HTML баннеры

রবিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১২

ইন্ডিকেটর

ইন্ডিকেটর কি?

ইন্ডিকেটর এক ধরনের নির্দেশক, যা আপনাকে প্রাইস বাড়বে কি কমবে নির্দেশ করে। যদি আপনার অজানা থাকে যে প্রাইস কি বাড়তে পারে কিংবা কমতে পারে, তবে ইন্ডিকেটর আপনাকে সে ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। এটা বিভিন্ন সিগন্যাল দেখায় যার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে পরবর্তীতে প্রাইস বাড়বে না কমবে এবং সে অনুসারে ট্রেড করতে পারেন। এছাড়া অনেক ইন্ডিকেটর মার্কেট ট্রেন্ড বুঝতেও আপনাকে সাহায্য করবে।
মনে রাখবেন ইন্ডিকেটর কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট ফর্মুলা দিয়ে কাজ করে। তাই আপনি যে সব সময় সঠিক সিগন্যাল পাবেন তা নয়। অনেক সময় ভুল সিগন্যাল আসতে পারে। আবার ফান্ডামেন্টাল নিউজের কারনে ইন্ডিকেটরের সিগন্যাল অনেক সময় কাজ করবে না। তাই অন্ধভাবে ইন্ডিকেটর অনুসরন না করে নিজের অ্যানালাইসিসকে এর সাথে কাজে লাগিয়ে ট্রেড করুন।
অনেক ইন্ডিকেটর রয়েছে। মেটাট্রেডারে ডিফল্টভাবে কিছু ইন্ডিকেটর দেয়া থাকে। যেমনঃ Bollinger Bands, Moving Average, parabolic Sar ইত্যাদি। এছাড়াও অনলাইনে হাজার হাজার ইন্ডিকেটর ফ্রি পাওয়া যায়। আপনি সেগুলো মেটাট্রেডারে যোগ করে নিতে পারবেন। গুগলে Forex indicator লিখে সার্চ করলেই অনেক ইন্ডিকেটর পাবেন। এছাড়া বিডিপিপসের "ফরেক্স ইন্ডিকেটর" সেকশনে অনেক ইন্ডিকেটর রয়েছে। যেকোনো ইন্ডিকেটর প্রথমে ডেমোতে টেস্ট করে দেখুন। ফলাফল ভাল লাগলে তারপর রিয়েল ট্রেডে ব্যবহার করুন।


ফরেক্সে প্রফিট করার অনেক উপায় রয়েছে। আর আপনি যখন ইন্ডিকেটর নিয়ে কাজ করবেন, এরা আপনার ট্রেডিং টুলবক্সে একেকটি ভিন্ন ভিন্ন টুলস হিসেবে কাজ করবে। আপনার হয়তো ইন্ডিকেটর ব্যবহার করার প্রয়োজন নাও থাকতে পারে, কারন হয়ত আপনি নিজেই অনেক ভাল মার্কেট অ্যানালাইসিস করতে পারেন অথবা আপনার আগে থেকেই পছন্দের ইন্ডিকেটর রয়েছে। কিন্তু নতুন নতুন টুলস আপনার ট্রেডিংকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং আপনি আরও ভালভাবে অ্যানালাইসিস করতে সক্ষম হবেন। কিন্তু খুব বেশি ইন্ডিকেটর ব্যবহার না করাই ভাল। ভিন্ন ভিন্ন ইন্ডিকেটর হয়তো আপনাকে আরও দ্বিধাগ্রস্থ করে তুলবে।


আমরা এখানে যেসব ইন্ডিকেটর নিয়ে আলোচনা করব তা হলঃ

Bollinger Bands
Moving Average
RSI
ADX
Parabolic Sar
Stochastic

আরও অনেক ইন্ডিকেটর রয়েছে। ভবিষ্যতে বিডিপিপস ফরেক্স স্কুলে আর নতুন নতুন ইন্ডিকেটর যুক্ত করা হবে।

শুধুমাত্র একটি ইন্ডিকেটর কখনো অন্ধভাবে অনুসরণ করবেন না। কমপক্ষে ২-৩ টি ইন্ডিকেটর দেখে অ্যানালাইসিস করে ট্রেডের প্রস্তুতি নিন। ইন্ডিকেটর অনেক সময় ভুল সিগন্যাল দেয়।
facebook এ লাইক করুন এই পেজ টি Friends And Company
যেকোন সোময় account খুলতে এখানে ক্লিক করুন
প্রতিটি রিয়াল অ্যাকাউন্ট এর জন্য Frinds And Company আপনাদের দিচ্ছে আতিরিক্ত ৩০ ডলার gift.
আপনার Gift পেতে অ্যাকাউন্ট খোলার আগে যোগাযোগ করুন ফোন অথবা Skype তে ।
ফোন করুন এই নম্বরে +৮৮০১৯১৮-৭১৭৩৮৭
Skype তে অ্যাড করুন tushar.jee

শনিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১২

পিভট পয়েন্ট

পিভট পয়েন্ট কি?


বাই-সেল সিগন্যাল নির্ধারণ করার জন্য পিভট পয়েন্ট ফরেক্সে অনেক জনপ্রিয় একটি মেথড। রিভার্সাল পয়েন্ট (যেখানে গিয়ে প্রাইস বিপরীত দিকে ফিরে আসে) চিহ্নিত করার জন্য ট্রেডাররা পিভট পয়েন্ট ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে।

পিভট পয়েন্টে চার্টটিকে কয়েকটি সেকশনে ভাগ করা হয়। মাঝের পয়েন্টটি হল পিভট পয়েন্ট (PP)। পিভট পয়েন্টের ওপরে প্রাইস থাকলে মার্কেট বুল্লিশ (মার্কেটের গতিবিধি ঊর্ধ্বমুখী) এবং পিভট পয়েন্টের নিচে প্রাইস থাকলে মার্কেট বিয়ারিশ (মার্কেটের গতিবিধি নিম্নমুখী)। R1, R2 এবং R3 হল রেসিসট্যান্স লেভেল এবং পিভট পয়েন্টের (PP) অপরে থাকে। S1, S2 এবং S3 হল সাপোর্ট লেভেল এবং পিভট পয়েন্টের (PP) নিচে থাকে।


এখানে,

      PP = Pivot point (পিভট পয়েন্ট)
      S = Support (সাপোর্ট)
      R = Resistance (রেসিসট্যান্স)

কিভাবে পিভট পয়েন্ট হিসাব করা হয়ঃ



পিভট পয়েন্টের ক্ষেত্রেঃ


High = গতকাল প্রাইস সর্বোচ্চ যে প্রাইসে গিয়েছে
Low = গতকাল প্রাইস সর্বনিম্ন যে প্রাইসে গিয়েছে
Close = গতকাল মার্কেট যে প্রাইসে ক্লোজ হয়েছে

ক্যালকুলেশনঃ

R3 = High + 2 x (PP – Low)
R2 = PP + (High – Low) = PP + (R1 – S1)
R1 = (PP x 2) – Low
PP = (High + Low + Close) / 3
S1 = (PP x 2) – High
S2 = PP – (High – Low) = PP – (R1 – S1)
S3 = Low – 2 x (High – PP)




আপনি এখন কষ্ট করে High, low এবং close বের করে পিভট পয়েন্ট বের করতে পারেন। অথবা পিভট পয়েন্ট ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে High, low এবং close সহজেই ডাটাগুলো বের করে নিতে পারেন। এছাড়া কিছু পিভট ইন্ডিকেটর রয়েছে, যেগুলো আপনার চার্টেই পিভট পয়েন্ট দেখিয়ে দেবে। এজন্য ইন্ডিকেটর বিভাগটি দেখুন।





কিভাবে পিভট পয়েন্ট ব্যবহার করে ট্রেড করবেনঃ


ব্রেকআউট ট্রেডিং

ব্রেকআউট হলে আপনি যেভাবে ট্রেড করেন, এখানেও তা ঠিক সেভাবেই কাজ করবে। প্রাইস যদি পিভট লাইনকে ক্রস করে এবং সেদিকে ক্লোজ হয়, তবে সাধারনত প্রাইস সেদিকেই যেতে থাকে। নিচের চার্টটি দেখুনঃ



সবুজ জায়গাটি বোঝাচ্ছে যে প্রাইস প্রথমে পিভট পয়েন্টের নিচে ছিল এবং সবুজ জায়গা থেকে পিভট লাইন অতিক্রম করে ওপরের দিকে উঠেছে।

যখন পিভট লাইন ভেঙ্গে যায়, তার মানে হল যে প্রাইস এখন সেদিকে যেতে শুরু করবে। ব্রেকআউট ট্রেড করার উপায় হল, ব্রেক হবার পরেই সেই দিকে ট্রেড ওপেন করা। আপনি যখন ট্রেড ওপেন করবেন, তখন আপনি ব্রোকেন লাইনের ঠিক বিপরীতে স্টপ লস সেট করবেন এবং টেক প্রফিট হবে পরবর্তী লাইন।


ওপরের চার্টটি দেখুন। ট্রেড ওপেন করা হয়েছিল ২.০৫৫০ (সবুজ লাইন) প্রাইসে। স্টপ লস সেট করতে হবে ১.০৫৩৫ এ পিভট পয়েন্টের (লাল লাইন) নিচে। আপনার টেক প্রফিট হবে ১.০৫৯৪ এর R1 এর আশেপাশে।

এই ট্রেডটি মাত্র ৪০ পিপসের ছিল। খুব বেশী উত্তেজিত হবার কোন কারন নেই। কারন এগুলো সবসময় কাজ করে না। টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের অন্য কোন কিছুর সাথে আপনি এটাকে কাজে লাগিয়ে আপনি আরেকটু নিশ্চিত হতে পারনে যে আপনি ভুল ট্রেড করতে যাচ্ছেন না।

রেঞ্জ বাউন্ড ট্রেডিং

রেঞ্জ বাউন্ড ট্রেডিং হল যখন প্রাইস ২টি পিভট পয়েন্টের মধ্যে আঁটকে থাকে, অর্থাৎ ২টি লাইনের মধ্যেই বারবার ঘুরতে থাকে। নিচের চার্টটি দেখুনঃ



যতবার প্রাইস পিভট পয়েন্টকে হিট করে, কিন্তু ব্রেক না করে ফিরে যায়, পিভট পয়েন্ট তত শক্তিশালী হয়। যদি প্রাইস দিনে কোন পিভট পয়েন্টকে ৫ বার হিট করে, কিন্তু ব্রেক না করে, তবে বুঝতে হবে পিভট পয়েন্টটি অনেক শক্তিশালী। কিন্তু প্রাইস যদি পিভট পয়েন্টকে ১ বার হিত করে, তবে রেঞ্জ বাউন্ড ট্রেডিং ট্রেডিং করার জন্য আপনি আরও ১ বার ঐ পিভট পয়েন্ট হিট করার জন্য অপেক্ষা করতে পারেন।

আপনি যদি কোন চার্ট দেখতে থাকেন এবং দেখেন যে প্রাইস কমপক্ষে ২ বার পিভট পয়েন্টকে হিট করেছে কিন্তু ব্রেক না করে বিপরীত দিকে ফিরে গেছে, তাহলে আপনি রেঞ্জ বাউন্ড ট্রেডিং করার কথা ভাবতে পারেন।
facebook এ লাইক করুন এই পেজ টি Friends And Company
যেকোন সোময় account খুলতে এখানে ক্লিক করুন
প্রতিটি রিয়াল অ্যাকাউন্ট এর জন্য Frinds And Company আপনাদের দিচ্ছে আতিরিক্ত ৩০ ডলার gift.
আপনার Gift পেতে অ্যাকাউন্ট খোলার আগে যোগাযোগ করুন ফোন অথবা Skype তে ।
ফোন করুন এই নম্বরে +৮৮০১৯১৮-৭১৭৩৮৭
Skype তে অ্যাড করুন tushar.jee

চ্যানেল

আমরা এখানে চ্যানেল আই, বিটিভি কিংবা কার্টুন নেটওয়ার্ক চ্যানেল নিয়ে আলোচনা করব না। আমরা যদি ট্রেন্ড লাইন থিওরিকে আর এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাই এবং আপট্রেন্ড বা ডাউনট্রেন্ড লাইনের সাথে একই দিকে সমান্তরাল ভাবে আরেকটি লাইন আঁকি, তবে একটি চ্যানেল তৈরি হবে।

চ্যানেল হল টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের আরেকটি টুলস যা বাই বা সেল করার জন্য ভাল প্রাইস নির্ধারণ করতে আমাদের সাহায্য করে।

ঊর্ধ্বমুখী চ্যানেল আঁকার জন্য আপট্রেন্ড লাইনের সমান্তরালে একটি লাইন আঁকতে হবে এবং তা সাম্প্রতিক বটম পয়েন্টগুলোর সাথে কানেক্ট করতে হবে। ট্রেন্ড লাইন আঁকার সময়ই এই লাইনটি আঁকতে হবে।

নিম্নমুখী চ্যানেল আঁকার জন্য ডাউনট্রেন্ড লাইনের সমান্তরালে একটি লাইন আঁকতে হবে এবং তা সাম্প্রতিক টপ পয়েন্টগুলোর সাথে কানেক্ট করতে হবে। ট্রেন্ড লাইন আঁকার সময়ই এই লাইনটি আঁকতে হবে।

যখন প্রাইস নিচের ট্রেন্ড লাইনকে হিট করবে, তখন আপনি বাই করতে পারেন। আর যদি প্রাইস ওপরের ট্রেন্ড লাইনকে হিট করে তবে আপনি সেল করতে পারেন।

চ্যানেল ৩ প্রকারঃ

ঊর্ধ্বমুখী চ্যানেল (higher highs and higher lows)
নিম্নমুখী চ্যানেল (lower highers and lower lows)
সমান্তরাল বা সাইডওয়ে চ্যানেল (ranging)



চ্যানেল সম্পর্কে কিছু জরুরি তথ্যঃ

চ্যানেল আঁকার সময়, দুটি ট্রেন্ড লাইনই সমান্তরাল হতে হবে।
চ্যানেলের নিচের অংশটি বাই জোন এবং ওপরের অংশটি সেল জোন হিসেবে বিবেচিত হয়।
ট্রেন্ড লাইন আঁকার মত চ্যানেল আঁকার সময়েও জোর করে চ্যানেল আঁকার চেষ্টা করবেন না। তাহলে তা ভুল ট্রেডের নির্দেশনা দিতে পারে।


facebook এ লাইক করুন এই পেজ টি Friends And Company
যেকোন সোময় account খুলতে এখানে ক্লিক করুন
প্রতিটি রিয়াল অ্যাকাউন্ট এর জন্য Frinds And Company আপনাদের দিচ্ছে আতিরিক্ত ৩০ ডলার gift.
আপনার Gift পেতে অ্যাকাউন্ট খোলার আগে যোগাযোগ করুন ফোন অথবা Skype তে ।
ফোন করুন এই নম্বরে +৮৮০১৯১৮-৭১৭৩৮৭
Skype তে অ্যাড করুন tushar.jee



শুক্রবার, ২ নভেম্বর, ২০১২

ট্রেন্ড লাইন

টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের সবচেয়ে প্রচলিত এবং জনপ্রিয় একটি টুলস হল ট্রেন্ড লাইন। ট্রেন্ড লাইন সহজেই বোঝা যায়। ট্রেন্ড লাইন যদি সঠিকভাবে আকা যায় তবে তা অন্য যেকোনো মেথড থেকে ভাল ফলাফল দেয়। কিন্তু অধিকাংশ ট্রেডার সঠিকভাবে ট্রেন্ড লাইন আঁকতে পারে না এবং জোর করে ট্রেন্ড লাইন আকে জার ফলে তা কার্যকর হয় না।

ট্রেন্ড লাইন আঁকার জন্য মেটা ট্রেডার এর টুলস থেকে ট্রেন্ড লাইন টুল দিয়ে লাইন টানতে হয়।

লো পয়েন্টগুলো একটি ট্রেন্ড লাইনের মাধ্যমে কানেক্ট করতে হয় এবং হাই পয়েন্টগুলো একটি ট্রেন্ড লাইনের মাধ্যমে কানেক্ট করতে হয়।

যদি কোন ক্যানডেল ট্রেন্ড লাইন ক্রস করে ওপরে বা নিচে চলে যায়, তখন বুঝতে হবে ট্রেন্ড লাইন ব্রেক হয়েছে।

নিচের চার্টটি ফলো করুনঃ

ট্রেন্ড ৩ রকমঃ
আপট্রেন্ড (higher lows)
ডাউনট্রেন্ড (lower high)
সাইডওয়ে ট্রেন্ড (ranging)

আপট্রেন্ডে মার্কেট ঊর্ধ্বমুখী থাকে। তাই আপনি বাই করতে পারবেন। ডাউনট্রেন্ডে মার্কেট নিম্নমুখী থাকে। তাই আপনি সেল করতে পারবেন। সাইডওয়ে ট্রেন্ডে মার্কেট একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে ঘুরতে থাকে। তাই সাইডওয়ে ট্রেন্ডে ট্রেড না করাই ভাল।



ট্রেন্ড লাইন সম্পর্কে কিছু জরুরি তথ্যঃ


অন্তত ২টি টপ (top) অথবা বটম (bottom) পয়েন্ট সংযুক্ত করে ট্রেন্ড লাইন আঁকতে হয়। তবে ৩টি পয়েন্ট হলে ট্রেন্ড লাইন কনফার্ম হয়।
সাপোর্ট এবং রেসিসট্যান্স লাইনের মত যতই প্রাইস ট্রেন্ড লাইনগুলোকে টেস্ট করবে, ট্রেন্ড লাইনগুলো তত শক্তিশালী হবে।
জোর করে ট্রেন্ড লাইন আঁকার চেষ্টা করবেন না যদি। সেক্ষেত্রে তা ভ্যালিড ট্রেন্ড লাইন হবে না।

facebook এ লাইক করুন এই পেজ টি Friends And Company
যেকোন সোময় account খুলতে এখানে ক্লিক করুন
প্রতিটি রিয়াল অ্যাকাউন্ট এর জন্য Frinds And Company আপনাদের দিচ্ছে আতিরিক্ত ৩০ ডলার gift.
আপনার Gift পেতে অ্যাকাউন্ট খোলার আগে যোগাযোগ করুন ফোন অথবা Skype তে ।
ফোন করুন এই নম্বরে +৮৮০১৯১৮-৭১৭৩৮৭
Skype তে অ্যাড করুন  tushar.jee


শুক্রবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১২

টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস

                                     সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স 

আপনি যদি সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স বুঝতে পারেন তবে আপনি বুঝতে পারবেন ফরেক্স মার্কেট কিভাবে কাজ করে।
এই পদ্ধতি আপনাকে সঠিক সময়ে ট্রেড খুলতে এবং ঠিক সময়ে ট্রেড থেকে আপনাকে বের হয়ে আসতে আপনাকে সাহায্য করবে।
বিভিন্নভাবে সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স লেভেল বের করা যায়।

যখন মার্কেট সাপোর্ট লেভেল একবার ব্রেক করে যায়, সাধারণত প্রাইস আরও কমে যায় এবং পরবর্তী রেসিসটেন্স লেভেল তখন সাপোর্ট হিসেবে কাজ করে।
আবার যখন মার্কেট রেসিসটেন্স লেভেল একবার ব্রেক করে যায়, সাধারণত প্রাইস আরও বেড়ে যায় এবং পরবর্তী সাপোর্ট লেভেল তখন রেসিসটেন্স হিসেবে কাজ করে।
তাই সাপোর্ট ব্রেক করলে সেল করা উচিত এবং রেসিসটেন্স ব্রেক করলে বাই করা উচিত।


উপরের ছবিটি দেখুন। এখানে একটি জিগজ্যাগ প্যাটার্ন দেখা যাচ্ছে।
ধরুন মার্কেট আপট্রেন্ডে রয়েছে। এখানে মার্কেট সর্বোচ্চ বাড়ার পর যে প্রাইসে আবার তা কমে যেতে শুরু করে সেটাই রেসিসটেন্স।
অর্থাৎ, বেড়ে যাওয়ার পর সর্বোচ্চ পয়েন্টটিই হল রেসিসটেন্স লেভেল।
আবার কমে সর্বনিম্ন যত নিচে যায়, সেই পয়েন্টটি হল সাপোর্ট লেভেল।
মার্কেট ডাউনট্রেন্ডে থাকলেও একইরকম।

        সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স নির্ধারণ


একটি বিষয় মনে রাখবেন যে সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স কখনও কোন নির্দিষ্ট সংখ্যা নয়। এটি এক ধরনের লেভেল বা এরিয়া।
অনেক সময় চার্ট দেখে মনে হয় যে মার্কেট সাপোর্ট বা রেসিসটেন্স ব্রেক করেছে কিন্তু কিছুক্ষণ পর বোঝা যায় যে মার্কেট আসলে সাপোর্ট বা রেসিসটেন্স ব্রেক হয়নি, মার্কেট শুধুমাত্র টেস্ট করেছে।
ক্যানডেলস্টিক চার্টে এই মার্কেট টেস্টসমূহকে এভাবে দেখান যেতে পারেঃ



চার্টটি দেখুন। দেখা যাচ্ছে মার্কেট ২ বার ১.৪৭০০ সাপোর্ট লেভেল ব্রেক করেছে।
কিন্তু মার্কেট সাথে সাথেই আবার ওপরে উঠে গেছে অর্থাৎ সাপোর্ট লেভেল আসলে ভাঙ্গেনি।
মার্কেট শুধুমাত্র টেস্ট করেছে।

তাহলে কিভাবে বুঝবেন যে সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স লেভেল সত্যিই ব্রেক হয়েছে?



