লাল দাগ দিয়ে সিলেকটেড ক্যানডেলটি দেখুন। এটা দেখে ৪ ঘন্টায় প্রাইস অ্যাকশন বোঝা যাচ্ছে।
কোন টাইমফ্রেমে ট্রেড করবো?
এটা নির্ভর করে আপনি কি ধরনের ট্রেড করতে চান। আপনি যদি স্ক্যাল্পিং পছন্দ করেন তবে আপনার উচিত M1, M5 অথবা M15 এ ট্রেড করা। আপনি যদি সাধারন কিংবা একটু লং টার্ম ট্রেড করতে চান, তবে আপনার M30, H1 অথবা H4 এ ট্রেড করা উচিত। সুইং বা পজিশন ট্রেড করতে আগ্রহী হলে আপনার সপ্তাহ অথবা মাসের টাইমফ্রেমগুলোকে অ্যানালাইসিস করা উচিত।
স্প্রেডঃ
আপনি একটি ট্রেড ওপেন করলেই দেখবেন ট্রেডটি কিছুটা লসে ওপেন হবে। এটাকেই স্প্রেড বলে। ফরেক্স ব্রোকার একটি ট্রেড ওপেন করার জন্য এই ফি কমিশন বা চার্জ হিসেবে কেটে নেয়।
আপনি ধরুন ১.৭৪৪৫ এ GBPUSD বাই করলেন, কিন্তু তা ১.৭৪৪৯ এ ওপেন হবে অর্থাৎ ৩ পিপস ফি প্রযোজ্য হয়েছে। আপনি যদি $১ পিপস ভ্যালু দিয়ে ট্রেড ওপেন করে থাকেন তবে ট্রেডটি $৩ লসে ওপেন হবে।
বিভিন্ন পেয়ারের স্প্রেড বিভিন্ন হয়। আবার বিভিন্ন ব্রোকার ভেদেও স্প্রেড কম বেশি হতে পারে। যেমন Instaforex এ EURUSD এর স্প্রেড ৩ পিপস। কিন্তু Fxoptimax এ EURUSD এর স্প্রেড ২ পিপস। কিছু কিছু পেয়ার এ স্প্রেড ৩০ পিপস পর্যন্ত বা তার বেশী হতে পারে। তাই অপরিচিত পেয়ার ট্রেড করার আগে স্প্রেড কত তা দেখা নেয়া উচিত।
স্টপ লস এবং টেক প্রফিটঃ
স্টপ লস (stop loss): স্টপ লসের মাধ্যমে আপনি আপনার লসে থাকা ট্রেডটি কোন প্রাইস এ বন্ধ করে দিতে চান তা ঠিক করে দিতে পারবেন।
টেক প্রফিট (take profit): টেক প্রফিটের মাধ্যমে আপনি আপনার লাভে থাকা ট্রেডটি কোন প্রাইসে বন্ধ করে দিতে চান তা ঠিক করে দিতে পারবেন।
ধরুন, আপনি ১.৩৫৪০ তে একটি বাই ট্রেড ওপেন করলেন। আপনি চাচ্ছেন ৫০ পিপস লাভ করবেন এবং ৫০ পিপসের বেশি লস করবেন না। তাহলে আপনি ৫০ পিপস স্টপ লস এবং ৫০ পিপস টেক প্রফিট সেট করে রাখতে পারেন। আপনার কম্পিউটার বন্ধ থাকলে বা কোন স্পাইকের ফলে হঠাৎ প্রাইস বেড়ে বা কমে গেলে, স্টপ লস বা টেক প্রফিটের প্রাইসে অটোমেটিক ভাবে আপনার ট্রেড ক্লোজ হয়ে যাবে।
লিভারেজ কি?
