতে থাকে, তাহলে প্রাইস আরও নিচে নামতে থাকে অর্থাৎ প্রাইস কমতে থাকে।
ওপরের চার্টটি দেখুন। ব্যান্ড ২টি সংকুচিত হয়ে আসছে। প্রাইস ওপরের ব্যান্ডটি ব্রেক
করে ওপরে উঠে যাচ্ছে। এই চার্টের ওপর ভিত্তি করে আপনি কি মনে করেন প্রাইস
কি বাড়বে না কমবে?







আপনি যদি বলে থাকেন যে প্রাইস বাড়বে তাহলে আপনি সঠিক। এভাবেই সাধারন Bollinger Squeeze




কাজ করে।
এরকম ট্রেডের সুযোগ আপনি প্রতিদিন পাবেন না। কিন্তু ১৫ মিনিটের
চার্টে আপনি সপ্তাহে কয়েকবার এরকম ট্রেডের সুযোগ পেতে পারেন।
Bollinger bands দিয়ে বিভিন্ন ভাবে ট্রেড করা যায়। কিন্তু এই ২টি হল Bollinger Bands দিয়ে ট্রেড করার
সবচেয়ে সহজ এবং সাধারণ ট্রেডিং স্ট্রাটেজী।