এই প্রশ্নের কোন সঠিক উত্তর নেই।
তবে কেউ কেউ বলে প্রাইস যদি আগের লেভেলে ক্লোজ হয় তবেই সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স ব্রেক হয়েছে বোঝা যায়।
কিন্তু এটা যে সবসময় হয় তা নয়।

নিচের চার্টটি দেখুন। প্রাইস ১.৪৭০০ এর অনেক নিচে গিয়েছে। কিন্তু পরে আবার বেড়ে গিয়েছে।



কিন্তু সাপোর্টটি আসলে ব্রেক হয়নি। এটি এখনও অপরিবর্তিত রয়েছে এবং অনেক শক্তিশালী। এখন যদি আপনি আপনার বাই ট্রেড ক্লোজ করে সেল ট্রেড দিতেন, হয়ত আপনি লসের সম্মুক্ষীণ হতেন।

আপনি যদি প্রতিনিয়ত প্র্যাকটিস করেন তবে আপনি সহজেই সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স নির্ধারণ করতে পারবেন।



সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স সম্পর্কে কিছু তথ্য

যখন মার্কেট রেসিসটেন্স লেভেল একবার ব্রেক করে যায়, পরবর্তী সাপোর্ট লেভেল তখন রেসিসটেন্স হিসেবে কাজ করে। আবার যখন মার্কেট সাপোর্ট লেভেল একবার ব্রেক করে যায়, পরবর্তী রেসিসটেন্স লেভেল তখন সাপোর্ট হিসেবে কাজ করে
মার্কেট সাপোর্ট এবং রেসিসটেন্স লেভেল যত বেশি টেস্ট করে, ঐ সাপোর্ট বা রেসিসটেন্স তত বেশি শক্তিশালী হয়।
facebook এ লাইক করুন এই পেজ টি Friends And Company
যেকোন সোময় account খুলতে এখানে ক্লিক করুন
প্রতিটি রিয়াল অ্যাকাউন্ট এর জন্য Frinds And Company আপনাদের দিচ্ছে আতিরিক্ত ৩০ ডলার gift.
আপনার Gift পেতে অ্যাকাউন্ট খোলার আগে যোগাযোগ করুন ফোন অথবা Skype তে ।
ফোন করুন এই নম্বরে +৮৮০১৯১৮-৭১৭৩৮৭
Skype তে অ্যাড করুন tushar.jee

নিউজ ইম্প্যাক্ট

প্রতিদিন ফরেক্সের অনেক নিউজ, জব রিপোর্ট, স্পিচ প্রকাশিত হয়। এগুলো মার্কেটকে প্রভাবিত করে। তাই অনেকেই এই নিউজগুলো টার্গেট করে ট্রেড করে। কিন্তু আমাদের কি সব নিউজই ট্রেড করা উচিত? সব নিউজের প্রভাব বা ইম্প্যাক্ট সমান নয়। দেখা যাক কি কি ধরনের নিউজ আসে।



ফরেক্সের নিউজের জন্য সবাই প্রধানত FOREXFACTORY.COM অনুসরন করে থাকে। কারন তারা সবচেয়ে ভাল নিউজ প্রকাশ করে থাকে এবং সবার আগে প্রকাশ করে। আপনি সেখানে প্রতিটি নিউজের পাশে ওপরের ৪টি চিহ্নের একটি দেখতে পাবেন। সুতরাং, চিহ্ন দেখলেই আপনি বুঝতে পারবেন ওই নিউজের প্রভাব কি হবে এবং সে অনুসারে ট্রেড করতে পারবেন। হাই ইম্প্যাক্ট নিউজ দ্বারা বোঝায় যে তা মার্কেটে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। মিডিয়াম ইম্প্যাক্ট নিউজগুলোর প্রভাব তুলনামূলক কম হয়। লো ইম্প্যাক্ট নিউজগুলোর প্রভাব একেবারেই কম। সাদা চিহ্ন দিয়ে বোঝায় এই নিউজটি ইকোনমিক নিউজ নয়, যেমন- ব্যাংক হলিডে। যেহেতু লাল হাই ইম্প্যাক্ট এবং কমলা মিডিয়াম ইম্প্যাক্ট নিউজগুলো মার্কেটে বেশী প্রভাব ফেলে, তাই আপনি সেগুলো ট্রেড করতে বা সেগুলো মার্কেটে কি রকম প্রভাব তৈরি করতে পারে তা জেনে রাখতে পারেন।

ওপরের ছবিতে দেখুন। ECB President Trichet Speaks এবং Manufacturing Production m/m এই নিউজ ২টি হাই ইম্প্যাক্ট নিউজ। এগুলো মার্কেটকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করবে। BOJ Monthly Report হল মিডিয়াম ইম্প্যাক্ট নিউজ। Household Confidence এবং Economy Watchers Sentiment হল লো ইম্প্যাক্ট নিউজ, যার প্রভাব মার্কেটে খুব একটা বেশী হবে না।

কোন নিউজ কোন কারেন্সিকে প্রভাবিত করে

প্রতিটি নিউজের সামনে লেখা থাকে নিউজটি কোন কারেন্সির জন্য। যেমনঃ RBA Assist Gov Debelle Speaks নিউজটির রেজাল্ট ভাল বা খারাপ আসলে তা AUD পেয়ারকে প্রভাবিত করবে। আবার French CPI m/m নিউজটির রেজাল্ট EUR পেয়ারকে প্রভাবিত করবে।

                                                       টিপস এন্ড ট্রিকস

কাস্টোমাইজড নিউজ

আপনার যদি Forex Factory তে নির্দিষ্ট কিছু নিউজ দেখতে চান তবে ওপরে কর্নার থেকে "Filter" ক্লিক করে আপনার পছন্দমত কনফিগারেশন থিক করে দিতে পারেন।


নিউজ টাইম

Forex Factory এর সাথে হয়তো আপনার কম্পিউটারের সময় মিলছে না। তাই আপনার নিউজ বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে এবং কখন নিউজটি পাবলিশ হবে বুঝতে পারছেন না। সেক্ষেত্রে Forex Factory এর অপরে বামপাশে কর্নার থেকে বর্তমানে সে সময় দেখাচ্ছে তাতে ক্লিক করুন।

পরবর্তী পেইজে Time Zone: GMT +6 সেট করে "Save Changes" ক্লিক করে বের হয়ে আসুন।



দেখবেন এরপর থেকে বাংলাদেশী সময়ে নিউজ এর সময় দেখাবে।

facebook এ লাইক করুন এই পেজ টি Friends And Company
যেকোন সোময় account খুলতে এখানে ক্লিক করুন
প্রতিটি রিয়াল অ্যাকাউন্ট এর জন্য Frinds And Company আপনাদের দিচ্ছে আতিরিক্ত ৩০ ডলার gift.
আপনার Gift পেতে অ্যাকাউন্ট খোলার আগে যোগাযোগ করুন ফোন অথবা Skype তে ।
ফোন করুন এই নম্বরে +৮৮০১৯১৮-৭১৭৩৮৭
Skype তে অ্যাড করুন tushar.jee

নিউজ কিভাবে বুঝবেন?

ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস করবো। কিন্তু কিছুই তো বুঝিনা। নিউজ দেখে এর প্রাইসের মুভমেন্ট থেকে মেন্টাল হয়ে যাচ্ছি।

ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস - করলেও প্যারালাইসিস, না করলেও প্যারালাইসিস।

আমরা আপনাকে কিছু বেসিক জিনিস বোঝার জন্য সাহায্য করতে পারি।

এই স্ক্রীনশটটি দেখুনঃ
প্রথমে আমরা Formula টি দেখবো।


Halifax HPI m/m এই নিউজের ক্ষেত্রে Formula হলঃ
Actual > Forecast = Good for currency

এখন আমরা জানবো Actual, Forecast এবং Previous কি?

এই স্ক্রীনশটে দেখুন Previous 0.2%. তারমানে হল এর আগে যখন নিউজটি পাবলিশ হয়েছিল, তখন রেসাল্ট (actual) এসেছিল 0.2%.
Forecast দিয়ে বোঝায় এবার ধারনা করা হচ্ছে যে নিউজটির রেসাল্ট 0.5% আসতে পারে। আর Actual হল এবার যে ফলাফল আসবে।
Actual এ এবার যে ফলাফল আসবে, তা পরবর্তী নিউজে Previous হিসেবে গণ্য হবে।

এখন আমরা আবার আমাদের ফরমুলায় ফিরে আসি। এখানে বলা হয়েছে, Actual > Forecast = Good for currency.
এটা GBP বিষয়ক নিউজ। তারমানে এবারের Actual এর ফলাফল Forecast (0.5%) থেকে বেশী হলে তা GBP এর জন্য ভাল।
আর যদি Actual এর ফলাফল Forecast থেকে খারাপ আসে, তবে তা GBP এর জন্য খারাপ।

এখানে এবার Actual এসেছে -1.2%. তারমানে Actual < Forecast. তারমানে Bad for currency (GBP).
সুতরাং, এখানে এই ফরমুলা কাজ করবে,

Actual > Forecast = Good for currency
Actual < Forecast = Bad for currency


এখানে, GBP এর Bad for currency আসায় GBP এর জন্য খারাপ নিউজ। তাই GBP এর পেয়ারগুলোতে এর ইফেক্ট পড়বে। যেমন, GBPUSD কমতে পারে, EURGBP বাড়তে পারে ইত্যাদি। কিন্তু সবসময় যে নিউজ এর ইফেক্ট হয় তা কিন্তু নয়, অনেক সময় বিপরীত ইফেক্টও হয়ে থাকে।
facebook এ লাইক করুন এই পেজ টি Friends And Company
যেকোন সোময় account খুলতে এখানে ক্লিক করুন
প্রতিটি রিয়াল অ্যাকাউন্ট এর জন্য Frinds And Company আপনাদের দিচ্ছে আতিরিক্ত ৩০ ডলার gift.
আপনার Gift পেতে অ্যাকাউন্ট খোলার আগে যোগাযোগ করুন ফোন অথবা Skype তে ।
ফোন করুন এই নম্বরে +৮৮০১৯১৮-৭১৭৩৮৭
Skype তে অ্যাড করুন tushar.jee

ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস

                                                          নিউজ ট্রেডিং


ফরেক্সে প্রায় প্রতিদিনই গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিউজ রিলিজ হয়। আপকামিং নিউজ গুলো বিভিন্ন ব্রোকারের Economic Calender সেকশনে পাওয়া যায়। নিউজ রিলিজ হওয়ার পূর্বে বিভিন্ন প্রতিষ্টান সার্ভে করে কোন নিউজ কিরকম আসতে পারে তার একটা পূর্বাভাষ ভ্যালু (forecast) তৈরি করে। এসব প্রতিষ্টানে bloomberg, cnbc এর মত বড় বড় বিজনেজ নিউজ এজেন্সী থাকে। এই forecast ভ্যালুর চেয়ে actual খারাপ আসা মানে ঐ দেশের ইকোনমি খারাপ করছে , আর ঐ ভ্যালু থেকে ভাল করা মানে ঐ দেশের ইকোনমি ভাল করছে। নিউজ আসার সাথে সাথে প্রাইসের প্রচুর উঠানামা করবে। ফান্ডামেন্টাল থিওরী অনুযায়ী কোন দেশের ইকোনমি ভাল করছে এই খবর আসলে সাথে সাথে ঐ দেশের মুদ্রা বাড়তে থাকবে আবার ঐ দেশের ইকোনমি খারাপ করছে খবর আসলে উল্টা ঘটবে।

যারা স্কালপিং করেন তাদের জন্য নিউজ ট্রেডিং আশীর্বাদস্বরুপ কারণ নিউজ রিলিজ হওয়ার ৫-১০ মিনিটেই ৩০-৫০ পিপস মুভ হতে পারে। সেটা নির্ভর করে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ নিউজ সেটার উপরে।

attachment file এ দেখুন কোন দেশের কোন কোন নিউজে কত পিপ মুভমেন্ট হতে পারে এবং কত টুকু চেঞ্জে নিউজ ফিগার আসলে সেটা ট্রেড করা যায়।
Tradable Figure হচ্ছে ঐ নিউজের forecast থেকে কতটুকু চেঞ্জে actual figure আসলে সেটা ট্রেড করার যোগ্য। মনে রাখবেন উপরের ট্রেডেবল ফিগারটা হচ্ছে একেবারে মডারেট ফিগার। মানে অতটুকু একচুয়াল ভ্যালু চেঞ্জ হলে প্রাইস অবশ্যই মুভ করবে। কিন্তু বাস্তবে ট্রেড করার জন্য অতটুকু চেঞ্জ দরকার হয় না । কিছুটা কম চেঞ্জ হলেও সমস্যা নেই। যেমন us Nonfarm payroll হচ্ছে অনেক স্পর্শকাতর একটা নিউজ। এটার ট্রেডেবল ফিগার দেয়া আছে 70K ডিফারেন্সে। কিন্তু 70K ডিফারেন্স না হয়ে কম হলেও প্রাইস প্রচুর মুভ করবে।

Movement range হচ্ছে কত পিপস মুভ হতে পারে। পক্ষে আসলে প্রাইস বাড়বে আর বিপক্ষে আসলে প্রাইস কমবে।

বিভিন্ন ব্রোকার নিউজ রিলিজের সময় স্প্রেড বাড়িয়ে দেয় কারণ ঐ মুহূর্তে মার্কেটে volatility বেশি থাকে। তাই আপনার একাউন্ট ফিক্সড স্প্রেড না হলে স্প্রেড বেশি দেখলে অবাক হবেন না। Requotes হতে পারে যদি আপনার ব্রোকার market maker হয়। আবার মাঝে মাঝে প্লাটফর্ম হ্যাং হয়ে যেতে পারে। আবার ট্রেড ওপেন হয়ে গেলেও শো না করতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনি পুনরায় ট্রেড ওপেন করে ফেললে পরে দেখবেন ২টা ট্রেড। আবার বাংলাদেশের বিদ্যুতের যে অবস্থা নিউজ রিলিজে ট্রেড ওপেন করার পর যদি বিদ্যূত চলে যায় তাহলে কি করবেন সেটাও ভেবে রাখবেন। কারণ নিউজ রিলিজের পর একচুয়াল ভ্যালু যা আসে তা মাঝে মাঝে সংশোধন হয় যাকে Revise বলে। যেমন ইউএস এর jobless claims আসল প্রচুর। jobless claims প্রচুর আসা মানে আমেরিকায় চাকরি সঙ্কট প্রচুর। মানে আমেরিকার ইকোনমি খারাপ অবস্থায় আছে। আপনি eur/usd বাই দিলেন। পরে revised figure আসল যে আসলে ততটুকু খারাপ নয়। তখন মার্কেট সাথে সাথে ইউ টার্ন করবে। সেসময় আপনাকে স্ক্রিনের সামনে থাকতে হবে যাতে কোন অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা থেকে বাচা যায়। তাই নিউজ ট্রেডিংয়ে হাইয়েস্ট সতর্কতা পালন করবেন।

নিউজ ট্রেডিং রিয়েল একাউন্টে করার আগে ডেমো ট্রেড করে নিবেন market volatility আপনি কতটুকু ভালভাবে handle করতে পারছেন দেখবেন।
facebook এ লাইক করুন এই পেজ টি Friends And Company
যেকোন সোময় account খুলতে এখানে ক্লিক করুন
প্রতিটি রিয়াল অ্যাকাউন্ট এর জন্য Frinds And Company আপনাদের দিচ্ছে আতিরিক্ত ৩০ ডলার gift.
আপনার Gift পেতে অ্যাকাউন্ট খোলার আগে যোগাযোগ করুন ফোন অথবা Skype তে ।
ফোন করুন এই নম্বরে +৮৮০১৯১৮-৭১৭৩৮৭
Skype তে অ্যাড করুন tushar.jee

রবিবার, ২১ অক্টোবর, ২০১২

সেন্টিমেন্টাল অ্যানালাইসিস

প্রত্তেক ট্রেডারের কাছে নিজস্ব মতামত বা ব্যাখ্যা থাকে যে কেন মার্কেট এভাবে মুভ করছে। আমি, আপনি কিংবা পিপস শিকারি মার্কেট সম্পর্কে যা অনুভব করি এবং সে অনুসারে পজিশন নেই, তাই পরবর্তীতে নতুন মার্কেট সেন্টিমেন্ট তৈরি করতে সাহায্য করে। সব ট্রেডারদের ট্রেড মার্কেটে প্রতিফলিত হয়।

তাই আপনি একা যদি কোন ট্রেড সম্পর্কে কিছুই অনুভব করে থাকেন না কেন যে মার্কেট সেইদিকে যাবে, আপনি কখনোই মার্কেটকে আপনার পক্ষে মুভ করাতে পারবেন না। এমনকি আপনার যদি দৃঢ় বিশ্বাস থাকে যে ডলারের দাম বাড়বে, কিন্তু সবাই যদি বিয়ারিশ (সেল) মুডে থাকে, সেখানে আপনি কিছুই করতে পারবেন না।






এটা আপনার ওপর নির্ভর করে আপনি কিভাবে মার্কেট সেন্টিমেন্ট বুঝবেন, এটা বুল্লিশ না বিয়ারিশ। পরবর্তীতে এ সম্পর্কে আরও আলোচনা করা হবে। এটা আপনার ওপরই নির্ভর করে যে আপনি আপনার ট্রেডিং স্ট্রাটেজিতে মার্কেট সেন্টিমেন্টকে যুক্ত করবেন কিনা।

আপনি যদি মার্কেট সেন্টিমেন্টকে উপেক্ষা করতে চান, করতে পারেন। কিন্তু তা আপনার জন্য শুধু লসই বয়ে আনবে।

facebook এ লাইক করুন এই পেজ টি https://www.facebook.com/Friend.and.company
যেকোন সোময় account খুলতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন http://www.liteforex.com/?fid=945130
প্রতিটি রিয়াল অ্যাকাউন্ট এর জন্য Frinds And Company আপনাদের দিচ্ছে আতিরিক্ত ৩০ ডলার gift.
আপনার Gift পেতে অ্যাকাউন্ট খোলার আগে যোগাযোগ করুন ফোন অথবা Skype তে ।
ফোন করুন এই নম্বরে +৮৮০১৯১৮-৭১৭৩৮৭
Skype তে অ্যাড করুন tushar.jee

বৃহস্পতিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১২

টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস

টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসে ট্রেডাররা প্রাইসের মুভমেন্টের ওপর ভিত্তি করে ট্রেড করে।

মুল বিষয় হল একজন ট্রেডার পূর্বের প্রাইস মুভমেন্ট দেখতে পারে, বর্তমানের প্রাইস মুভমেন্ট বুঝতে পারে এবং ভবিষ্যতের প্রাইস কেমন হবে সে সম্পর্কে ধারনা অর্জন করতে পারে।

আপনার চার্টে পূর্বের সকল প্রাইসের মুভমেন্ট চার্ট আকারে দেয়া থাকবে। তাই আপনি চাইলেই পূর্বে কি হয়েছিল তা দেখতে পারবেন। আপনি নিশ্চয়ই শুনেছেন, "ইতিহাস বারবার প্রতিফলিত হয়"?

টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস এমনই। পূর্বে যা ঘটেছিল, আমরা আশা করেতে পারি হয়তো ভবিষ্যতেও তাই ঘটতে পারে। যদি কোন প্রাইস লেভেল পূর্বে সাপোর্ট বা রেসিসটেন্স হিসেবে কাজ করে থাকে, তবে ট্রেডারদের চোখ থাকবে সেই দিকে এবং তারা তার ওপর ভিত্তি করে তাদের ট্রেড করবে।

টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে আমরা একই প্যাটার্ন মেলানোর চেষ্টা করি যা পূর্বে ঘটেছিল। এবং যেহেতু তা পূর্বে ঘটেছিল, তাই আমরা আশা করবো এবারও হয়ত আগের মত একই জিনিস ঘটতে পারে।





কেউ যখন টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস কথাটি বলে, তখন আমাদের মনে সর্বপ্রথম যে কথাটি আসে তা হল চার্ট। টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসে চার্ট ব্যবহার করা হয় কারন চার্টের মাধ্যমেই হিস্টোরিকাল ডাটা সবচেয়ে সহজে উপস্থাপন করা যায়।

আপনি ট্রেন্ড এবং প্যাটার্ন বোঝার জন্য চার্টে পূর্বের ডাটাগুলো দেখতে পারেন যা কিনা আপনাকে কিছু ভাল ট্রেডের সুযোগ এনে দিতে পারে। প্রাইস প্যাটার্ন, ইন্ডিকেটরের সিগন্যাল আপনাকে মার্কেট সম্পর্কে ভাল আইডিয়া পেতে সাহায্য করতে পারে।

টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস বিষয়টা নির্ভর করে আপনি কিভাবে অ্যানালাইসিস করবেন।

জনি এবং রনি হয়তো একই চার্ট এবং ইন্ডিকেটর দেখে অ্যানালাইসিস করবে, কিন্তু তারা হয়তো একই রকম ট্রেডের আইডিয়া পাবে না, ভিন্ন ভিন্ন ট্রেডের আইডিয়া পেতে পারে।

আসল কথা হল আপনাকে টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের মূল কনসেপ্ট ভালভাবে জানতে হবে। আমাদের ফিবোনেসি, বোলিঙ্গার ব্যান্ড, পিভট পয়েন্ট, মুভিং এভারেজ ইত্যাদির কাজ সম্পর্কে জানতে হবে।

এখন হয়তো আপনি ভাবছেন যে ফরেক্স ট্রেডাররা অনেক স্মার্ট। তারা ফিবোনেসি, বোলিঙ্গার ব্যান্ডের মত স্মার্ট নাম জানে। যেহুতু আপনি ফরেক্স ট্রেড শুরু করেছেন, তাই হয়তো আপনি ইতিমধ্যে ফেসবুকে আপনার নাম পরিবর্তন করে এখন ফিবোনেসি তানভীর কিংবা বোলিঙ্গার রাহাত রাখার কথা চিন্তা করা শুরু করে দিয়েছেন।

পরবর্তীতে টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের বিভিন্ন ইন্ডিকেটর, সাপোর্ট-রেসিসটেন্স, পিভট পয়েন্ট ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।


বৃহস্পতিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১২

ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস

অর্থনৈতিক, সামাজিক অথবা রাজনৈতিক ইত্তাদির ওপর ভিত্তি করে যে অ্যানালাইসিস করা হয় তাই ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস।

ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিসে আপনাকে লক্ষ্য করতে হবে যে কোন দেশের অর্থনীতি ভাল করছে এবং কোন দেশের অর্থনীতি খারাপ দিকে যাচ্ছে। বেকারত্বের পরিমান বৃদ্ধি সহ বিভিন্ন ইভেন্ট কিভাবে কেন এবং কিভাবে দেশের অর্থনীতিতে ভুমিকা রাখে এই সকল বিষয় গুলো ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিসে আপনাকে গুরুত্ব দিতে হবে।

কোন দেশের বর্তমান অথবা ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অবস্থা যদি ভাল হয়, তবে ঐ দেশের কারেন্সি শক্তিশালী হবে। একটি দেশের অর্থনীতি যত ভাল হবে, বিদেশি বিনিয়োগকারিরা তত ঐ দেশি বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে। সুতরাং তাদের ঐ দেশের কারেন্সি কিনতে হবে এবং ঐ দেশের কারেন্সির ভ্যালু আরো বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশের অরথনিইতিক অবস্থা যদি আরও ভাল হত তবে আরও বিদেশি বিনিয়গকারি এই দেশে বিনিয়োগ করতে ও ব্যবসা সম্প্রসারন করতে আগ্রহী হত। ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের টাকার ভ্যালু অনেক বেরে জেত। অন্যান্য কারেন্সির ক্ষেত্রেও একই রকম।

এক কথা ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস হলঃ









দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ভাল = কারেন্সির ভ্যালু বেশী

দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা খারাপ = কারেন্সির ভ্যালু কম

ধরা যাক ইউ. এস. ডলার শক্তিশালী হচ্ছে কারন আমেরিকার অর্থনীতি আগের থেকে ভাল করছে। তাহলে তাদের মুদ্রাস্ফীতি (inflation) নিয়ন্ত্রন করার জন্য ইন্টারেস্ট রেট বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে।

অধিক ইন্টারেস্ট রেট ডলার নির্ভর অর্থনৈতিক সম্পদগুলোকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। তাই কেউ যদি ঐসব সম্পদ কিনতে চায় বা বিনিয়োগ করতে চায়, তবে প্রথমে তাদের ডলার কিনতে হবে। আর তার ফলেই ডলারের ভ্যালু বৃদ্ধি পাবে।

পরবর্তীতে ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিসের অন্য আর্টিকেলগুলোতে আপনি জানতে পারবেন বিভিন্ন নিউজ, তাদের ইফেক্ট এবং কিভাবে সেগুলো বুঝে ট্রেড করতে হয় এই সম্পর্কে।   facebook এ লাইক করুন এই পেজ টি https://www.facebook.com/Friend.and.company
যেকোন সোময় account খুলতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন http://www.liteforex.com/?fid=945130
আপনি চাইলে আমাকে কল করতে পারেন এই নম্বরে +৮৮০১৯১৮-৭১৭৩৮৭

মার্কেট অ্যানালাইসিস

প্রাইস বাড়বে কি কমবে তা জানার জন্য আপনাকে অ্যানালাইসিস করতে হবে। অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে আপনি ট্রেড করার সঠিক আইডিয়া পেতে পারেন। অ্যানালাইসিস মূলত ৩ প্রকারঃ

     ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস (Fundamental Analysis)

     টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিস (Technical Analysis)

    সেন্টিমেন্টাল অ্যানালাইসিস (Sentimental Analysis)

আপনি প্রশ্ন করতে পারনে কোন ধরনের অ্যানালাইসিস ভাল? কিন্তু ৩ ধরনের অ্যানালাইসিসই গুরুত্বপূর্ণ।




এটা অনেকটা ৩ পা-ওয়ালা একটি টুলের মত। যদি এর কোন একটি পা ভেঙ্গে যায়, তাহলে টুলটি ভেঙ্গে যাবে এবং আপনিও মাটিতে পড়ে যাবেন। ফরেক্সের ক্ষেত্রেও আপনার কোন একটি অ্যানালাইসিস যদি দুর্বল হয়, তবে তা আপনার ব্যাপক লসের কারন হতে পারে। তাই সব ধরনের অ্যানালাইসিসই জরুরি। facebook এ লাইক করুন এই পেজ টি https://www.facebook.com/Friend.and.company
যেকোন সোময় account খুলতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন http://www.liteforex.com/?fid=945130
আপনি চাইলে আমাকে কল করতে পারেন এই নম্বরে +৮৮০১৯১৮-৭১৭৩৮৭

ধাপ ৫ - অচেতনে যোগ্যতা

এখন আপনি ড্রাইভিং করছেন। প্রতিদিন আপনি আপনার চেয়ারে বসেন এবং ট্রেড করেন। আপনি এখন সব করেন অচেতনভাবে। আপনি এখন অটো পাইলট চালাচ্ছেন। আপনি এখন বড় ট্রেড করছেন । দিনে ২০০ পিপস লাভ করা কিংবা ১ পিপ লাভ করা সমান, কোনটাই আপনার কাছে কোন আনন্দ/উচ্ছাস তৈরি করতে পারে না।

আপনি এখন ফোরামে দেখেন নতুনরা চিৎকার করছে "Go Dollar GO" যেন তারা ঘোড়ার রেসে বাজী ধরেছে , এদের মাঝে আপনি অনেক বছর আগের নিজেকে ফিরে পান।

এটা হল ট্রেডিং এর কল্পনারাজ্য। আপনি আপনার অনুভুতি আয়ত্ত করেছেন, এবং আপনি এখন এমন একজন ট্রেডার যার একাউন্ট প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

আপনি এখন ট্রেডিং চ্যাট রুমের স্টার এবং অন্যান্য ট্রেডাররা আপনি কি বলছেন সেটা শোনে। আপনি তাদের প্রশ্নের মাঝে অনেক বছর আগের নিজের করা প্রশ্নগুলোই ফিরে পান। আপনি আপনার মত উপদেশ দিতে থাকেন, কিন্তু জানেন কেউ আপনার উপদেশ শুনবে না, কারণ তারা বেশিরভাগই সেই একগুঁয়ে - টিনএজার। তাদের কেউ কেউ আপনার অবস্থানে আসবে, কেউ দ্রুত, কেউ দেরীতে। সাধারণত এদের ডজনের পর ডজনই ধাপ ২ অতিক্রম করতে পারবে না, শুধু কয়েকজন বাদে।

ট্রেডিং এখন আপনার কাছে কোন উচ্ছাস/আনন্দের কিছু নয়, বরং কিছুটা বিরক্তিকর, যেমন আপনি আপনার বর্তমান চাকুরী/পড়ালেখা আপনার বিরক্তিকর লাগে তেমনই ট্রেডিংও বিরক্তিকর হয়ে উঠে। আপনি আপনার জব করছেন।

আপনি এখন আপনার সিস্টেম শান দিচ্ছেন কিভাবে কম রিস্কে বেশি প্রফিট আনা যায়। আপনার সিস্টেম পরিবর্তন হচ্ছে না, শুধু দিনের পর দিন ভাল হচ্ছে।

আপনি এখন মাথা তুলে বলতে পারেন "আমি একজন কারেন্সি ট্রেডার", কিন্তু সত্যি বলতে আপনার করতে ইচ্ছা করবে না , কারণ এটা আপনার কাছে অন্য যেকোন জবের মতই লাগবে।

আমার মনে হয় আপনার এই "একজন ট্রেডারের মনের ভিতরের ভ্রমণ" আনন্দদায়ক হয়েছে এবং হয়তো আপনার নিজের কোন পয়েন্ট এখানে খুজে পেয়েছেন।

মনে রাখবেন , শুধুমাত্র ৫% ট্রেডারই টিকে থাকতে পারবে। এটার কারণ যোগ্যতা নয়, টিকে থাকার শক্তি। টিকিয়া থাকাটাই বড় সার্থকতা। অতিকায় হস্তি লোপ পেয়েছে, কিন্তু ক্ষুদ্র তেলাপোকা এখন টিকিয়া আছে।

তারাই লুজার হয় যারা খুব দ্রুত বড়লোক (get rich quick) হতে চেয়েছে।

আমি খুশিমনে বলতে পারি যে 'get rich quick' এই আশায় আমিও ট্রেডিং শুরু করেছিলাম , কিন্তু এখন দেখতে পাচ্ছি ট্রেডিং হচ্ছে 'get rich slow'।

আপনি যদি ফরেক্স ছেড়ে দিতে চান তবে আপনাকে একটা উপদেশ দিতে পারি -

আপনি নিজেকে জিজ্ঞেস করুন - "আপনি কত বছর স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতেন যদি জানতেন শেষে আপনার জন্য বছরে মিলিয়ন ডলার বেতনের একটা চাকরী অপেক্ষা করছে?"
facebook এ লাইক করুন এই পেজ টি https://www.facebook.com/Friend.and.company
যেকোন সোময় account খুলতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন http://www.liteforex.com/?fid=945130
আপনি চাইলে আমাকে কল করতে পারেন এই নাম্বারে +৮৮০১৯১৮-৭১৭৩৮৭

ধাপ ৪ - সচেতনে যোগ্যতা

আপনি তখনই ট্রেড করছেন যখন আপনার সিস্টেম ট্রেড করতে বলছে। আপনি যত সহজভাবে লাভ করেন তেমন সহজভাবেই লস মেনে নেন। আপনি এখন আপনার উইনিং ট্রেডকে তাড়াতাড়ি ক্লোজ না করে শেষ পর্যন্ত রাখেন । আপনি জানেন আপনার সিস্টেম যতগুলো লস ট্রেড করে তারচেয়ে বেশি লাভজনক ট্রেড করে এবং যখন আপনার ট্রেড লসে যায় তখন আপনি ক্লোজ করে দেন (আগের মত আরো পজিশন অ্যাড না করে)।

আপনি এখন এমন এক পর্যায়ে যেখানে বেশিরভাগ সময় আপনার একাউন্ট Break Even হয় (লাভ লস সমান সমান)।. হয়ত এই সপ্তাহে ১০০ পিপস লাভ করলেন তো পরের সপ্তাহে ১০০ পিপস লস করলেন। এই পর্যায়ে আপনি টাকা হারাচ্ছেন না, আপনি Break Even করছেন। আপনি এখন জানেন আপনি ভাল ট্রেড গুলোই করছেন এবং চ্যাটরুমে আপনি অন্যান্য ট্রেডারদের সম্মান পাচ্ছেন এবং অনেককে সিগন্যালও দিচ্ছেন। আপনাকে এখনো অনেক পথ যেতে হবে এবং যতই আপনি সামনে এগুবেন ততই আপনি লস করার চাইতে লাভ বেশি করবেন।

আপনি দিন শুরু করবেন ২০ পিপস লাভ করে, কিন্তু পরক্ষনেই ৩৫ পিপস লস করবেন কিন্তু আপনার মানসিক অবস্থার কোন পরিবর্তন হবে না কারণ আপনি জানেন যে সে পিপস গুলো আবার ফিরে আসবে। আপনি এখন প্রতি সপ্তাহে ধারাবাহিক লাভ করতে থাকবেন , এই সপ্তাহে ২৫ পিপ্স তো পরের সপ্তাহে ৫০ পিপস এভাবেই যেতে থাকবে।

এই ধাপ ৬ মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়। facebook এ লাইক করুন এই পেজ টি https://www.facebook.com/Friend.and.company
যেকোন সোময় account খুলতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন http://www.liteforex.com/?fid=945130
আপনি চাইলে আমাকে কল করতে পারেন এই নাম্বারে +৮৮০১৯১৮-৭১৭৩৮৭

সোমবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২

ধাপ ৩ - ইউরেকা !!