লিভারেজ বা মার্জিন লোন হচ্ছে আপনার ক্যাপিটাল এর উপর সর্বোচ্চ কত গুন লোন আপনার ফরেক্স ব্রোকার আপনাকে দিবে।
ধরুন, আপনার ব্যাল্যান্স বা ক্যাপিটাল হচ্ছে ১০০ ডলার । আপনি যদি ১;২০০ লিভারেজ ব্যাবহার করেন, তাহলে আপনি ট্রেড করার সময় আপনার ব্রোকার আপনাকে সর্বোচ্চ্য ২০০ গুন পর্যন্ত লোন দিবে। এখন এইটা আপনার ব্যাপার আপনি কত পরিমান লোন নিবেন। সুতরাং, ১০ ডলার দিয়ে ১০x২০০=২০০০ ডলার ট্রেড করতে পারবেন।
ভালোই তো .... যদি ২০০ গুন পর্যন্ত লোন পাই, তাহলে নিবো না কেন? স্টক মার্কেটে তো ১:২ লোনই দিতে চায় না।
ধরুন, আপনি ১০ ডলার ডিপোজিট করলেন, ঠিক করলেন লিভারেজ ব্যাবহার করবেন, ১:১ , মানে কোন লোন নিবেন না। সেক্ষেত্রে, ব্রোকার আপনাকে বড় সাইজের কোন ট্রেড ওপেন করতে দিবে না। ওই ১০ ডলার দিয়ে যতটুকু বড় ট্রেড ওপেন করা যায়, ঠিক ততটুকুই ট্রেড ওপেন করতে দিবে। সেক্ষেত্রে, মার্কেট আপনার অনুকুলে ৫০ পিপস মুভ করলে হয়ত আপনার ১ ডলার লাভ হবে। সাধারনত বিভিন্ন কারেন্সি পেয়ার প্রতিদিন ১০০-৩০০ পিপস মুভ করে।
তো আপনি ভাবলেন, লোন নিবেন ও আরও বড় ট্রেড ওপেন করবেন যাতে লাভ বেশি হয়। আপনাকে যদি কোন ব্রোকার ১:২০০ লিভারেজ অফার করে, তাহলে আপনি ইচ্ছা করলে ১০ ডলার দিয়ে ২০০০ ডলার ট্রেড করতে পারবেন। আর তাই, আগে যা লাভ হতো, এখন তার থেকে ২০০ গুন বেশি লাভ হবে। একইভাবে, আগে যা লস হতো, আপনি যদি ১:২০০ লিভারেজ এর পুরো ব্যাবহার করেন, লসও তার ২০০ গুন বেশি হবে। যদি আগে মার্কেট আপনার অনুকুলে ৫০ পিপস মুভ করলে ১ ডলার লাভ হতো, এখন তাহলে ২০০ ডলার লাভ হবে।
ব্রোকার লোন আপনাকে ঠিকই দিবে। লাভ হলে তো ভালোই, লস এর ক্ষেত্রে আপনার লস যদি কোন সময় আপনার ক্যাপিটাল এর সমান হয়, তাহলে সাথে সাথে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ট্রেড ক্লোজ হয়ে যাবে। ব্রোকার কোন অবস্থাতেই আপনার যা ক্যাপিটাল আছে, তার থেকে বেশি লসে আপনার ট্রেড চলতে দিবে না। এইটাকে ফরেক্সে মার্জিন কল বলে, বাংলাদেশের শেয়ার মার্কেটে বলে ফোর্সড সেল।
ভাই, এইটা তো ভয়ানক কথা বললেন! বেশি লিভারেজ ব্যাবহার করে ট্রেড ওপেন করতে গিয়ে আমার লস যদি ক্যাপিটাল এর সমান হয়, তাহলে কি ফতুর হয়ে যাব নাকি?