ধাপ ২ শেষের পথে আপনি বুঝবেন সিস্টেমে আসলে কোন সমস্যা নেই, যেটা আপনি মনে করেছিলেন। আপনি বুঝতে শুরু করবেন সিম্পল মুভিং এভারেজ দিয়েও টাকা কামানো সম্ভব যদি আপনি সঠিক মানি ম্যানেজমেন্ট প্রয়োগ করতে পারেন। আপনি সাইকোলজি নিয়ে বিভিন্ন ইবুক পড়তে শুরু করবেন এবং ঐসব বইয়ে বর্ণীত বিভিন্ন চরিত্র মেলাতে থাকবেন। অবশেষে ইউরেকা মোমেন্টে এসে পৌছাবেন।

এই ইউরেকা মোমেন্ট আপনার ব্রেইনে নতুন এক সংযোগ তৈরি করবে। আপনি হঠাৎ বুঝতে পারবেন আপনি কেন, পৃথিবীর কেউ মার্কেটের পরবর্তী ১০ সেকেন্ডে কি হবে সেটা অনুমান করতে পারবেনা, ২০ মিনিট তো পরের কথা।

এই বোধের কারণে আপনি অন্যরা কে কি বলে, এই নিউজ মার্কেটে কি প্রভাব ফেলবে বা ঐ ইভেন্ট কিরকম হবে সেগুলো চিন্তা করা বন্ধ করবেন। আপনি ট্রেড করবেন আপনার নিজস্ব মেথডে।

আপনি শুধু ১টা সিস্টেম নিয়ে কাজ করা শুরু করবেন যেটা আপনার সাথে যায়, আপনি খুশি হতে শুরু করবেন, এবং আপনার লস ডিফাইন করে দেয়া শুরু করবেন।

আপনি আপনার সিস্টেমে ভাল দেখায় এমন প্রতিটি ট্রেড নেয়া শুরু করবেন। যখন খারাপ ট্রেড হয় তখন আপনি আর রাগ করবেন না, কারণ আপনি বুঝবেন এটা আপনার দোষ নয়। আপনি তাড়াতাড়ি ট্রেড ক্লোজ করে দিবেন যখন বুঝবেন এটা খারাপ ট্রেড। আপনি বুঝবেন এরপরের ট্রেড অথবা তার পরের ট্রেড হয়তো ভাল হবে কারণ আপনি জানেন আপনার সিস্টেম কাজ করে।

আপনি ট্রেড টু ট্রেড রেজাল্ট দেখা বন্ধ করবেন এবং সাপ্তাহিক রেজাল্ট দেখা শুরু করবেন । কারণ আপনি জানেন ১ টা খারাপ ট্রেড ১টা সিস্টেম কে খারাপ বানায় না।

আপনি হঠাৎ বুঝবেন ট্রেডিং গেম হচ্ছে শুধু ১টা ব্যাপার নিয়ে, সেটা হল আপনার সিস্টেমের প্রতিটা ট্রেড নেয়ার শৃঙ্খলা এবং দৃঢ়তা, কারণ আপনি জানেন সম্ভাব্যতা আপনার পক্ষেই থাকবে।

আপনি ভাল মানি ম্যানেজমেন্ট , লেভারেজ ইত্যাদি ইত্যাদি সম্পর্কে শিখবেন এবং ১ বছর আগে আপনাকে যারা এই বিষয়ে শিখতে উপদেশ দিয়েছিল তাদের মনে করে মুচকি হাসবেন। আপনি তখন তৈরি ছিলেন না, কিন্তু এখন আপনি তৈরি। ইউরেকা মোমেন্ট তখনই আসবে যখন আপনি বুঝবেন যে আপনি মার্কেট সম্পর্কে অনুমান করতে পারবেন না।
 ভিজিট করুন  এবং লাইক দিন   https://www.facebook.com/Friend.and.company

ধাপ ২ - সচেতনে অযোগ্যতা

দ্বিতীয় ধাপে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি যেমনটি ভেবেছেন ফরেক্স আসলে ঠিক তেমনটি নয় , এখানে আপনাকে আরো বেশি কাজ করতে হবে। আপনি সচেতনভাবে বুঝতে পারবেন যে আপনার রেগুলার প্রফিট করার মত যোগ্যতা বা জ্ঞান নেই।

এরপর আপনি ইউএসএ থেকে ইউক্রেন দুনিয়ার বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ঘোরাঘুরি শুরু করবেন , বিভিন্ন সিস্টেম এবং ইবুক দেখবেন , এবং সর্বোপরি হোলী গ্রেইল খোজা শুরু করবেন। এই সময় আপনি হয়ে যাবেন একজন "সিস্টেম যাযাবর"। আপনি একটা ট্রেডিং মেথড ঠিকমত কাজ করে কিনা ভাল করে পরীক্ষা না করে দিনের পর দিন এবং সপ্তাহের পর সপ্তাহ একটি ট্রেডিং মেথড থেকে আরেকটি দেখতে থাকবেন। যখনি আপনি নতুন একটা ইন্ডিকেটর দেখবেন আপনি ভাববেন এটাই আপনার পুরো ট্রেডিং পাল্টে দিবে এবং আপনাকে রেগুলার প্রফিট এনে দিবে।


আপনি মেটাট্রেডারে এক্সপার্ট এডভাইসর টেস্ট করতে থাকবেন। আপনি মুভিং এভারেজ, ফিবোনেসি লাইন, সাপোর্ট-রেসিসট্যান্স, পিভট, ফ্র্যাক্টাল, Divergence, DMI, ADX এরকম শতশত ইন্ডিকেটর নিয়ে খেলা করতে থাকবেন শুধু এই আশায় যে আপনার ম্যাজিক সিস্টেম আজই শুরু হয়ে যাবে। আপনি ইন্ডিকেটর দিয়ে সঠিক রিভার্সাল পয়েন্ট খোজার আশায় টপ & বটম ধরার চেষ্টা করবেন। শেষমেষ দেখবেন আপনি পরাজিত ট্রেডের পিছনে ছুটতেই থাকছেন এমনকি নতুন করে ট্রেড যোগ করছেন কারণ আপনি জানেন আপনি সঠিক।

আপনি বিভিন্ন লাইভ চ্যাট রুমে যাবেন এবং দেখবেন অন্যান্য ট্রেডাররা অনেক পিপস লাভ করছে । আপনি ভাববেন আপনি কেন পারছেন না। আপনি মিলিয়ন মিলিয়ন প্রশ্ন করতে থাকবেন যার মধ্য কতগুলো এমন প্রশ্ন যে যেগুলো দেখে চ্যাটরুমের অন্যান্য মানুষজন আপনাকে মূর্খ মনে করবে। অবশেষে আপনার মনে হবে যে ঐসব ট্রেডাররা যারা পিপসের পর পিপস লাভ করছে তারা মিথ্যা কথা বলছে এবং নিশ্চয়ই ডেমো অ্যাকাউন্টের স্ক্রীনশট দিচ্ছে। কারণ আপনি ফরেক্স সম্পর্কে গবেষণা করেছেন, আপনি ঐসব সফল ট্রেডাররা যা জানে তার সবই জানেন, কিন্তু আপনি লাভ করছেন না , তার মানে ঐসব ট্রেডাররা মিথ্যা বলছে। কিন্তু তারা দিনের পর দিন ফরেক্স ট্রেড করছে এবং তাদের একাউন্ট ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে যেখানে আপনার একাউন্ট শুধুই হ্রাস পাচ্ছে।

আপনি টিনএজারদের মত হবেন। টিনএজারদের সবাই ফ্রি উপদেশ দেয় কিন্তু কেউ শোনেনা। আপনাকেও সবাই উপদেশ দিবে ফরেক্স সম্পর্কে, কিন্তু আপনি আপনার মত একগুঁয়ে থাকবেন এবং ভাববেন আপনি তো সবই জানেন। আপনি আপনার মত বেশি বেশি ট্রেড করতে থাকবেন। আপনি অন্যান্য সফল ট্রেডারদের সিগন্যাল ফলো করবেন। কিন্তু যখন সেটা কাজ করবে না তখন আপনি অন্যান্য সিগন্যাল প্রোভাইডার থেকে কিনে সিগন্যাল ব্যবহার করতে চাইবেন। সেটাও আপনার জন্য কাজ করবে না।

আপনি কিছু "গুরু"র কাছে যাবেন যারা আপনাকে প্রফেশনাল ট্রেডার বানিয়ে দিতে রাজী হবে, অবশ্যই কিছু ফি এর বিনিময়ে। সেই গুরু ভাল হোক বা না হোক আপনি কিছুই শিখতে পারবেন না কারণ সময়ের কোন বিকল্প নেই, এবং আপনি এখনো মনে করে আছেন আপনি সবই জানেন।

এই ধাপ বছরের পর বছর স্থায়ী হতে পারে। প্রকৃতপক্ষে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং অন্যান্য ট্রেডারদের সাথে কথা বলা নিশ্চিত করে এই ধাপ সহজেই ১ বছর থেকে ৩ বছরের কাছাকাছি স্থায়ী হতে পারে। এই ধাপে আপনি নিছক হতাশার কারণেও ফরেক্স ট্রেডিংকে বিদায় জানাতে পারেন।

৬০% এর মত নতুন ট্রেডার প্রথম ৩ মাসেই ফরেক্সকে বিদায় জানাবে, এবং এটি ভাল। একবার ভাবুন, ট্রেডিং যদি এতই সোজা হত তবে আমরা সবাই সহজেই মিলিয়নিয়ার হয়ে যেতাম । অন্য ২০% এক বছরের মত যাবে এরপর হতাশার কারণে অতিরিক্ত রিস্ক নিয়ে তাদের একাউন্ট উড়িয়ে দিবে ।

যেটা আপনাকে আশ্চর্য করতে পারে সেটা হল বাকী ২০% ৩ বছরের মত টিকে থাকবে, এবং তারা ভাববে তারা নিরাপদ আছে। কিন্তু ৩ বছর পরেও শুধুমাত্র ৫-১০% চালিয়ে যাবে এবং ধারাবাহিকভাবে লাভ করতে থাকবে।

(বাই দ্য ওয়ে, এইসব ফিগার কিন্তু রিয়েল। এমন নয় যে আমার মাথায় এসেছে আর আমি লিখে গিয়েছি। তাই যখন ৩ বছর হবে তখন ভাববেন না যে এখান থেকে সোজা আপনি সফল হয়ে যাবেন। আমার বহুলোকের সাথে এই ফিগারগুলো নিয়ে তর্ক হয়েছে। মজার ব্যাপার হল তারা কেউ ৩ বছরের বেশি সময় ধরে ট্রেড করছে না। যদি আপনি মনে করেন আপনি ভাল জানেন তাহলে কোন ফোরামে এমন কাউকে প্রশ্ন করুন যে ৫ বছর ধরে ট্রেড করছে। জিজ্ঞেস করুন ১০০% দক্ষ হতে কত সময় লেগেছে। সামান্য ব্যতিক্রম থাকতে পারে কিন্তু আমি এখনো এমন কাউকে দেখিনি। )

অবশেষে আপনি এই ধাপ থেকে উঠে আসতে শুরু করবেন। আপনি সম্ভবত আপনার প্রত্যাশার চাইতেও বেশি সময় এবং অর্থ শেষ করেছেন, আপনার ২-৩ টা লাইভ একাউন্ট জিরো হয়ে গেছে, কিন্তু ফরেক্স এখন আপনার রক্তে বহমান......ফরেক্স ইন দ্যা ব্লাড।

একদিন আপনি ৩য় ধাপে পৌছাবেন।
  কল করুন  +৮৮০১৯১৮-৭১৭৩৮৭ 

ট্রেডার হওয়ার ৫টি ধাপ The learning cycle for a newbie trader

                                                         ধাপ -১ (অচেতনে অযোগ্যতা)



এটা হল প্রথম ধাপ যখন আপনি সবেমাত্র ফরেক্স সম্পর্কে জানতে শুরু করেছেন। আপনি জানেন যে ফরেক্স অর্থোপার্জনের একটা সহজ রাস্তা, কারন আপনি ফরেক্স সম্পর্কে অনেক কথা শুনেছেন যে ফরেক্স ট্রেড পারলে টাকা আয় করা কোন ব্যাপার নয়। তাই দুর্ভাগ্যবশত আপনি মনে করবেন এটা অনেক সহজ, ঠিক আপনার প্রথম গাড়ি চালানো শিখার ইচ্ছার মত যেটা আপনি মনে করেছেন সহজ হবে, সবচেয়ে বড় কথা আর কত কঠিনইবা হবে?

কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আপনি অনেক বেশী ট্রেড করবেন এবং প্রচুর রিস্ক নিবেন, ঠিক যেমন আপনি গাড়ির স্টিয়ারিং হুইলের সামনে প্রথম হাত রেখেছিলেন কিন্তু জানতেন না যে আপনি কি করছেন। যখন আপনি একটা ট্রেড করবেন এবং সেটা আপনার বিপক্ষে যাবে, তখন আপনি সেটা ক্লোজ করে বিপরীত ট্রেড নিবেন এবং সেটাও বিপক্ষে যাবে এবং এরকম হতেই থাকবে।

আপনার শুরুর দিকে কিছু প্রাথমিক সাফল্য থাকতে পারে, কিন্তু সেটা আপনার জন্য আরো খারাপ হবে, কারণ সেটা আপনার ব্রেইনকে বলবে যে ফরেক্স তো আসলেই সহজ এবং তার ফলে আপনি আরো বেশি রিস্ক নিতে শুরু করবেন।

আপনি আপনার প্রতিটা লস পূরণের জন্য ট্রেড সাইজ আগের তুলনায় দ্বিগুণ করে দিবেন । তাতে মাঝেমাঝে কাজ হবে কিন্তু বেশিরভাগ সময় আপনার একাউন্টের ক্ষতি হবে। আপনি আপনার অযোগ্যতা সম্পর্কে সম্পূর্ণভাবে অন্যমনস্ক থাকবেন।

এই প্রথম ধাপ সাধারণত এক-দু সপ্তাহ স্থায়ী হবে।

শুক্রবার, ৩১ আগস্ট, ২০১২

একজন ফরেক্স ট্রেডারের আত্মকাহিনী


অয়ন একজন ছাত্র। পড়াশোনার পাশাপাশি নেটে টুকটাক কাজ করে। সে অনেক দিন থেকেই ফরেক্সের কথা শুনেছে, কিন্তু কোন বিস্তারিত আইডিয়া নেই। অনেক জায়গায় বিজ্ঞাপন দেখেছে $১০০ ডিপোজিট করলে মাসে $১০০০ আয়ের নিশ্চয়তা। তাই সে সিদ্ধান্ত নিল সে ফরেক্স করবে।

ফরেক্স কিভাবে করা যায়? এক ব্লগে দেখল জাফর নামে একজন একটি ব্লগ পোস্ট করেছে "ফরেক্স শিখুন, আনলিমিটেড আয় করুন", তা দেখে তো অয়ন খুশী হল। ভাবল এবার তার কাছে নিশ্চয়ই ফরেক্স শেখা যাবে। পোস্ট থেকে জাফরের ফোন নাম্বার নিয়ে ফোন করল। জাফর বলল, ফরেক্স অনেক কঠিন। কিন্তু আমরা অনেক এক্সপেরিয়েন্সড ট্রেডার। আমরা আপনাকে সিগন্যাল দিয়ে সাহায্য করব। আপনাকে আমাদের রেফারেল দিয়ে $১০০০ ডিপোজিট করতে হবে। আয়ন তারপর ডেমো অ্যাকাউন্ট ওপেন করল। ২-৩ দিন ট্রেড করে দেখল ভালই লাভ হচ্ছে। তারপর সে ভাবল এখন রিয়েল ট্রেড শুরু করে দেয়া দরকার। বড়লোক হবার আর বেশী দেরি নেই।

অনেক কষ্টে বাসা থেকে $১০০০ কেনার মত টাকা জোগাড় হল। ফরেক্সে $১০০০ ডিপোজিট করল জাফর ভাইয়ের আন্ডারে। ডিপোজিট করার পর জাফর ভাইকে ফোন করলে তিনি আর ধরছেন না। ডিপোজিট করা শেষ, এখন ফোন ধরার কি প্রয়োজন, অয়ন ট্রেড করলে তিনি তো কমিশন পাবেনই। আয়ন এরপর ভাবল নিজেই ট্রেড করবে। বেবিপিপস পড়ে এবং ইন্টারনেট থেকে সে শিখল সব সময় কোন রিস্ক নিয়ে ট্রেড করতে হবে, লোভ করা যাবে না, অ্যানালাইসিস করতে হবে। ভাবল এই জিনিস গুলো তো সে জানত না!!

শুরু হয়ে গেল আয়নের ট্রেডিং। প্রথম দিন ০.০১ স্ট্যান্ডার্ড লটে ১০ সেন্ট পিপস পিপস ভ্যালু দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করল। প্রথম ট্রেডেই ১০০ পিপস প্রফিট। $১০০০ থেকে $১০১০ হয়ে গেল। ২য় ট্রেডে আবার $১২ ডলার প্রফিট। ইন্ডিকেটর দেখে ট্রেড করছে, স্টপ লস, টেক প্রফিট ব্যবহার করছে। এভাবে ১০টা ট্রেড করল। ৩টা লস, ৭ টাতে প্রফিট। ৩ দিনে ব্যালেন্স এখন $১০৯৫।

নতুন চিন্তা আসলো আয়নের মাথায়। লাভ তো হচ্ছে। ০.০১-০.০২ লটে সে ট্রেড করছে এখন। লট সাইজ তা যদি একটু বাড়ানো যেত, লাভটা আরও বেশী আসতো। সবাই প্রতিদিন কয়েকশো ডলার লাভ করে আর সে কিনা মাত্র $৯৫ ডলার লাভ করেছে ৩ দিনে? এবার থেকে সে ০.০৫ লটে ট্রেড শুরু করে দিল। প্রথম ট্রেডেই $২৫ লস। ২য় ট্রেডে অবশ্য $৫০ লাভ হল। তারপরের ট্রেডে $৩০ ডলার। লাভ বেড়েই চলেছে। আয়ন এবার লট সাইজ ডাবল করে দিল। পার পিপস $১ করে। ১ দিনেই $২৩০ লাভ করে ফেলল। তারপরের ১ সপ্তাহে লাভ লস মিলিয়ে ব্যালেন্স $২৫০০ হয়ে গেছে। এখন আয়ন আরও বেশী রিস্ক নিয়ে ট্রেড করে। মাঝে মাঝে $৫ পিপস ভ্যালু দিয়েও স্ক্যাল্পিং করে। ৩ সপ্তাহের মাথায় আয়নের ব্যালেন্স $৩২০০ হল। আয়ন নিজের পারফরমেন্স নিয়ে সন্তুষ্ট। ফরেক্স অনেক সহজ, কে বলেছে এত অ্যানালাইসিস লাগে? বেড়ে গেলে সেল দিলেই হয়, আবার কমে গেলে বাই। সহজ!!!

NFP নিউজ। আয়ন ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস করে না। স্টপ লসও ব্যবহার করে না। এইসব নিউজ গুলো কোন কাজে আসে না। বরং মার্কেটে যে ভোলাটিলিটি সৃষ্টি হয়, তাতে ভাল স্ক্যাল্পিং করা যায়। আয়ন ০.৫ লট ($৫ পিপস ভ্যালু) দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করলো EURUSD বাই। হঠাৎ স্পাইকের কারনে মার্কেট ৯০ পিপস পরে গেল। আয়নের যেহুতু এসব ব্যাপারে অভিজ্ঞতা নেই, সে ভাবল নিশ্চয়ই মার্কেটে কিছু একটা হয়েছে। ভাবল প্রাইস তো একটু পরে বাড়বেই। সে ০.৫ লটে আরও একটি বাই ট্রেড ওপেন করল। মার্কেট এবার আরও পড়ছে। $৩২০০ থেকে আয়নের ইকুইটি এখন $১৫০০ ডলার। কি করবে বুঝতে পারছে না। যেহুতু প্রাইস কমছে, সে ভাবছে এতো তো কমার কথা না, একটু পরে প্রাইস আবার বাড়বে, তাই এখন যদি আরও ২টি ট্রেড ওপেন করা যায়, প্রাইস বাড়লে কম হলেও ব্যালেন্স $৫০০০ হয়ে যাবে। এবার ০.৫ লটে সে ২টি ট্রেড ওপেন করে দিব। প্রাইস একটু বাড়ল। দেখল ব্যালেন্স খুব দ্রুত রিকভার হচ্ছে। ইকুইটি এখন $২০০০ ডলার। সে কিছুটা আশান্বিত হল। হঠাৎ প্রাইস আরও ১০০ পিপস কমে গেল। আয়নের ৪টি ট্রেডই মারজিন কলের কারনে বন্ধ হয়ে গেল।



আয়নের ব্যালেন্স এখন $০.১০ মাত্র। নিজের কাজের কারনে সে অনুতপ্ত। কেন যে এট রিস্ক নিতে গেল? $৩২০০ থেকে যদি $১০০ আগে উইথড্র করে রাখতো। ইসস!!!

আবার ডিপোজিট করবে সে, একটু সাবধান হলে আর এটা হত না। পরবর্তীতে আরও সতর্ক থাকতে হবে তাকে। এবার $৫০০ কোনরকমে জোগাড় করল সে। ভাবল এবার একা ট্রেড করবে না, অভিজ্ঞ কারো কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে। পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখল এখানে ফরেক্স শেখানো হয়। আয়ন সেখানে গিয়ে জায়েদ নামে এক ফরেক্স ট্রেডারের সাথে পরিচয় হল। তিনি নাকি অনেক অভিজ্ঞ ফরেক্স ট্রেডার, ৭ বছর থেকে ফরেক্স করেন, মাসে লাখ লাখ ডলার ফরেক্স থেকে লাভ করেন। তিনি বললেন, আমরা ফরেক্স সিগন্যাল দেই। মাসে ২৫০০ টাকা। ১০০% প্রফিট গ্যারান্টি। আয়ন ভাবল জায়েদ ভাইয়ের সাথে আগে কেন দেখা হলোনা? জায়েদ ভাই তাকে কিছু টেকনিক শিখিয়ে দিল। বলে দিল কখন স্টপ লস ব্যবহার না করতে। শুধু তারা যেভাবে বলে সেভাবে ট্রেড করতে হবে। আয়ন রাজি হল। আয়ন তার বন্ধু রাজকে বলল, দোস্ত আজ একজন জটিল ফরেক্স ট্রেডারের সাথে পরিচয় হল। জোশ ট্রেড করে। আমি এখন থেকে তার কাছ থেকে সিগন্যাল নিব। তার কাছে ভর্তি হয়েছি। রাজ বলল, যে মাসে লাখ লাখ ডলার আয় করে, সে কেন ২৫০০ টাকায় সিগন্যাল দেয়? তার কাছে তো ২৫০০ টাকা কোন টাকাই হবার কথা না। আয়ন এসব কথায় কান দিল না। রাত ৮ টায় জায়েদ ভাই ফোন দিয়ে বলল, ১.৪৬০০ তে একটা বাই দাও। EURUSD এবার ১.৫০০০ যাবে শিওর। আয়ন কথামত বাই দিল। সে মোটামুটি টেনশন ফ্রি। প্রোফেসনাল ট্রেডারের সিগন্যাল ফলো করছে, তার প্রফিট আর ঠেকায় কে? সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখে EURUSD ১.৪৪৫২ তে। জায়েদ ভাইকে ফোন দিল, ভাই কি করব? জায়েদ ভাই বলল, এটা মার্কেটের সাধারন মুভমেন্ট, প্রাইস ১.৫০ তে যাবেই। তুমি বরং ওই প্রাইসে আরও ১টা বাই ট্রেড ওপেন করে রাখো আর আমার সিগন্যালের ওপর আস্থা রাখো। আর যদি ১.৪৩০০ তে যায়, তবে আরেকটা বাই করো। ২ দিন পর, প্রাইস ১.৪০৯৮ এ। জায়েদ ভাইয়ের সিগন্যালে আয়নের ব্যালেন্স আবার জিরো। আয়ন এখন আর ফরেক্স ট্রেড করে না।

ফরেক্সে লসের কারন


আপনি হয়তো শুনে থাকবেন, অথবা আগে শুনে না থাকলে শুনে রাখুন ফরেক্সে ৯৫% ট্রেডার লস খায়। পরিসংখ্যানটি হয়তো পুরোপুরি সত্য নয়। আসলে ৯৫% ট্রেডার নয়, ৯৫% বিগেনার ট্রেডাররা লস করে। কিন্তু কেন? কারন তারা ফরেক্সের বেসিক রুলস গুলো মেনে চলে না। দেখা যাক কি কি কারন ট্রেডাররা ফরেক্সে লস করে।


অভিজ্ঞতার অভাবঃ প্রথম দৃষ্টিতে ফরেক্স কিন্তু সহজ মনে হয়। কারন যেহুতু লাভ অথবা লস, আন্দাজে ট্রেড করে অনেকেই প্রচুর লাভ করে ফেলে। তখন তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে রিয়েল ট্রেডিং করবে। কিন্তু আপনি লস না করলে কখন বুঝতে পারবেন না যে কিভাবে আপনি ঐ সকল অবস্থাগুলো পরে মোকাবেলা করবেন। সেজন্য আপনাকে অনেকদিন সিরিয়াসলি ডেমোতে ট্রেড করতে হবে। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ ডেমোতে এত সময় ট্রেড করতে চায় না। সে ক্ষেত্রে সেন্ট অ্যাকাউন্টে ট্রেড করতে পারেন। ধরে রাখুন ফরেক্সে আপনার প্রথম ২টি ডিপোজিট আপনি হারাবেন। বুঝে ট্রেড করার চেষ্টা করুন। দেখবেন তখন ট্রেডিং অনেকটা সহজ লাগবে।

সিগন্যালের ওপর নির্ভরশীলতাঃ অধিকাংশ ট্রেডার সিগন্যালের ওপর নির্ভরশীল। বন্ধুদের কথায় বা অপরিচিত লোকের কথায় ট্রেড করে। নিজে কোন অ্যানালাইসিস না করে কেউ বাই করতে বললেই বাই করে, সেল করতে বললে সেল করে। পরিনামে লস। আবার কেউ কেউ তো $১০০-$২০০ দিয়ে সিগন্যালও কিনে থাকেন। কিন্তু একটা কথা ভাবুন, যদি সিগন্যাল গুলো আসলেই সবসময় পারফেক্ট হত, তাহলে কেন সিগন্যাল প্রভাইডার তা বিক্রয় করছে? সে নিজে ট্রেড করেই তো বিল গেটস হয়ে যেতে পারে। সুতরাং, কারো কোন কথা শুনে বা চার্ট দেখে ঝোঁকের বসে ট্রেড করবেন না। নিজে যা বুঝেন, তা দিয়ে ট্রেড করার চেষ্টা করুন। আরও শেখার চেষ্টা করুন। অন্যদের জিজ্ঞেস করুন।

উদ্দেশবিহীন ট্রেডিং করাঃ অধিকাংশ ট্রেডার জানে না যে বাই করতে হবে না সেল করতে হবে। প্রাইস একটু বেড়ে গেলেই তারা মনে করে যে এটা আবার কমবে, তখন সেল ট্রেড দিয়ে বসে। এভাবে ট্রেড করলে আজীবনই লস খাবেন। মার্কেট অ্যানালাইসিস করতে চেষ্টা করুন। বিডিপিপস ফরেক্স স্কুলের ইন্ডিকেটর সেকশনে দেখুন কিছু বেসিক ইন্ডিকেটর সম্পর্কে দেয়া আছে। এগুলো এবং সাথে অন্য ইন্ডিকেটর নিয়ে গবেষনা করুন। টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের কিছু কিছু জিনিস শেখার চেষ্টা করুন। আস্তে আস্তে সব কিছুই আপনার কাছে সহজ হয়ে যাবে।

বড় রিস্ক নিয়ে ট্রেড করাঃ অধিকাংশ মানুষ ফরেক্সকে মানি মেকিং মেশিন মনে করে। মনে করে ফরেক্সে ১ দিনেই ব্যালেন্স দ্বিগুণ করা যায়। অধিকাংশ ট্রেডার তার ক্যাপিটালের অনুপাতে অনেক বড় রিস্ক নিয়ে ট্রেড করে। দেখা যায় অ্যাকাউন্টে $১০০ আছে, কিন্তু $১ পিপস ভ্যালুর ট্রেড ওপেন করে বসে আছে। ১০০ পিপস আপনার বিপরিতে মুভ করলেই আপনি ফকির হয়ে যাবেন। সুতরাং সিদ্ধান্ত নিন, মানি ম্যানেজমেন্ট করতে শুরু করুন।

ট্রেডিং স্ট্রাটেজি না থাকাঃ আপনার অবশ্যই একটি ট্রেডিং স্ট্রাটেজি থাকা উচিত। আপনি কিভাবে ট্রেড করবেন, কত পিপস স্টপ লস বা টেক প্রফিট ব্যবহার করবেন, কত ভলিউমে ট্রেড করবেন সবকিছু আগে থেকেই সেট করে রাখা উচিত। এবং আপনার সব ট্রেডেই তা ফলো করা উচিত। তা নাহলে দেখা যাবে একটি ট্রেডে আপনার প্রফিট ৫০ পিপসে $৫, আরেকটি বড় রিস্ক নিয়ে করা ট্রেডে লস ৫০ পিপসে $৫০. তাই সবার প্রথমে আপনার ট্রেডিং স্ট্রাটেজি তৈরি করুন। অন্যদের ট্রেডিং স্ট্রাটেজি দেখুন, তারপর যেটা ভাল লাগে, পরিবর্তন করে নিজের পছন্দমত নিজের ট্রেডিং সিস্টেম তৈরি করুন।

নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস থাকাঃ অনেক ট্রেডার অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে থাকে। তারা মনে করে প্রাইস এখন বাড়বে বা কমবে এবং সেই অনুসারে ট্রেড করে কোন প্রকার অ্যানালাইসিস ছাড়া। কিন্তু মানুষই মানুষের শত্রু। নিজেকে বিশ্বাস করবেন না। মার্কেট কি বলে তা দেখুন।


কিছু কিছু ব্যাপারে ট্রেড করার সময় সতর্ক থাকবেনঃ
লোভ করবেন না
ইমোশনাল হবেন না
নিজের মনগড়া সিদ্ধান্তে ট্রেড করবেন না
মানি ম্যানেজমেন্ট ফলো করে ট্রেড করবেন
ট্রেডিং স্ট্রাটেজি মেনে চলবেন
অ্যানালাইসিস ছাড়া কোন ট্রেড করবেন না


মানি ম্যানেজমেন্ট

মানি ম্যানেজমেন্ট হল এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে ফরেক্স ট্রেডাররা তাদের অ্যাকাউন্ট ম্যানেজ করে থাকে। ফরেক্স ট্রেডারদের জন্য মানি ম্যানেজমেন্ট খুবই জরুরী। একটি ভাল মানি ম্যানেজমেন্ট আপনার অ্যাকাউন্টকে ব্যাঙ্কর‍্যাপ্টসি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। একটি ভাল মানি ম্যানেজমেন্ট ফলো করলে আপনার ক্যাপিটাল হারানোর সম্ভাবনা খুব কম।


ভাল মানি ম্যানেজমেন্টের কিছু নিয়ম রয়েছেঃ

১. অ্যাকাউন্টের ছোট পার্সেনটেজ নিয়ে রিস্ক নিনঃ

অ্যাকাউন্টের ছোট পার্সেনটেজ রিস্ক নেয়া কেন গুরুত্বপূর্ণ? এর কারন হচ্ছে আপনাকে আপনার অ্যাকাউন্ট টিকিয়ে রাখতে হবে। প্রথমে আপনার অ্যাকাউন্ট টিকিয়ে রাখতে হবে, তারপর প্রফিটের কথা ভাবতে হবে।
ভালো ট্রেডার তারাই যারা তাদের অ্যাকাউন্ট টিকিয়ে রাখতে পারে এবং এ ব্যাপারে সচেতন।
যদি আপনি কম রিস্ক নিয়ে ট্রেড করেন তবে কোন ট্রেডে আপনার লস অনেক বেশী হলেও চাইলে আপনি আপনার ট্রেডটিকে হোল্ড করতে পারবেন।

ট্রেডে আপনার অ্যাকাউন্টের মোট পার্সেনটেজের কম এবং বেশী রিস্ক নিয়ে ট্রেডের একটি উদাহরন নিচে দেখা যাক। দেখুন টানা ১০টি ট্রেডে লস আপনার অ্যাকাউন্টের কতটুকু ক্ষতি করতে পারে।



স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে ২% রিস্ক এবং ১০% রিস্কের মধ্যে পার্থক্য। কেউ সহজে টানা ১০টি ট্রেড হারেনা। যদিও আপনি সবচেয়ে খারাপ ট্রেড করেন, তবুও ২% রিস্ক নিলে আপনি ১০টি ট্রেডে হারলে আপনি আপনার ক্যাপিটালের ১৭% হারাবেন, যেখানে প্রতি ট্রেডে ১০% রিস্ক নিলে আপনি ১০টি ট্রেড হারলে আপনি আপনার ক্যাপিটালের ৬০% এর বেশী হারাবেন। সুতরাং, বুঝতে পারছেন মানি ম্যানেজমেন্টের গুরুত্ব। আপনি যদি ঠিকভাবে মানি ম্যানেজমেন্ট করতে না পারেন তবে আপনি ব্যাপক লসের সম্মুখিন হতে পারেন।


২. হারান ক্যাপিটাল পুনরুদ্ধার করা কঠিনঃ

কেউ যদি তার অ্যাকাউন্টের কিছু অংশ হারায়, তাহলে তা পুনরুদ্ধার করা কতটা কঠিন?



আপনি যদি আপনার অ্যাকাউন্টের ৫০% হারান, তাহলে আপনাকে লস রিকভার করতে আপনার নতুন ব্যালেন্সের ১০০% লাভ করতে হবে। আর যদি ৭৫% হারান, তবে নতুন ব্যালেন্সের ৩০০% প্রফিট করতে হবে শুধুমাত্র পূর্বের লস রিকভার করার জন্য। তাই আপনি যদি একবার বিরাট লস করে তারপর সেই লস রিকভার নিয়ে ব্যস্ত থাকেন, তবে প্রফিট করবে কে?

এখানেই চ্যালেঞ্জ। চেষ্টা করে দেখুন ডেমো অ্যাকাউন্টে ৩০০% অথবা আপনার রিয়েল অ্যাকাউন্টে অন্তত ১০০% প্রফিট করতে পারেন কিনা। এটা অতটা সহজ হবেনা। মানি ম্যানেজমেন্ট এই জন্যেই গুরুত্বপূর্ণ।


৩. ট্রেড করার আগে রিস্কঃরিওয়ার্ড রেশিও হিসাব করুনঃ

যখন একটি ট্রেডে লস করার সম্ভবনা প্রফিট করার থেকে বেশী, তখন ট্রেড করা থেকে বিরত থাকুন। সবসময় ট্রেড করতে হবে এমন কোন কথা নেই।

উদাহরনসরূপঃ
১. ৪০ পিপস লস vs ৩০ পিপস প্রফিট
২. ২০ পিপস লস vs ২০ পিপস প্রফিট

২টি উদাহরনই বাজে রিস্ক ম্যানেজমেন্টের উদাহরন।

একটি ট্রেড ওপেন করার আগে এটা নিশ্চিত করুন যে রিস্ক:রিওয়ার্ড রেশিও অন্তত ১:২ (১:৩ রেশিও বা এর থেকে বেশী ভাল)।
এর মানে হচ্ছে আপনার এমন একটি ট্রেডই ওপেন করা উচিত যেটাতে আপনার লস করার সম্ভবনা থেকে লাভের সম্ভবনা ততগুন হবে। যেমনঃ আপনি ৩০ পিপস লস করার পরিপেক্ষিতে ১০০ পিপস লাভ করতে পারবেন এমন ট্রেডে এন্ট্রি করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

আপনি যদি মানি ম্যানেজমেন্টের এই রুলসটি সঠিকভাবে মেনে চলেন, তবে তা পরবর্তীতে আপনাকে সাফল্য পেতে এবং স্ট্যাবল প্রফিট পেতে সাহায্য করবে।


রিস্ক:রিওয়ার্ড রেশিওর নিচের চার্টটি দেখুন। এখানে ১:৩ রিস্ক:রিওয়ার্ড রেশিও নিয়ে ১০টি ট্রেড করা হয়েছে।
একজন যখন কোন ট্রেডে লস করে, তখন সে $১০০ ডলার হারিয়েছে। কিন্তু তার প্রতিটি প্রফিটেবল ট্রেডে সে $৩০০ ডলার প্রফিট করেছে।


সুতরাং, দেখা যাচ্ছে কোন ট্রেডার যদি ১:৩ রিস্ক:রিওয়ার্ড রেশিও নিয়ে যদি ৫০% ট্রেডেও সফল হয়, তবুও সে ভাল পরিমান লাভ করতে পারে।




স্ক্যাল্পিং


আপনি হয়তো অনেক জায়গায় স্ক্যাল্পিং শব্দটি শুনেছেন। মূলত ছোট ট্রেড গুলোই হল স্ক্যাল্পিং। কয়েক মিনিটের ছোট ট্রেড গুলোকে স্ক্যাল্পিং বলা হয়। এই ট্রেড গুলো হতে পারে ১-২০ পিপস। আভিধানিক ভাবে ২০ পিপসের ওপরে প্রফিট হলে তাকে স্ক্যাল্পিং বলা যাবে না। সেটা সাধারন ট্রেড হয়ে যায়।

মার্কেট সবসময়ই ওঠা-নামা করে। আপনি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে কিছু পিপস লুফে নিতে পারেন। কিন্তু স্ক্যাল্পিং কিন্তু ঝুকিপূর্ণ। অনেকেই দেখা যায় কিছু না বুঝে রিস্ক নিয়ে স্ক্যাল্পিং করে। কিন্তু স্ক্যাল্পিংয়েও অ্যানালাইসিস করা উচিত। কোন ট্রেডেই অ্যানালাইসিস ছাড়া প্রবেশ করা উচিত নয়। স্ক্যাল্পিং করার সময় ট্রেন্ডের দিকে ট্রেড দেয়াই ভাল। সেক্ষেত্রে ট্রেডে লাভ করার সম্ভবনাটা তুলনামুলক ভাবে বেশি থাকে।







স্ক্যাল্পিং যেহুতু কম সময়ে করা হয়, তাই আমাদের ট্রেড করা উচিত কম সময়ের টাইমফ্রেমে। স্ক্যাল্পিং এর অনেক রুলস আছে। আপনি স্ক্যাল্পিং ট্রেড করার সময় M1, M5, M15 টাইমফ্রেম অনুসরন করতে পারেন। কিন্তু আপনি যদি H4 টাইমফ্রেম অনুসরন করেন তাহলে কোন লাভ হবে না, কারন ২-১ মিনিটে মার্কেটে কি পরিবর্তন হল তা আপনি H4 চার্ট দেখে সহজে বুঝতে পারবেন না। মিনিটের টাইমফ্রেম গুলো স্ক্যাল্পিং এ বেশি সহায়ক।

অনেকেই স্ক্যাল্পিংয়ের জন্য অনেক ইন্ডিকেটর ফলো করে থাকেন। কিন্তু স্ক্যাল্পিংয়ে ইন্ডিকেটর খুব একটা কাজ করে না। কারন মার্কেটের ছোট ছোট মুভমেন্টগুলো তো আর কোন নিয়ম মেনে চলে না।

কিছু কিছু ব্রোকার আছে যারা স্ক্যাল্পিং সাপোর্ট করে না। আবার অনেক ব্রোকারের স্ক্যাল্পিং এ ২ মিনিট রুলস আছে। ২ মিনিটের আগে ট্রেড ক্লোজ করলে তা বাতিল করে দেয়ার অধিকার ব্রোকার রাখে। তাই আপনি যে ব্রোকারের সাথে ট্রেড করছেন, সেই ব্রোকারের স্ক্যাল্পিং সম্পর্কে কোন রুলস আছে কিনা আগে জেনে নিন।

মঙ্গলবার, ২৪ জুলাই, ২০১২

ei video ti apnader ke kivabe trading platform(software) ta use korte hoi ta sekhabe eti apnar trade suru korar 1st step. 