সোজা বাংলা কথায়, হ্যা! সুতরাং, লিভারেজ যাই সেট করুন না কেন, ট্রেড খোলার সময় কখনই ব্যালেন্স এর অনুপাতে বেশি বড় ট্রেড খুলবেন না। কিছু মানুষ বলে যে ফরেক্স নাকি একদিনেই ক্যাপিটাল দুই গুন, তিন গুন করা সম্ভভ। ভাগ্য থাকলে অবশই সম্ভব। কিন্তু এভাবে ঝুকি নিয়ে ট্রেড করলে ধরা একদিন না একদিন খেতেই হবে।
কারেন্সি জোড়/পেয়ার
ফরেক্স ট্রেডিং হল একই সাথে একটি কারেন্সির ক্রয় এবং অন্য কারেন্সির বিক্রয়। কারেন্সি কোন ব্রোকার অথবা ডিলারের মাধ্যমে এবং Pair বা জোড়ায় ট্রেড করা হয়।
উদাহারনসরূপঃ ইউরো ও ইউ. এস. ডলার এর জোড় EUR/USD অথবা ব্রিটিশ পাউন্ড ও জাপানিজ ইয়েন এর জোড় GBP/JPY.
আপনি যখন ফরেক্স ট্রেডিং করবেন, আপনাকে Pair বা জোড় এর মাধ্যমে ক্রয়/বিক্রয় করতে হবে।
মনে করুন, এই রশির দুই প্রান্তে দুটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা রয়েছে। এক্সচেঞ্জ রেট ওঠা-নামা করে, কখন কোন কারেন্সি শক্তিশালী তার ওপর ভিত্তি করে।
প্রধান কারেন্সি পেয়ার-সমূহ:
নিচের কারেন্সি পেয়ারগুলোকে প্রধান কারেন্সি পেয়ার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই কারেন্সি পেয়ার গুলো USD পেয়ার এবং সহসাই ট্রেড করা হয়। এই প্রধান পেয়ার গুলোর তারল্য সবচেয়ে বেশি এবং এগুলো বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ট্রেড করা হয়।
প্রধান ক্রস-কারেন্সি অথবা অপ্রধান কারেন্সি পেয়ার-সমূহ:
ইউ. এস. ডলার ব্যাতিত কারেন্সি পেয়ারসমূহকে ক্রস-কারেন্সি পেয়ার অথবা শুধু ক্রস পেয়ার বলা হয়। প্রধান ক্রসগুলো অপ্রধান কারেন্সি পেয়ার নামেও পরিচিত। সবচেয়ে বেশি ট্রেডকৃত ক্রস পেয়ারগুলো এসেছে - EUR, GBP এবং JPY থেকে।
Pound Crosses
Other Crosses
Exotic Pairs
একটি প্রধান কারেন্সির সাথে আরেকটি কারেন্সি পরিপুরক হিসেবে যেই পেয়ারে যুক্ত হয়, তাকে Exotic পেয়ার বলে।
কিছু কিছু ফরেক্স ব্রোকারে এই কারেন্সি পেয়ারগুলো ট্রেড করা যায়। এগুলো প্রধান এবং ক্রস পেয়ার গুলোর মত অত্যাধিক ট্রেড করা হয়না।
Exotic পেয়ারগুলোর স্প্রেড EUR/USD অথবা USD/JPY এর তুলনায় দুই অথবা তিন গুন বেশি। তাই যদি আপনি এই Exotic পেয়ারসমূহ ট্রেড করতে চান, তবে তা ভেবে করবেন।
কিভাবে ফরেক্সে লাভ/লস হয়
ফরেক্স মার্কেটে আপনি বাই (buy) অথবা সেল (sell) করবেন।
একটি ট্রেড খোলা খুবই সোজা। ট্রেড খোলার পদ্ধতি সহজ এবং আপনার যদি স্টক মার্কেটে ট্রেড করার অভিজ্ঞতা থাকে তবে আপনি তা আর তাড়াতাড়ি বুঝতে পারবেন।
মনে করুন আপনি ১.১৮০০ এক্সচেঞ্জ রেটে EUR/USD - তে ১০,০০০ ইউরো কিনলেন $১১,৮০০ ডলার দিয়ে। দুই সপ্তাহ পর EUR/USD এক্সচেঞ্জ রেট বেড়ে ১.২৫০০ হল। তখন আপনি $১২,৫০০ ডলারে তা বিক্রি করলে আপনার লাভ হবে $৭০০ ডলার।
এক্সচেঞ্জ রেট হল একটি কারেন্সির সাপেক্ষে আরেকটি কারেন্সির দামের অনুপাত। যেমনঃ USD/CHF এর এক্সচেঞ্জ রেট নির্দেশ করে, কত ইউ. এস. ডলার এর বিনিময়ে ১ সুইস ফ্রাঙ্ক কেনা যাবে, অথবা ১ ইউ. এস. ডলার কিনতে কত সুইস ফ্রাঙ্ক প্রয়োজন।