"""""""""""""SO DON'T MISS IT"""""""""""""""

http://www.facebook.com/l.php?u=http%3A%2F%2Fyoutu.be%2FvyZtp_T9oCs&h=pAQFuqMyb
আপনি যদি কোন কিছু কে অনেক কঠিন বলে মনে করেন তাহলে সেটা কঠিন। আর যদি মনে করেন আপনি পারবেন তাহলে আশলেই আপনি পারবেন। আর এভাবেই মানুষ পারে।


ফরেক্স একটা বিজনেস। আপনি লাইফ টাইম এখানে বিজনেস করতে পারবেন। আপনার ঘরে বসেই আপনি আয় করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে এটা একটু কঠিন হওয়া কি সাভাবিক নয় ? আপনি ১৫/২০ বছর পরাশুনা করেন একটা চাকরির আশায়। ১৫ বছর পর কি আপনি এমনি চাকরি পেয়ে জান ? 
এমন একটা লিগ্যাল ব্যবসা কি আছে যেখানে আপনি সাভাবিক ভাবে মাসে ৫০% এর বেশি প্রফিট করতে পারবেন ? আমার মনে হয় না যে এইরকম কোন বিজনেস আছে। 


আপনিও পারবেন। যদি আপনার মাঝে টিকে থাকার মনোভাব থাকে। যদি আপনার শেখার মন মানসিকতা থাকে। যদি আপনি মনে করেন আপনি পারবেন। ডেমো অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য নিচের লিঙ্ক এ ক্লিক করুন           
http://www.liteforex.com/?fid=945130

সোমবার, ২৩ জুলাই, ২০১২


Hi there,
Do you want to receive regular $30 with a minimum of efforts? It’s easy with LiteForex’s unique promotion! I’ve been stably receiving my bonuses and I want to tell you about this opportunity. If you easily make friends, if you willingly share interesting news and events, LiteForex’s new offer is exactly for you.

Here’s a code 07VQ555SRY222KM7. Activate it by registering an account with LiteForex, and receive the possibility of $30 deposit. All you need for a further participation in this unique promotion is to send 20 special promotion codes from LiteForex to your acquaintances, friends or relatives, just as I did.

The potential of your income depends only on you and your ability to give coverage of good news. And – believe me - LiteForex doesn’t have other news.

Registration link: http://www.liteforex.com/coupon_code/?coupon=07VQ555SRY222KM7
                       

সোমবার, ১৬ জুলাই, ২০১২

                                                                    What is ..........FOREX........



http://www.facebook.com/l.php?u=http%3A%2F%2Fyoutu.be%2Fzf5uDv9_upg&h=HAQGu12Ss

শনিবার, ১৪ জুলাই, ২০১২

Forex


                                           ফরেক্স কি?

                                              এই লিঙ্কে ক্লিক কোরে ডেমো অ্যাকাউন্ট খুলুন

http://www.liteforex.com/?fid=945130

ফরেক্স অথবা স্পট ফরেক্স হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রার ক্রয়-বিক্রয়। ফরেক্স মার্কেট এ আপনি একটি দেশের কারেন্সি বিক্রয় করে আর একটি দেশের কারেন্সি ক্রয় করতে পারবেন।
উদহারণসরুপ, আমেরিকা বা USA এর কারেন্সি হছে ডলার, ব্রিটেন বা UK এর কারেন্সি হচ্ছে পাউন্ড। ফরেক্স মার্কেট এ আপনি ডলার বিক্রয় করে পাউন্ড অথবা পাউন্ড বিক্রয় করে ডলার কিনতে পারেন। ডলার অথবা পাউন্ড ব্যাতিতও আর বিভিন্ন দেশের কারেন্সি আছে যা ফরেক্স মার্কেট এ আপনি ক্রয়-বিক্রয় করতে পারেন।
কিভাবে ফরেক্স মার্কেট থেকে আয় করা সম্ভব?
বিভিন্ন দেশের মুদ্রা সর্বদায় পরিবরতনশিল। আপনি পত্রিকায় দেখে থাকবেন যে কখনও কখনও ডলার টাকার বিপরীতে শক্তিশালী হচ্ছে, আবার কখনও টাকা ডলার এর বিপরীতে শক্তিশালী হচ্চে। এরকম পৃথিবীর অধিকাংশ মুদ্রার বিপরিতেই হয়। সুতরাং, আপনার যদি ডলার কেনা থাকে, ডলারের বিপরীতে ইউরো এর দাম পরে গেলে আপনি ডলার বিক্রয় করে ইউরো কিনে রাখতে পারেন। আবার, ইউরো ডলার এর বিপরীতে শক্তিশালী হলে, ইউরো বিক্রয় করে অধিক ডলার পেতে পারেন।
হয়ত আপনার কাছে ১০০ ডলার ছিলো যা বিক্রয় করে আপনি ৮০ ইউরো ক্রয় করেছিলেন। পরবর্তীতে ইউরোর দাম বাড়ার পর তা বিক্রয় করে ১২০ ডলার পেলেন। এভাবে আপনি আয় করতে পারেন। শেয়ার মার্কেট এ শুধু শেয়ার এর দাম বাড়লেই (buy) আমরা প্রফিট করতে পারি। কিন্তু ফরেক্স মার্কেট এ, কোন কারেন্সি শক্তিশালী অথবা দুর্বল হক, দুই ক্ষেত্রেই আমাদের প্রফিট করার সুযোগ আছে যেটা ফরেক্স মার্কেটের সবচেয়ে বড় সুবিধা।
ফরেক্স ট্রেড করার সুবিধাঃ
- আগের দিনে শুধুমাত্র বিশাল ধনী অথবা ব্যাংকগুলো ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করার সুযোগ পেত। কিন্তু বর্তমানে সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে বিভিন্ন ফরেক্স ব্রোকারের আবির্ভাব ও প্রতিযোগিতা বৃদ্ধির কারনে যে কেউই পৃথিবীর যে কোনো দেশ থেকে ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করতে পারে।
- মাত্র ১ ডলার দিয়ে ফরেক্স ট্রেড শুরু করা সম্ভভ। তাছারা প্রায় সব ব্রোকারই আপনাকে ফ্রী ডেমো ট্রেড করার সুবিধা দেবে, অর্থাৎ ভার্চুয়াল মানি দিয়ে। তাই প্রথমে আপনি নিখরচায় ডেমো ট্রেড করে নিজেকে প্রস্তুত করে নিতে পারেন এবং ডেমো ট্রেড করে সাফল্য ফেলে ডিপোজিট করে রিয়েল ট্রেড শুরু করতে পারেন।
- ফরেক্স মার্কেট পরিধি অনেক বড় এবং এই মার্কেটকে ম্যানিপুলেট করা সম্ভভ না। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্টক মার্কেট হচ্ছে নিউইয়র্ক স্টক মার্কেট এবং ফরেক্স মার্কেটের আকার তার থেকেও ২৫ গুন বেশি। মনে রাখবেন,ডলার বা ইউরো এর মূল্য কোন দেশের মূল্য কোনো দেশের সরকার নির্ধারণ করে দেয় না। বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও আর্থিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার মূল্য নিজে নিজেই পরিবর্তিত হয়। আপনি যে দামে ডলার বা ইউরো কিনবেন, সেই একই দামে পৃথিবীর সব দেশে ডলার বা ইউরো ক্রয়-বিক্রয় হবে।
- ফরেক্স মার্কেট এ ট্রেড করার ক্ষেত্রে বড় ধরনের লিভারেজ বা লোন সুবিধা পাওয়া যায়, আর তাই খুব অল্প মার্কেট মুভমেন্ট থেকেই আপনি ভাল প্রফিট করতে পারবেন।
- স্ক্যালপিং ফরেক্স এ খুব জনপ্রিয় একটি শব্দ। এর মানে হচ্ছে খুব অল্প সময়ের জন্য খোলা ট্রেড। ফরেক্স মার্কেটের খুব অল্প পরিবর্তনেও ভাল লাভ করা সম্ভভ। অনেকেই ১০ বা ১৫ সেকেন্ডের জন্য একটি ট্রেড ওপেন করে এবং প্রফিট পেলে তা নিয়ে ট্রেড থেকে বের হয়ে যায়।
- ফরেক্স মার্কেট সোম থেকে শুক্র, সপ্তাহের ৫ দিনই দিবা-রাত্রি ২৪ ঘণ্টার জন্য খোলা থাকে। আর তাই, আপনি ব্যাবসায়ি হোন বা চাকুরিজীবী, ফরেক্স মার্কেটে আপনি আপনার সুবিধামত ট্রেড করতে পারবেন।
- ফরেক্স ট্রেডিং আপনি বাসায় বসেই করতে পারবেন, বাইরে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। আর তাই পরিবারকে প্রচুর পরিমানে সময় দিতে পারবেন।
- ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করার জন্য আপনাকে সব কিছু অনলাইনে করতে হবে আর অ্যাকাউন্ট ওপেনিং থেকে শুরু করে অ্যাকাউন্টে ডিপোজিট বা উইথড্র করাও অনেক সহজ।
- আপনি যদি ভাল ট্রেড করতে পারেন, তাহলে অনেকেই আপনার সাথে ডিপোজিট করতে উৎসাহিত হবে এবং সেক্ষেত্রে আপনি তাদের ট্রেড পরিচালনা করতে পারেন এবং তাদের লাভের একটি অংশ আপনি পাবেন।
- সর্বোপরি একজন সফল ও দক্ষ ফরেক্স ট্রেডার এই মার্কেট থেকে প্রচুর পরিমানে আয় করতে পারবেন।
উল্লেখ করা বাঞ্ছনীয়, একজন দক্ষ ও সফল ট্রেডার হতে হলে আপনাকে ফরেক্স মার্কেট সম্পর্কে প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে, নিজেকে এই মার্কেটের যোগ্য করে তুলতে হবে। ফরেক্স মার্কেট থেকে যে কেউই কোন কিছু না জেনেও হয়ত প্রথম দিকে অনেক আয় করতে পারেন। মনে রাখবেন, ফরেক্স মার্কেট স্টক মার্কেটের মতই চ্যালেঞ্জিং। না জেনে হয়ত প্রাথমিকভাবে সফল হওয়া যাবে যেটা স্টক মার্কেটও অনেকেও অনেকে হয়। তবে দীর্ঘসময়ের জন্য টিকে থাকতে হলে, এক্সপার্ট হওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নেই।
আর একটি কথা, ফরেক্স মার্কেটে মন্দা বলে কিছু নেই। কারন স্টক মার্কেটে আপনি শুধু buy করতে পারেন, ফরেক্স মার্কেটে buy বা sell উভয়ই করতে পারবেন।
মনে রাখবেন,
When stock market is going down and down, in forex, one currency is always up!
ফরেক্স ট্রেডিং করার জন্য কি কি দরকার?
আপনার ইন্টারনেট কানেকশনসহ একটি পিসি অথবা উইন্ডোজ মোবাইল আছে? তাই যথেষ্ট।
আমি কিভাবে ডলার অথবা অন্যান্য মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় করব?
ফরেক্স ট্রেড করতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে কোনো একটি ফরেক্স ব্রোকারের সাথে অ্যাকাউন্ট ওপেন করতে হবে ও তাতে ডিপোজিট করতে হবে। অ্যাকাউন্ট খুব সহজেই ২ মিনিটে অনলাইনে ওপেন করা যায়। আপনি বিভিন্ন অনলাইন মুদ্রা যেমন পেপাল, অ্যালার্ট পে, লিবার্টি রিজার্ভ ইত্যাদি দিয়ে তাৎক্ষণিক আপনার আকাউন্টে ডিপোজিট করতে পারেন ও ফরেক্স ট্রেড করা শুরু করতে পারেন।
তবে সাধারনত অধিকাংশ মানুষই ব্যাংক এর মাধ্যমে ফরেক্স ব্রোকারদের সাথে ডিপোজিট করে। সেক্ষেত্রে, অ্যাকাউন্ট ওপেনিং এর পরে, আপনি আপনার ব্রোকারের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার এবং ব্যাংক ডিপোজিটের বিস্তারিত তথ্য পাবেন।
আপনার অ্যাকাউন্টে ডিপোজিট সম্পন্ন হলে আপনি ট্রেড করা শুরু করতে পারবেন। ফরেক্স ট্রেডিং অনলাইনে সফটওয়ারের মাধ্যমে করতে হয়। এই সফটওয়ার আপনি বিনামূল্যে আপনার ব্রোকারের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন। সফটওয়ারটি ইন্সটল করে ব্রোকার প্রদত্ত ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে তাতে সাইন ইন করলেই বিভিন্ন পেয়ারের চার্ট ও মূল্যতালিকা লোড হবে এবং আপনি আপনার ট্রেড ওপেন/ক্লোজ করতে পারবেন।

কি ট্রেড করা হয়?

সহজ উত্তর কারেন্সি। কারণ আমরা বাস্তবে কিছু কিনছি না। তাই এই ধরনের ট্রেডিং কিছুটা বিভ্রান্তিকর মনে হতে পারে।
আমরা যখন একটি কারেন্সি কিনি তখন আমরা একটি দেশের কিছু শেয়ার কিনছি , একটি প্রতিস্থানের শেয়ার কেনার মত। কারেন্সির দাম হল ওই দেশের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক অবস্থার প্রতিচ্ছবি।
যখন আমরা জাপানিজ ইয়েন কিনি (buy), আমরা মুলত জাপানি অর্থনীতিতে একটি শেয়ার কিনি। আমরা মনে করি জাপানি অর্থনীতির উন্নতি হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও আরও উন্নতি হবে। যখন আমরা ওই শেয়ারগুলো বিক্রি (sell) করে দেব, আশা করি আমরা লাভ করব।
সাধারণে, একটি কারেন্সির সাথে অন্য কারেন্সির আদান প্রদান হার সেই দেশটির অর্থব্যবস্থার তুলনায় অন্য দেশের অর্থব্যবস্থার প্রতিফলন।

Major Currencies


Money
কারেন্সি চিহ্নের তিনটি অক্ষর থাকে, যেখানে প্রথম দুইটি দেশের নাম নির্দেশ করে এবং তৃতীয়টি সেই দেশটির কারেন্সির নাম নির্দেশ করে।
যেমন NZD এর ক্ষেত্রে, NZ দিয়ে New Zealand বোঝানো হয়েছে, এবং D দিয়ে Dollar বোঝানো হয়েছে। সহজ, তাইনা?
উপরের কারেন্সিগুলো প্রধান কারন সেগুলোই সবচেয়ে বেশি ট্রেড করা হয়।
Buck হল USD'র ডাক নাম।
USD-কে greenbacks, bones, benjis, benjamins, cheddar, paper, loot, scrilla,
cheese, bread, moolah, dead presidents, coco and cash money নামেও ডাকা হয়।

ফরেক্স মার্কেট বেসিক

Currency Pair (কারেন্সি পেয়ার):

শেয়ার মার্কেটের নিয়ম হচ্ছে যেকোনো শেয়ারের মূল্য সে দেশের মুদ্রার বিপরীতে নির্ধারিত হবে। যেমন, আমাদের দেশের শেয়ার মার্কেটে কোনো শেয়ারের মূল্য টাকায় নির্ধারিত হয়।

কিন্তু ফরেক্স মার্কেটে এভাবে কোন দেশের মূদ্রা বা কারেন্সির মান নির্ধারণ অসম্ভব। শুধু ইউরো বা ডলারের কোন মূল্য থাকতে পারে না। যেমনঃ ১ ডলার দিয়ে ৭৩ বাংলাদেশী টাকা পাওয়া যায়। এবার ১ ডলার দিয়ে মাত্র ০.৭০ ইউরো অথবা ০.৯৩ অস্ট্রেলিয়ান ডলার পাওয়া সম্ভব। আবার যদি জাপানিজ ইয়েনের কথা ধরি, তাহলে ১ ডলার দিয়ে আপনি ৮০ ইয়েন পাবেন। তাহলে, ডলারর মূল্য আসলে কোনটি? বিভিন্ন দেশের মানুষই তো ফরেক্স মার্কেটে ট্রেড করে, কোন দামে তারা ডলার কিনবে?

এই জন্যই ফরেক্স মার্কেটে সবকিছু কারেন্সি পেয়ারের মাধ্যমে ট্রেড হয়। 

যেমন ধরুন, EUR/USD (ইউরো/উএসডি), একটি কারেন্সি পেয়ার। বর্তমানে 1 EUR/USD = 1.4434 . এর মানে হচ্ছে ১ ইউরো দিয়ে আপনি ১.৪৪৩৪ ডলার পাবেন। ওহ, বলতে ভুলে গেছি, USD = United States Dollar বা আমেরিকান ডলার। সহজ করে বললে, যেটাকে আমরা ডলার বলে চিনি।

চলুন দেখে নেই আরও কিছু কারেন্সি পেয়ারঃ

1 AUD/USD = 1.0543 , এর মানে হচ্ছে ১ অস্ট্রেলিয়ান ডলার দিয়ে আপনি ১.০৫৪৩ আমেরিকান ডলার পাবেন।
1 GBP/USD = 1.6422 , এর মানে হচ্ছে ১ পাউন্ড দিয়ে আপনি ১.৬৪২২ আমেরিকান ডলার পাবেন।
1 NZD/USD = 0.8177 , এর মানে হচ্ছে ১ নিউজিল্যান্ড ডলার দিয়ে আপনি ০.৮১৭৭ আমেরিকান ডলার পাবেনচা
1 USD/JPY = 80.29 , এর মানে হচ্ছে ১ ডলার দিয়ে আপনি ৮০.২৯ জাপানিজ ইয়েন পাবেন।
1 EUR/JPY = 115.91 , এর মানে হচ্ছে ১ ইউরো দিয়ে আপনি ১১৫.৯১ জাপানিজ ইয়েন পাবেন।

এখন বুঝলেন কারেন্সি পেয়ারের ব্যাপারটা?

ভাই, আমি যদি একটু ঘুরায় লিখি? মানে আপনি তো লিখলেন যে, 1 EUR/USD = 1.4434 আমি যদি এভাবে EUR/USD না লিখে USD/EUR লিখি, তাহলে কোনো সমস্যা আছে?

অবশ্যই নেই। তবে মনে রাখবেন, কারেন্সি পেয়ারের প্রথম কারেন্সি নির্দেশ করে তা দিয়ে আপনি কত পরের কারেন্সিটা পাবেন। 

1 EUR/USD = 1.4434 . এর মানে হচ্ছে ১ ইউরো দিয়ে আপনি ১.৪৪৩৪ ডলার পাবেন।

তাহলে, 1 USD/EUR নির্দেশ করবে ১ ডলার দিয়ে আপনি কত ইউরো পাবেন। উত্তর হবে, ঠিক উল্টো, 1/1.4434 বা ০.6928

একটা ছোট্ট পরীক্ষা নেই আপনার, দেখি আপনি কিছু শিখতে পারলেন না। উত্তর মিলিয়ে নিতে পারবেন, এই পোষ্টের নিচে দেওয়া আছে। সাবধান, উত্তর কিন্তু চুরি করবেন না! 
ধাঁধা ১:
1 EUR/GPB = 0.8708 , এর অর্থ কি? চাইলে উপর থেকে সাহায্য নিতে পারবেন, আর নিচ থেকে উত্তর মিলিয়ে নিতে পারবেন।

একটা প্রশ্ন এখনও রয়েই গেল, আপনি প্রতিবার দশমিকের পরে এতগুলো সংখ্যা নিচ্ছেন কেন? যেমন, 1 EUR/USD = 1.4434 লিখেন কেন? 1.44 লিখলেই তো হয়। শেয়ার মার্কেটে তো এই দশমিকের ভেজাল নাই, সব শেয়ারের মূল্য হয় ২০ টাকা, নয় ৬০ টাকা নতুবা হয়ত ১২০০ টাকা। কোনদিন তো শেয়ারের দাম ২০.২৫৪৩ তা শুনি নাই। এত ভেজাল কেন?

প্রথমত ফরেক্স মার্কেটে কোন কারেন্সি পেয়ার হচ্ছে দুইটা কারেন্সির অনুপাত। যেমন, EUR/USD এর মানে হচ্ছে ১ ইউরো দিয়ে কত ডলার পাব। শেয়ার মার্কেটে তো আর আমরা ১ টা জনতা ব্যাঙ্কের শেয়ার দিয়ে মেঘনা সিমেন্টের কয়টা শেয়ার পাবো তা এর হিসাব করি না। আর তাই, আমাদের দেশের শেয়ার মার্কেটে অধিকাংশ শেয়ারের দাম পুরন সংখ্যায়, তবে কিছু শেয়ারের দাম দশমিকে।

এর ফরেক্স মার্কেটে দশমিকের পর ৪ তা ঘর পর্যন্ত নেয়া হয়েছে কারন ফরেক্স মার্কেটে সাধারনত মুভমেন্ট দশমিকের পরে ৩ আর ৪ নাম্বার ঘরেই বেশি হয়। তাই এটাকে স্ট্যান্ডার্ড ধরা হয়েছেঃ

চলুন দেখে নেই এক নজরে ৬ জুন থেকে ১০ জুন, ২০১১ , এই ৫ দিন এ EUR/USD এর মূল্য:

EUR/USD

তারিখ - দিনের সর্বোচ্চ - দিনের সর্বনিম্ন

৬ জুন, ২০১১ - ১.৪৫৫৮ - ১.৪৬৫৮
৭ জুন, ২০১১ - ১.৪৫৬৪ - ১.৪৬৯৬
৮ জুন, ২০১১ - ১.৪৫৬৫ - ১.৪৬৯৫
৯ জুন, ২০১১ - ১.৪৪৭৮ - ১.৪৬৫৩
১০জুন, ২০১১ - ১.৪৩২৩ - ১.৪৫৫১

দেখতেই পাচ্ছেন যে মার্কেট যা মুভ করছে তা মূলত দশমিকের পরে ২য়, ৩য় ও ৪র্থ ঘরে হচ্ছে। 

[
ধাঁধা ১ উত্তর: 1 EUR/GPB = 0.8708 . এর মানে হচ্ছে ১ ইউরো দিয়ে আপনি ­ 0.8708 পাউন্ড পাবেন]

পিপস এবং পিপেটিস


PIPS (পিপস):
ফরেক্স মার্কেটে কোন কারেন্সি পেয়ারের দশমিকের পরে ৪থ সংখ্যার প্রতি এক একক পরিবর্তন বা মুভমেন্টকে PIP বা পিপ বলে। PIPS অথবা পিপস হচ্ছে PIP এর বহুবচন, যেমনঃ Market has changed 120 pips today. অর্থাৎ, মার্কেট আজকে ১২০ পিপস পরিবর্তিত হয়েছে। অনেকে পিপস কে পয়েন্ট ও বলে। তবে আন্তর্জাতিকভাবে pips ই বহুল প্রচলিত।
পিপস কি , তা বুঝতেই অধিকাংশ মানুষ প্রচুর সময় ব্যয় করে ফেলে। দেখা যাক, আমরা কিছু উদহারনের সাহায্যে সহজ করে শিখতে পারি কিনা।

উদহারন ১:

আপনি আপনার টার্মিনাল (আপনার ব্রোকার প্রদত্ত ট্রেড করার সফটওয়ার) টি ওপেন করলেন। দেখলেন, EUR/USD ছিল ১.৪৩৪০ এবং বর্তমানে তা ১.৪৩৪৫ । 

কয় পিপস পরিবর্তন হল?

বের করার নিয়মঃ বেশি-কম = ১.৪৩৪৫ - ১.৪৩৪০ = ০.০০০৫

আমি আগেই বলেছি পিপস গণনা শুরু হয়, দশমিকের পর চার নাম্বার সংখ্যা থেকে। ভুলে যান দশমিক, আসুন সহজ করে হিসাব করিঃ

৪৩৪৫-৪৩৮০ = ৫

অর্থাৎ, মার্কেট ৫ পিপস পরিবর্তিত হয়েছে।

তাহলে এবার বলুন,

উদহারন ২:

GBB/USD ১.৫৬৩০ থেকে ১.৫৬৩৯ তে গেল। মার্কেট কত পিপস মুভ করল?

৫৬৩৯-৫৬৩০ = ৯ পিপস।

আরও কিছুঃ

মার্কেট মুভমেন্ট (EUR/USD)

আগে ছিল ১.৩৪৫০ , বর্তমানে ১.৩৪৩২ = ৩৪৫০ - ৩৪৩২ = ১৮ পিপস মার্কেট মুভমেন্ট

আগে ছিল ১.৩৪৫০ , বর্তমানে ১.৩৫৫০ = ৩৫৫০ - ৩৪৫০ = ১০০ পিপস মার্কেট মুভমেন্ট

আগে ছিল ১.৩৭৫০ , বর্তমানে ১.৩৪৩২ = ৩৭৫০ - ৩৪৩২ = ৩১৮ পিপস মার্কেট মুভমেন্ট

আগে ছিল ১.৪৪৫০ , বর্তমানে ১.৩৪৫০ = ৪৪৫০ - ৩৪৫০ = ১০০০ পিপস মার্কেট মুভমেন্ট


আশা করি বুঝতে পেরেছেন। নিজেকে টেস্ট করে নিনঃ

ধাঁধা ২:

EUR/USD আগে ছিল ১.৩৫৭০ , বর্তমানে ১.৩৫৫০। 

মার্কেট কত পিপস মুভ করল?

যদি পারেন তাহলে বুঝবেন আপনি ঠিক পথেই এগোচ্ছেন।
পিপস সম্পর্কে স্বছ ধারণা থাকা প্রয়োজন, কেননা -

ফরেক্স মার্কেটের মুভমেন্ট পিপস এর সাহায্যে গণনা করা হয়। প্রায়শই শুনবেন ইউরো/উ.এস.ডি আজকে ২০০ পিপস বেড়েছে। মার্কেট খুব মুভ করছে, ৫ মিনিটেই ১০০ পিপস বেড়েছে ইত্যাদি।

Pipettes (পিপেটিস):
কিছু কিছু ব্রোকারে প্রাইস দশমিকের পরে ৫ ডিজিট থাকে। যেমনঃ ১.৪২৫৬১. এই পঞ্চম ডিজিট তাই হল পিপেটি। সুতরাং প্রাইস যদি ১.৪২৫৬১ থেকে ১.৪২৬৬৭ এ যায়, তবে বুঝতে হবে ১০ পিপস ৬ পিপেটিস বেড়েছে অথবা ১০৬ পিপেটিস পরিবর্তন হয়েছে।


লট/ভলিউমঃ
লট ব্যাপারটি অনেক সহজ। কিন্তু আপনি যখন ইউনিটের হিসাবে যাবেন, তখন তা আপনার কাছে জটিল মনে হবে। তাই আমরা এখানে ইউনিটের হিসাবে যাব না বরং সহজ ভাবে বোঝানোর চেষ্টা করবো। ইউনিটের ক্যালকুলেশন জানতে বেবীপিপসে দেখুন।
ফরেক্স মার্কেটে আমরা প্রতি পিপস মুভমেন্টে লাভ করতে পারি। অর্থাৎ প্রাইস ১.১৭১০ থেকে ১.১৭২০ এ গেলে আমাদের ১০ পিপস লাভ বা লস হবে। লট/ভলিউমের মাধ্যমে আমরা নির্ধারণ করে দিবো যে প্রতি পিপস আমাদের অনুকূলে বা প্রতিকূলে গেলে আমাদের কি পরিমান লাভ বা লস হবে।
ফরেক্স ব্রোকারদের আমরা সুবিধার জন্য ৩ ভাগে ভাগ করছি।
স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকার
মিনি লট ব্রোকার
মাইক্রো লট ব্রোকার

স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকারে ১ লট = $১০/পিপস। কিন্তু মিনি লট ব্রোকারে ১ লট = $১/পিপস। আর মাইক্রো লট ব্রোকারে ১০ লট = $১/পিপস।
তারমানে, আপনি স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকারে যদি ১ লট দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করেন এবং ১০ পিপস আপনার অনুকুলে যায় তবে আপনার লাভ হচ্ছে $১০x১০=$১০০. অনুরুপ লস হলেও $১০০ হবে।
কিন্তু, আপনি মিনি লট ব্রোকারে যদি ১ লট দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করেন এবং ১০ পিপস আপনার অনুকুলে যায় তবে আপনার লাভ হচ্ছে $১x১০=$১০. অনুরুপ লস হলেও $১০ হবে।
আর, আপনি মাইক্রো লট ব্রোকারে যদি ১ লট দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করেন এবং ১০ পিপস আপনার অনুকুলে যায় তবে আপনার লাভ হচ্ছে $০.১x১০=$১. অনুরুপ লস হলেও $১ হবে।

স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকারেঃ
  • ১ স্ট্যান্ডার্ড লট = $১০/পিপস
  • ০.১ স্ট্যান্ডার্ড লট = $১/পিপস
  • ০.০১ স্ট্যান্ডার্ড লট = $০.১০/পিপস
  • ১০ স্ট্যান্ডার্ড লট = $১০০/পিপস
মিনি লট ব্রোকারেঃ
  • ১ মিনি লট = $১/পিপস
  • ০.১ মিনি লট = $০.১০/পিপস
  • ০.০১ মিনি লট = $০.০১/পিপস
  • ১০ মিনি লট = $১০/পিপস
মাইক্রো লট ব্রোকারেঃ
  • ১ মাইক্রো লট = $০.১০/পিপস
  • ০.১ মাইক্রো লট = $০.০১/পিপস
  • ০.০১ মাইক্রো লট = $০.০০১/পিপস
  • ১০ মাইক্রো লট = $১/পিপস
নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন স্ট্যান্ডার্ড লট, মিনি লট এবং মাইক্রো লটের পার্থক্য। ব্রোকাররা তাদের সুবিধা মত লট সাইজ ঠিক করে।
অধিকাংশ ব্রোকার আপনাকে সর্বনিম্ন ০.০১ লটে ট্রেড করতে দিবে। অর্থাৎ, স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকারে আপনি সর্বনিম্ন পিপ ভ্যালু নিতে পারবেন ১০ সেন্ট। কিন্তু মিনি লট ব্রোকারে আপনি সর্বনিম্ন পিপ ভ্যালু নিতে পারবেন ১ সেন্ট। আর মাইক্রো লট ব্রোকারে আপনি সর্বনিম্ন পিপ ভ্যালু নিতে পারবেন ০.১ সেন্ট। সুতরাং আপনার ক্যাপিটাল যদি কম হয়ে থাকে, তাহলে আপনি মিনি লট বা মাইক্রো লট ব্রোকারে কম রিস্ক নিয়ে ট্রেড করতে পারবেন।
শুধু যে আপনি ১ লট, ০.১ লট অথবা ০.০১ লটে ট্রেড করতে পারবেন তাই নয়, আপনি চাইলে ২.৫ লট, ১.৩ লট এরকম কাস্টম লটেও ট্রেড করতে পারেন।
কিভাবে বুঝবো আমার ব্রোকারটি মাইক্রো লট, মিনি লট না স্ট্যান্ডার্ড লট?
ট্রেডিং পয়েন্টের মাইক্রো অ্যাকাউন্টে আপনি মাইক্রো লটে ট্রেড করতে পারবেন। ইন্সটাফরেক্স, হটফরেক্স, লাইটফরেক্স ইত্যাদি ব্রোকারগুলো মিনি লট ব্রোকার। এফ.বি.এস, এফ. এক্স. অপ্টিমাক্স ইত্যাদি ব্রোকারগুলো স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকার। আপনি যদি না জানেন আপনার ব্রোকারটি মাইক্রো লট, মিনি লট না ষ্ট্যাণ্ডার্ড লট, তাহলে ব্রোকারের লাইভ সাপোর্টে প্রশ্ন করুন। অনেক সময় তাদের ওয়েবসাইটেও দেয়া থাকে। অথবা তাদের সাথে একটি ডেমো অ্যাকাউন্ট খুলে ১ লট দিয়ে একটি ট্রেড ওপেন করুন। যদি দেখেন যে প্রতি পিপস পরিবর্তনে $১০ ডলার করে লাভ বা লস হচ্ছে তবে বুঝবেন এটা স্ট্যান্ডার্ড লট ব্রোকার। আর যদি দেখেন যে $১ ডলার করে পরিবর্তন হচ্ছে, তাহলে বুঝবেন এটা মিনি লট ব্রোকার। ১০ সেন্ট করে পরিবর্তন হলে বুঝবেন তা মাইক্রো লট ব্রোকার। কিন্তু কিছু কিছু ব্রোকারের একেক অ্যাকাউন্ট টাইপে একেক রকম লট সাইজ থাকে। 

টাইমফ্রেম:
টাইমফ্রেমের মাধ্যমে আমরা কোন নির্দিষ্ট ৫ মিনিট, ১৫ মিনিট, ১ ঘন্টা, ১ সপ্তাহ বা ১ মাসে প্রাইস সর্বোচ্চ কত বেড়েছিল বা কমেছিল ইত্যাদি আমরা জানতে পারি। যদি আমরা ১টি ৫ মিনিটের ক্যানডেল দেখি, তাহলে তা থেকে আমরা বুঝতে পারবোঃ
  • কোন প্রাইসে ক্যানডেলটি শুরু হয়েছে
  • কোন প্রাইসে ক্যানডেলটি ক্লোজ হয়েছে
  • প্রাইস ঐ ৫ মিনিতে সর্বোচ্চ কত বেড়েছিল
  • প্রাইস ঐ ৫ মিনিতে সর্বনিম্ন কত কমেছিল
সাধারনত নিম্নোক্ত টাইমফ্রেমগুলো বেশী ইউজ হয় কারন এগুলো মেটাট্রেডার ৪ এ দেয়া আছে। কিন্তু মেটাট্রেডার ৫ এ আপনি আরো কাস্টম টাইমফ্রেম ব্যবহার করতে পারবেন।
  • M1
  • M5
  • M15
  • M30
  • H1
  • H4
  • D1
  • W1
  • MN
আপনি কোন নির্দিষ্ট টাইমফ্রেমের কোন ১টি ক্যানডেল দেখলেই বুঝতে পারবেন ঐ সময়ে প্রাইসের মুভমেন্ট কেমন হয়েছিল।

লাল দাগ দিয়ে সিলেকটেড ক্যানডেলটি দেখুন। এটা দেখে ৪ ঘন্টায় প্রাইস অ্যাকশন বোঝা যাচ্ছে।

কোন টাইমফ্রেমে ট্রেড করবো?
এটা নির্ভর করে আপনি কি ধরনের ট্রেড করতে চান। আপনি যদি স্ক্যাল্পিং পছন্দ করেন তবে আপনার উচিত M1, M5 অথবা M15 এ ট্রেড করা। আপনি যদি সাধারন কিংবা একটু লং টার্ম ট্রেড করতে চান, তবে আপনার M30, H1 অথবা H4 এ ট্রেড করা উচিত। সুইং বা পজিশন ট্রেড করতে আগ্রহী হলে আপনার সপ্তাহ অথবা মাসের টাইমফ্রেমগুলোকে অ্যানালাইসিস করা উচিত।

স্প্রেডঃ
আপনি একটি ট্রেড ওপেন করলেই দেখবেন ট্রেডটি কিছুটা লসে ওপেন হবে। এটাকেই স্প্রেড বলে। ফরেক্স ব্রোকার একটি ট্রেড ওপেন করার জন্য এই ফি কমিশন বা চার্জ হিসেবে কেটে নেয়।
আপনি ধরুন ১.৭৪৪৫ এ GBPUSD বাই করলেন, কিন্তু তা ১.৭৪৪৯ এ ওপেন হবে অর্থাৎ ৩ পিপস ফি প্রযোজ্য হয়েছে। আপনি যদি $১ পিপস ভ্যালু দিয়ে ট্রেড ওপেন করে থাকেন তবে ট্রেডটি $৩ লসে ওপেন হবে।

বিভিন্ন পেয়ারের স্প্রেড বিভিন্ন হয়। আবার বিভিন্ন ব্রোকার ভেদেও স্প্রেড কম বেশি হতে পারে। যেমন Instaforex এ EURUSD এর স্প্রেড ৩ পিপস। কিন্তু Fxoptimax এ EURUSD এর স্প্রেড ২ পিপস। কিছু কিছু পেয়ার এ স্প্রেড ৩০ পিপস পর্যন্ত বা তার বেশী হতে পারে। তাই অপরিচিত পেয়ার ট্রেড করার আগে স্প্রেড কত তা দেখা নেয়া উচিত।

স্টপ লস এবং টেক প্রফিটঃ
স্টপ লস (stop loss): স্টপ লসের মাধ্যমে আপনি আপনার লসে থাকা ট্রেডটি কোন প্রাইস এ বন্ধ করে দিতে চান তা ঠিক করে দিতে পারবেন।
টেক প্রফিট (take profit): টেক প্রফিটের মাধ্যমে আপনি আপনার লাভে থাকা ট্রেডটি কোন প্রাইসে বন্ধ করে দিতে চান তা ঠিক করে দিতে পারবেন।
ধরুন, আপনি ১.৩৫৪০ তে একটি বাই ট্রেড ওপেন করলেন। আপনি চাচ্ছেন ৫০ পিপস লাভ করবেন এবং ৫০ পিপসের বেশি লস করবেন না। তাহলে আপনি ৫০ পিপস স্টপ লস এবং ৫০ পিপস টেক প্রফিট সেট করে রাখতে পারেন। আপনার কম্পিউটার বন্ধ থাকলে বা কোন স্পাইকের ফলে হঠাৎ প্রাইস বেড়ে বা কমে গেলে, স্টপ লস বা টেক প্রফিটের প্রাইসে অটোমেটিক ভাবে আপনার ট্রেড ক্লোজ হয়ে যাবে।

লিভারেজ কি?