কিভাবে ফরেক্স কোটেশন পড়তে হয়
প্রতিটি ট্রেডে আপনি একই সাথে একটি কারেন্সি কিনেন এবং আরেকটি বিক্রি করেন। তাই ফরেক্স মার্কেটে কারেন্সি পেয়ারের দাম কোটেশন এর মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
GBP/USD এর ফরেন এক্সচেঞ্জ রেট নিম্নরূপঃ
স্লাশ (/) এর আগের কারেন্সিকে বলা হয় বেস (base) কারেন্সি এবং স্লাশ (/) এর পরের কারেন্সিকে বলা হয় কিউটো (quote) কারেন্সি।
এখানে GBP হল বেস (base) কারেন্সি এবং USD হল কিউটো (quote) কারেন্সি।
বাই (buy) করার সময়, এক্সচেঞ্জ রেট নির্দেশ করে ১ ইউনিট বেস কারেন্সি কেনার জন্য কত ইউনিট কিউটো কারেন্সি দিতে হবে। উদাহারনস্বরূপঃ ১ ব্রিটিশ পাউন্ড কেনার জন্য ১.৫১২৫ ইউ. এস. ডলার দিতে হবে।
সেল (sell) করার সময়, এক্সচেঞ্জ রেট নির্দেশ করে ১ ইউনিট বেস কারেন্সি সেল করলে কত ইউনিট কিউটো কারেন্সি পাওয়া যাবে। উদাহারনস্বরূপঃ ১ ব্রিটিশ পাউন্ড বিক্রি করলে আপনি ১.৫১২৫ ইউ. এস. ডলার পাবেন।
বেস কারেন্সি হল বাই ও সেল এর মূল ভিত্তি। যদি আপনি EUR/USD বাই করেন, তবে আপনি বেস কারেন্সি EUR কিনছেন এবং একই সাথে কিউটো কারেন্সি USD বিক্রি করছেন। সহজ কথায়, EUR কেনা, USD বিক্রি করা।
আপনি কারেন্সি পেয়ারটি বাই করবেন যদি আপনি বিশ্বাস করেন যে, কিউটো কারেন্সির তুলনায় বেস কারেন্সি শক্তিশালী হবে। এর আপনি সেল করবেন যদি আপনি মনে করেন কিউটো কারেন্সির তুলনায় বেস কারেন্সি দুর্বল হয়ে যাবে।
লং/সর্ট (long/short):
প্রথমে আপনাকে ঠিক করতে হবে আপনি বাই করবেন না সেল করবেন।
আপনি যদি বাই করতে চান (বেস কারেন্সি কেনা এবং কিউটো কারেন্সি বিক্রি করা), তার মানে আপনি চাচ্ছেন বেস কারেন্সির দাম বেড়ে যাক এবং আপনি সেটা বিক্রি করে দিবেন আরও বেশি দামে। ট্রেডারদের ভাষায় একে বলে লং (long) অথবা লং পজিশন নেয়া। মনে রাখবেন, লং = বাই (long = buy)।
আপনি যদি সেল করতে চান (বেস কারেন্সি বিক্রি করা এবং কিউটো কারেন্সি কেনা), তার মানে আপনি চাচ্ছেন বেস কারেন্সির দাম কমে যাক এবং আপনি সেটা কিনবেন আরও কম দামে। ট্রেডারদের ভাষায় একে বলে শর্ট (short) অথবা শর্ট পজিশন নেয়া। মনে রাখবেন, শর্ট = সেল(short= sell)।
বিড/আস্ক (bid/ask):
সব ফরেক্স কোটেশনে ২ টি প্রাইস দেখান হয়। বিড এবং আস্ক। প্রায় সবক্ষেত্রে বিড প্রাইস, আস্ক প্রাইস থেকে কম হয়।
বিড হল এমন একটি প্রাইস যে দামে ব্রোকার কিউটো কারেন্সির পরিবর্তে বেস কারেন্সি কিনতে চায়। অর্থাৎ, সেল করার জন্য বিড হল সবচেয়ে ভাল প্রাইস।
আস্ক হল এমন একটি প্রাইস যে দামে ব্রোকার কিউটো কারেন্সির পরিবর্তে বেস কারেন্সি বিক্রি করতে চায়। অর্থাৎ, বাই করার জন্য আস্ক হল সবচেয়ে ভাল প্রাইস।
বিড এবং আস্ক এর পার্থক্যই স্প্রেড (spread) নামে পরিচিত।
EUR/USD -র উপরের কোটেশনে বিড প্রাইস হল 1.3456 এবং আস্ক প্রাইস হল 1.3458.
অর্থাৎ, এখানে স্প্রেড 2 পিপস।
আপনি যদি সেল ক্লিক করেন তবে আপনি 1.3456 -এ সেল করবেন। আর যদি বাই ক্লিক করেন, তবে আপনি 1.3458 -এ বাই করবেন।
ডেমো অ্যাকাউন্ট কি? কিভাবে ডেমো অ্যাকাউন্ট ওপেন করবেন?
ডেমো অ্যাকাউন্টঃ
আপনি হয়ত ফরেক্স ট্রেড করতে আগ্রহী। কিন্তু আপনি জানেন না কিভাবে ফরেক্স ট্রেড করে। অনেকের কাছেই পিপস, লিভারেজ এগুলো শুনেছেন, কিন্তু ট্রেড না করায় এগুলো কিছুই বুঝতে পারছেন না। তাই আপনি হয়ত শুরুতেই ফরেক্সে ইনভেস্ট করতে ভয় পাচ্ছেন। কারন যেহুতু কিছুই পারেন না, লস করার সম্ভবনাটাই বেশী। কিন্তু এই আধুনিক যুগে আপনি কিন্তু কোন টাকা খরচ না করেই টেস্ট ট্রেড করতে পারেন। এজন্য ব্রোকাররা ডেমো ট্রেডের ব্যবস্থা রেখেছে। ডেমো অ্যাকাউন্টে আপনি ভার্চুয়াল মানি দিয়ে ট্রেডিং প্রাকটিস করতে পারবেন।
আপনি ডেমোতে লস করতে পারেন, এমনকি পুরো ব্যালেন্স উড়িয়ে দিতে পারেন, কোন সমস্যা নেই। এটা শুধুমাত্র আপনার দক্ষতাকে আরও বাড়ানোর জন্য। আপনি যত ট্রেড করবেন, আপনি তত ট্রেড শিখবেন। আপনি ভালভাবে ট্রেডিং শেখার আগে আপনার রিয়েল ট্রেড শুরু করা উচিত নয়। কারন তাহলে কিন্তু আপনার লস করার সম্ভবনাই বেশী থাকবে। তাই ডেমো ট্রেড করে আপনি যখন আপনার ট্রেডিং নিয়ে সন্তুষ্ট হবেন, তখনই শুধুমাত্র রিয়েল ট্রেড শুরু করা উচিত।
কতদিন ডেমো ট্রেডিং করা উচিত?
কমপক্ষে ২ মাস ডেমো ট্রেড করা উচিত। কিন্তু নির্দিষ্ট কোন সময় নেই।
ডেমো ট্রেড করলে কি লাভ?
- ডেমো ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে আপনি ফরেক্সের বিভিন্ন কৌশল গুলো শিখতে পারবেন
- বিভিন্ন ট্রেডিং স্ট্রাটেজি টেস্ট করতে পারবেন
- আপনার লস করার কারন গুলো চিহ্নিত করতে পারবেন এবং তা শুধরে নিতে পারবেন
- নতুন কোন EA কিংবা ইন্ডিকেটরের কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখতে পারেন
সর্বমোট আপনার ট্রেডিংকে আরও উন্নত করার জন্য ডেমো ট্রেডিং আপনাকে অনেকভাবে সাহায্য করবে।
কিভাবে ডেমো ট্রেড শুরু করবেন?