লিভারেজ বা মার্জিন লোন হচ্ছে আপনার ক্যাপিটাল এর উপর সর্বোচ্চ কত গুন লোন আপনার ফরেক্স ব্রোকার আপনাকে দিবে।

ধরুন, আপনার ব্যাল্যান্স বা ক্যাপিটাল হচ্ছে ১০০ ডলার । আপনি যদি ১;২০০ লিভারেজ ব্যাবহার করেন, তাহলে আপনি ট্রেড করার সময় আপনার ব্রোকার আপনাকে সর্বোচ্চ্য ২০০ গুন পর্যন্ত লোন দিবে। এখন এইটা আপনার ব্যাপার আপনি কত পরিমান লোন নিবেন। সুতরাং, ১০ ডলার দিয়ে ১০x২০০=২০০০ ডলার ট্রেড করতে পারবেন।


ভালোই তো .... যদি ২০০ গুন পর্যন্ত লোন পাই, তাহলে নিবো না কেন? স্টক মার্কেটে তো ১:২ লোনই দিতে চায় না। 

ধরুন, আপনি ১০ ডলার ডিপোজিট করলেন, ঠিক করলেন লিভারেজ ব্যাবহার করবেন, ১:১ , মানে কোন লোন নিবেন না। সেক্ষেত্রে, ব্রোকার আপনাকে বড় সাইজের কোন ট্রেড ওপেন করতে দিবে না। ওই ১০ ডলার দিয়ে যতটুকু বড় ট্রেড ওপেন করা যায়, ঠিক ততটুকুই ট্রেড ওপেন করতে দিবে। সেক্ষেত্রে, মার্কেট আপনার অনুকুলে ৫০ পিপস মুভ করলে হয়ত আপনার ১ ডলার লাভ হবে। সাধারনত বিভিন্ন কারেন্সি পেয়ার প্রতিদিন ১০০-৩০০ পিপস মুভ করে।

তো আপনি ভাবলেন, লোন নিবেন ও আরও বড় ট্রেড ওপেন করবেন যাতে লাভ বেশি হয়। আপনাকে যদি কোন ব্রোকার ১:২০০ লিভারেজ অফার করে, তাহলে আপনি ইচ্ছা করলে ১০ ডলার দিয়ে ২০০০ ডলার ট্রেড করতে পারবেন। আর তাই, আগে যা লাভ হতো, এখন তার থেকে ২০০ গুন বেশি লাভ হবে। একইভাবে, আগে যা লস হতো, আপনি যদি ১:২০০ লিভারেজ এর পুরো ব্যাবহার করেন, লসও তার ২০০ গুন বেশি হবে। যদি আগে মার্কেট আপনার অনুকুলে ৫০ পিপস মুভ করলে ১ ডলার লাভ হতো, এখন তাহলে ২০০ ডলার লাভ হবে।

ব্রোকার লোন আপনাকে ঠিকই দিবে। লাভ হলে তো ভালোই, লস এর ক্ষেত্রে আপনার লস যদি কোন সময় আপনার ক্যাপিটাল এর সমান হয়, তাহলে সাথে সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ট্রেড ক্লোজ হয়ে যাবে। ব্রোকার কোন অবস্থাতেই আপনার যা ক্যাপিটাল আছে, তার থেকে বেশি লসে আপনার ট্রেড চলতে দিবে না। এইটাকে ফরেক্সে মার্জিন কল বলে, বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেটে বলে ফোর্সড সেল।

ভাই, এইটা তো ভয়ানক কথা বললেন! বেশি লিভারেজ ব্যাবহার করে ট্রেড ওপেন করতে গিয়ে আমার লস যদি ক্যাপিটাল এর সমান হয়, তাহলে কি ফতুর হয়ে যাব নাকি?

সোজা বাংলা কথায়, হ্যা! সুতরাং, লিভারেজ যাই সেট করুন না কেন, ট্রেড খোলার সময় কখনই ব্যালেন্স এর অনুপাতে বেশি বড় ট্রেড খুলবেন না। কিছু মানুষ বলে যে ফরেক্স নাকি একদিনেই ক্যাপিটাল দুই গুন, তিন গুন করা সম্ভভ। ভাগ্য থাকলে অবশই সম্ভব। কিন্তু এভাবে ঝুকি নিয়ে ট্রেড করলে ধরা একদিন না একদিন খেতেই হবে।


কারেন্সি জোড়/পেয়ার

ফরেক্স ট্রেডিং হল একই সাথে একটি কারেন্সির ক্রয় এবং অন্য কারেন্সির বিক্রয়। কারেন্সি কোন ব্রোকার অথবা ডিলারের মাধ্যমে এবং Pair বা জোড়ায় ট্রেড করা হয়।
উদাহারনসরূপঃ ইউরো ও ইউ. এস. ডলার এর জোড় EUR/USD অথবা ব্রিটিশ পাউন্ড ও জাপানিজ ইয়েন এর জোড় GBP/JPY.
আপনি যখন ফরেক্স ট্রেডিং করবেন, আপনাকে Pair বা জোড় এর মাধ্যমে ক্রয়/বিক্রয় করতে হবে।
মনে করুন, এই রশির দুই প্রান্তে দুটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা রয়েছে। এক্সচেঞ্জ রেট ওঠা-নামা করে, কখন কোন কারেন্সি শক্তিশালী তার ওপর ভিত্তি করে।
প্রধান কারেন্সি পেয়ার-সমূহ:
নিচের কারেন্সি পেয়ারগুলোকে প্রধান কারেন্সি পেয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই কারেন্সি পেয়ার গুলো USD পেয়ার এবং সহসাই ট্রেড করা হয়। এই প্রধান পেয়ার গুলোর তারল্য সবচেয়ে বেশি এবং এগুলো বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ট্রেড করা হয়।










প্রধান ক্রস-কারেন্সি অথবা অপ্রধান কারেন্সি পেয়ার-সমূহ:
ইউ. এস. ডলার ব্যাতিত কারেন্সি পেয়ারসমূহকে ক্রস-কারেন্সি পেয়ার অথবা শুধু ক্রস পেয়ার বলা হয়। প্রধান ক্রসগুলো অপ্রধান কারেন্সি পেয়ার নামেও পরিচিত। সবচেয়ে বেশি ট্রেডকৃত ক্রস পেয়ারগুলো এসেছে - EUR, GBP এবং JPY থেকে।

Euro Crosses


Yen Crosses


Pound Crosses


Other Crosses


Exotic Pairs

একটি প্রধান কারেন্সির সাথে আরেকটি কারেন্সি পরিপুরক হিসেবে যেই পেয়ারে যুক্ত হয়, তাকে Exotic পেয়ার বলে।

কিছু কিছু ফরেক্স ব্রোকারে এই কারেন্সি পেয়ারগুলো ট্রেড করা যায়। এগুলো প্রধান এবং ক্রস পেয়ার গুলোর মত অত্যাধিক ট্রেড করা হয়না।

Exotic পেয়ারগুলোর স্প্রেড EUR/USD অথবা USD/JPY এর তুলনায় দুই অথবা তিন গুন বেশি। তাই যদি আপনি এই Exotic পেয়ারসমূহ ট্রেড করতে চান, তবে তা ভেবে করবেন।

কিভাবে ফরেক্সে লাভ/লস হয়

ফরেক্স মার্কেটে আপনি বাই (buy) অথবা সেল (sell) করবেন।
একটি ট্রেড খোলা খুবই সোজা। ট্রেড খোলার পদ্ধতি সহজ এবং আপনার যদি স্টক মার্কেটে ট্রেড করার অভিজ্ঞতা থাকে তবে আপনি তা আর তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবেন।
মনে করুন আপনি ১.১৮০০ এক্সচেঞ্জ রেটে  EUR/USD - তে ১০,০০০ ইউরো কিনলেন $১১,৮০০ ডলার দিয়ে। দুই সপ্তাহ পর EUR/USD এক্সচেঞ্জ রেট বেড়ে ১.২৫০০ হল। তখন আপনি $১২,৫০০ ডলারে তা বিক্রি করলে আপনার লাভ হবে $৭০০ ডলার।
এক্সচেঞ্জ রেট হল একটি কারেন্সির সাপেক্ষে আরেকটি কারেন্সির দামের অনুপাত। যেমনঃ USD/CHF এর এক্সচেঞ্জ রেট নির্দেশ করে, কত ইউ. এস. ডলার এর বিনিময়ে ১ সুইস ফ্রাঙ্ক কেনা যাবে, অথবা ১  ইউ. এস. ডলার কিনতে কত সুইস ফ্রাঙ্ক প্রয়োজন।
কিভাবে ফরেক্স কোটেশন পড়তে হয়
প্রতিটি ট্রেডে আপনি একই সাথে একটি কারেন্সি কিনেন এবং আরেকটি বিক্রি করেন। তাই ফরেক্স মার্কেটে কারেন্সি পেয়ারের দাম কোটেশন এর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
GBP/USD এর ফরেন এক্সচেঞ্জ রেট নিম্নরূপঃ
GBP/USD quote

স্লাশ (/) এর আগের কারেন্সিকে বলা হয় বেস (base) কারেন্সি এবং স্লাশ (/) এর পরের কারেন্সিকে বলা হয় কিউটো (quote) কারেন্সি।
এখানে GBP হল বেস (base) কারেন্সি এবং USD হল কিউটো (quote) কারেন্সি।
বাই (buy) করার সময়, এক্সচেঞ্জ রেট নির্দেশ করে ১ ইউনিট বেস কারেন্সি কেনার জন্য কত ইউনিট কিউটো কারেন্সি দিতে হবে। উদাহারনস্বরূপঃ ১ ব্রিটিশ পাউন্ড কেনার জন্য ১.৫১২৫ ইউ. এস. ডলার দিতে হবে।
সেল (sell) করার সময়,  এক্সচেঞ্জ রেট নির্দেশ করে ১ ইউনিট বেস কারেন্সি সেল করলে কত ইউনিট কিউটো কারেন্সি পাওয়া যাবে। উদাহারনস্বরূপঃ ১ ব্রিটিশ পাউন্ড বিক্রি করলে আপনি ১.৫১২৫ ইউ. এস. ডলার পাবেন।
বেস কারেন্সি হল বাই ও সেল এর মূল ভিত্তি। যদি আপনি EUR/USD বাই করেন, তবে আপনি বেস কারেন্সি EUR কিনছেন এবং একই সাথে কিউটো কারেন্সি USD বিক্রি করছেন। সহজ কথায়, EUR কেনা, USD বিক্রি করা।
আপনি কারেন্সি পেয়ারটি বাই করবেন যদি আপনি বিশ্বাস করেন যে, কিউটো কারেন্সির তুলনায় বেস কারেন্সি শক্তিশালী হবে। এর আপনি সেল করবেন যদি আপনি মনে করেন কিউটো কারেন্সির তুলনায় বেস কারেন্সি দুর্বল হয়ে যাবে।
লং/সর্ট (long/short):
প্রথমে আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি বাই করবেন না সেল করবেন।
আপনি যদি বাই করতে চান (বেস কারেন্সি কেনা এবং কিউটো কারেন্সি বিক্রি করা), তার মানে আপনি চাচ্ছেন বেস কারেন্সির দাম বেড়ে যাক এবং আপনি সেটা বিক্রি করে দিবেন আরও বেশি দামে। ট্রেডারদের ভাষায় একে বলে লং (long) অথবা লং পজিশন নেয়া। মনে রাখবেন, লং = বাই (long = buy)।
আপনি যদি সেল করতে চান (বেস কারেন্সি বিক্রি করা এবং কিউটো কারেন্সি কেনা), তার মানে আপনি চাচ্ছেন বেস কারেন্সির দাম কমে যাক এবং আপনি সেটা কিনবেন আরও কম দামে। ট্রেডারদের ভাষায় একে বলে শর্ট (short) অথবা শর্ট পজিশন নেয়া। মনে রাখবেন, শর্ট = সেল(short= sell)।
বিড/আস্ক (bid/ask):

EUR/USD quote

সব ফরেক্স কোটেশনে ২ টি প্রাইস দেখান হয়। বিড এবং আস্ক। প্রায় সবক্ষেত্রে বিড প্রাইস, আস্ক প্রাইস থেকে কম হয়।
বিড হল এমন একটি প্রাইস যে দামে ব্রোকার কিউটো কারেন্সির পরিবর্তে বেস কারেন্সি কিনতে চায়। অর্থাৎ, সেল করার জন্য বিড হল সবচেয়ে ভাল প্রাইস।
আস্ক হল এমন একটি প্রাইস যে দামে ব্রোকার কিউটো কারেন্সির পরিবর্তে বেস কারেন্সি বিক্রি করতে চায়। অর্থাৎ, বাই করার জন্য আস্ক হল সবচেয়ে ভাল প্রাইস।
বিড এবং আস্ক এর পার্থক্যই স্প্রেড (spread) নামে পরিচিত।
EUR/USD -র উপরের কোটেশনে বিড প্রাইস হল 1.3456 এবং আস্ক প্রাইস হল 1.3458.
অর্থাৎ, এখানে স্প্রেড 2 পিপস।
আপনি যদি সেল ক্লিক করেন তবে আপনি 1.3456 -এ সেল করবেন। আর যদি বাই ক্লিক করেন, তবে আপনি 1.3458 -এ বাই করবেন।

ডেমো অ্যাকাউন্ট কি? কিভাবে ডেমো অ্যাকাউন্ট ওপেন করবেন?

ডেমো অ্যাকাউন্টঃ

আপনি হয়ত ফরেক্স ট্রেড করতে আগ্রহী। কিন্তু আপনি জানেন না কিভাবে ফরেক্স ট্রেড করে। অনেকের কাছেই পিপস, লিভারেজ এগুলো শুনেছেন, কিন্তু ট্রেড না করায় এগুলো কিছুই বুঝতে পারছেন না। তাই আপনি হয়ত শুরুতেই ফরেক্সে ইনভেস্ট করতে ভয় পাচ্ছেন। কারন যেহুতু কিছুই পারেন না, লস করার সম্ভবনাটাই বেশী। কিন্তু এই আধুনিক যুগে আপনি কিন্তু কোন টাকা খরচ না করেই টেস্ট ট্রেড করতে পারেন। এজন্য ব্রোকাররা ডেমো ট্রেডের ব্যবস্থা রেখেছে। ডেমো অ্যাকাউন্টে আপনি ভার্চুয়াল মানি দিয়ে ট্রেডিং প্রাকটিস করতে পারবেন।

আপনি ডেমোতে লস করতে পারেন, এমনকি পুরো ব্যালেন্স উড়িয়ে দিতে পারেন, কোন সমস্যা নেই। এটা শুধুমাত্র আপনার দক্ষতাকে আরও বাড়ানোর জন্য। আপনি যত ট্রেড করবেন, আপনি তত ট্রেড শিখবেন। আপনি ভালভাবে ট্রেডিং শেখার আগে আপনার রিয়েল ট্রেড শুরু করা উচিত নয়। কারন তাহলে কিন্তু আপনার লস করার সম্ভবনাই বেশী থাকবে। তাই ডেমো ট্রেড করে আপনি যখন আপনার ট্রেডিং নিয়ে সন্তুষ্ট হবেন, তখনই শুধুমাত্র রিয়েল ট্রেড শুরু করা উচিত।

কতদিন ডেমো ট্রেডিং করা উচিত?

কমপক্ষে ২ মাস ডেমো ট্রেড করা উচিত। কিন্তু নির্দিষ্ট কোন সময় নেই।

ডেমো ট্রেড করলে কি লাভ?

  • ডেমো ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে আপনি ফরেক্সের বিভিন্ন কৌশল গুলো শিখতে পারবেন
  • বিভিন্ন ট্রেডিং স্ট্রাটেজি টেস্ট করতে পারবেন
  • আপনার লস করার কারন গুলো চিহ্নিত করতে পারবেন এবং তা শুধরে নিতে পারবেন
  • নতুন কোন EA কিংবা ইন্ডিকেটরের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন


সর্বমোট আপনার ট্রেডিংকে আরও উন্নত করার জন্য ডেমো ট্রেডিং আপনাকে অনেকভাবে সাহায্য করবে।

কিভাবে ডেমো ট্রেড শুরু করবেন?

ডেমো বা রিয়েল ট্রেড করার জন্য আপনার একটি সফটওয়্যার এর প্রয়োজন হবে। যেটাকে ফরেক্সের ভাষায় বলা হয় ট্রেডিং টার্মিনাল। অধিকাংশ ব্রোকার মেটাট্রেডার টার্মিনাল ব্যবহার করে। আমাদেরকেও একটি মেটাট্রেডার টার্মিনাল ডাউনলোড করতে হবে।। নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি ডেমো অ্যাকাউন্ট ওপেন করুন এবং মেটাট্রেডার প্লাটফর্ম ডাউনলোড করুন।

►ডেমো অ্যাকাউন্ট ওপেন করুন

http://www.liteforex.com/?fid=945130



ডাউনলোড করার পর আপনার মেটাট্রেডার টার্মিনালটি ওপেন করুন।

ছবি পোস্ট করা হয়েছে


চলুন এখন একটি ডেমো অ্যাকাউন্ট ওপেন করা যাক।

প্রথমে File থেকে Open an account এ ক্লিক করুন।

ছবি পোস্ট করা হয়েছে


নিচের এই উইন্ডোটি আসবে। এটি ফিল-আপ করুন। তারপর Next এ ক্লিক করুনঃ

ছবি পোস্ট করা হয়েছে


liteForex-Demo.com সিলেক্ট করুন এবং Next এ ক্লিক করুনঃ

ছবি পোস্ট করা হয়েছে


ডেমো অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেছে। এখন অ্যাকাউন্ট নং এবং পাসওয়ার্ড সংরক্ষন করে Finish এ ক্লিক করুন।

আপনার প্রথম ট্রেড

আমরা ফরেক্স সম্পর্কে অনেক কিছুই জেনেছি। ডেমো অ্যাকাউন্টও ওপেন করেছি। এখন আমরা ট্রেড শুরু করব। কিভাবে আমরা একটি ট্রেড ওপেন করে তা ক্লোজ করতে পারি তা এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।
মেটাট্রেডারে অ্যাকাউন্টে লগিন করার পর এই স্ক্রীনটি দেখতে পাবেন।



EURUSD তে ট্রেড ওপেন করার জন্য "Market Watch" উইন্ডো থেকে EURUSD তে ডাবল ক্লিক করুন।


নিচের মত একটি উইন্ডো ওপেন হবে। EURUSD বাই করতে চাইলে "BUY" এ ক্লিক করুন।


নিচের মত একটি ট্রেড ওপেন হবে। স্প্রেডের কারনে ট্রেডটি কিছু লসে ওপেন হবে।


Stop loss বা Take profit সেট করতে চাইলে SL বা TP তে ডাবল ক্লিক করুন।

একটি উইন্ডো ওপেন হবে। সেখান থেকে আপনি স্টপ লস এবং টেক প্রফিট সেট করতে পারবেন।

দেখুন স্টপ লস এবং টেক প্রফিট সেট হয়ে গেছে। ঐ প্রাইসে গেলে ট্রেড একাকী ক্লোজ হয়ে যাবে।


ট্রেডটি এখন $১ লাভে আছে। এখন আপনার ইকুইটি $৫০০১, কিন্তু ব্যালেন্স $৫০০০. ট্রেডটি ক্লোজ করে দিলে আপনার ব্যালেন্স $৫০০১ হয়ে যাবে। SL/TP প্রাইসে গেলে ট্রেডটি একাকী ক্লোজ হয়ে যাবে। কিন্তু আপনি যদি এখনই ক্লোজ করে দিতে চান, তবে আপনি প্রফিটের ওপর ডাবল ক্লিক করুন।


দেখবেন ট্রেড ক্লোজ করার জন্য একটি উইন্ডো ওপেন হবে। হলুদ ক্লোজ বাটনে ক্লিক করুন।


ট্রেডটি $১ প্রফিটে ক্লোজ হয়ে গেছে।

এখন আপনার নতুন ব্যালেন্স $৫০০১.




For help call +8801918717387