ডেমো বা রিয়েল ট্রেড করার জন্য আপনার একটি সফটওয়্যার এর প্রয়োজন হবে। যেটাকে ফরেক্সের ভাষায় বলা হয় ট্রেডিং টার্মিনাল। অধিকাংশ ব্রোকার মেটাট্রেডার টার্মিনাল ব্যবহার করে। আমাদেরকেও একটি মেটাট্রেডার টার্মিনাল ডাউনলোড করতে হবে।। নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি ডেমো অ্যাকাউন্ট ওপেন করুন এবং মেটাট্রেডার প্লাটফর্ম ডাউনলোড করুন।
►ডেমো অ্যাকাউন্ট ওপেন করুন
ডাউনলোড করার পর আপনার মেটাট্রেডার টার্মিনালটি ওপেন করুন।
চলুন এখন একটি ডেমো অ্যাকাউন্ট ওপেন করা যাক।
প্রথমে File থেকে Open an account এ ক্লিক করুন।
নিচের এই উইন্ডোটি আসবে। এটি ফিল-আপ করুন। তারপর Next এ ক্লিক করুনঃ
liteForex-Demo.com সিলেক্ট করুন এবং Next এ ক্লিক করুনঃ
ডেমো অ্যাকাউন্ট তৈরি হয়ে গেছে। এখন অ্যাকাউন্ট নং এবং পাসওয়ার্ড সংরক্ষন করে Finish এ ক্লিক করুন।
আপনার প্রথম ট্রেড
আমরা ফরেক্স সম্পর্কে অনেক কিছুই জেনেছি। ডেমো অ্যাকাউন্টও ওপেন করেছি। এখন আমরা ট্রেড শুরু করব। কিভাবে আমরা একটি ট্রেড ওপেন করে তা ক্লোজ করতে পারি তা এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে।
মেটাট্রেডারে অ্যাকাউন্টে লগিন করার পর এই স্ক্রীনটি দেখতে পাবেন।
EURUSD তে ট্রেড ওপেন করার জন্য "Market Watch" উইন্ডো থেকে EURUSD তে ডাবল ক্লিক করুন।
নিচের মত একটি উইন্ডো ওপেন হবে। EURUSD বাই করতে চাইলে "BUY" এ ক্লিক করুন।
নিচের মত একটি ট্রেড ওপেন হবে। স্প্রেডের কারনে ট্রেডটি কিছু লসে ওপেন হবে।
Stop loss বা Take profit সেট করতে চাইলে SL বা TP তে ডাবল ক্লিক করুন।
একটি উইন্ডো ওপেন হবে। সেখান থেকে আপনি স্টপ লস এবং টেক প্রফিট সেট করতে পারবেন।
দেখুন স্টপ লস এবং টেক প্রফিট সেট হয়ে গেছে। ঐ প্রাইসে গেলে ট্রেড একাকী ক্লোজ হয়ে যাবে।
ট্রেডটি এখন $১ লাভে আছে। এখন আপনার ইকুইটি $৫০০১, কিন্তু ব্যালেন্স $৫০০০. ট্রেডটি ক্লোজ করে দিলে আপনার ব্যালেন্স $৫০০১ হয়ে যাবে। SL/TP প্রাইসে গেলে ট্রেডটি একাকী ক্লোজ হয়ে যাবে। কিন্তু আপনি যদি এখনই ক্লোজ করে দিতে চান, তবে আপনি প্রফিটের ওপর ডাবল ক্লিক করুন।
দেখবেন ট্রেড ক্লোজ করার জন্য একটি উইন্ডো ওপেন হবে। হলুদ ক্লোজ বাটনে ক্লিক করুন।
ট্রেডটি $১ প্রফিটে ক্লোজ হয়ে গেছে।
এখন আপনার নতুন ব্যালেন্স $৫০০১.
For help call +8801918717387