HTML баннеры

শনিবার, ১৮ জুলাই, ২০১৫

RSI

Relative Strength Index, অথবা RSI, ইন্ডিকেটরটি stochastic এর মতই একটি ইন্ডিকেটর যা মার্কেটের overbought বা oversold অবস্থা নির্দেশ করে। RSI এ থেকে ১০০ পর্যন্ত স্কেল রয়েছে। ৩০ এর নিচে রিডিং oversold নির্দেশ করে, এবং ৭০ এর ওপর রিডিং overbought নির্দেশ করে।


কিভাবে RSI ব্যবহার করে ট্রেড করতে হয়

RSI ইন্ডিকেটরটি আপনি stochastic এর মত করেই ব্যবহার করতে পারেন। আমরা টপ এবং বটম পয়েন্টগুলোকে ব্যবহার করে জানতে পারি মার্কেট কি overbought না oversold.
নিচে একটি EURUSD এর 4 Hour চার্ট রয়েছেঃ


চার্টে দেখুন EURUSD এর দাম ঐ সপ্তাহে অনেক কমেছে, ২ সপ্তাহে প্রায় ৪০০ পিপসের মত কমে গেছে।
৭ জুনে প্রাইস ১.২০০০ এর নিচে ছিল। একই সময়ে RSI ৩০ এর নিচে চলে গিয়েছিল। এটা সিগন্যাল দিয়েছে যে সম্ভবত মার্কেটে আর কোন সেলার নেই এবং হয়তো এখন সবাই বাই এর দিকে যেতে পারে। এরপর প্রাইস ওপরের দিকে উঠে গেছে এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে অনেক বেড়ে গেছে।

RSI এর সাহায্যে ট্রেন্ড নির্ধারণ করাঃ

RSI এর মাধ্যমে আপনি মার্কেটে নতুন কোন ট্রেন্ড সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবেন। আপনার যদি মনে হয় মার্কেটে নতুন কোন ট্রেন্ড তৈরি হতে যাচ্ছে, দেখুন যে RSI কি ৫০ এর ওপরে না নিচে। আপনি যদি মার্কেটে সম্ভাব্য আপট্রেন্ড আশা করেন তবে নিশ্চিত হয়ে নিন যে RSI ৫০ এর ওপরে কিনা। আর আপনি যদি মার্কেটে সম্ভাব্য ডাউনট্রেন্ড আশা করেন তবে নিশ্চিত হয়ে নিন যে RSI ৫০ এর নিচে আছে কিনা।


চার্টটি দেখে মনে হচ্ছে যে মার্কেটে সম্ভাব্য ডাউনট্রেন্ড তৈরি হতে যাচ্ছে। ডাউনট্রেন্ড নিশ্চিত করার জন্য আমরা এখন RSI ৫০ এর নিচে নামা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারি। যখন RSI ৫০ ক্রস করে নিচে নামবে, তখন আমরা মোটামুটি নিশ্চিত হতে পারবো যে মার্কেটে ডাউনট্রেন্ড শুরু হয়েছে।

Stochastic


Stochastic হল আরেকটি ইন্ডিকেটর যা আমাদের কখন ট্রেন্ডের সমাপ্তি হতে পারে তা নির্দেশ করে।
Stochastic মার্কেট overbought না oversold তা নির্দেশ করে।

Stochastic ব্যবহার করে কিভাবে ট্রেড করতে হয়ঃ

Stochastic আমাদের বলে দেয় কখন মার্কেট overbought এবং কখন মার্কেট oversold.
Stochastic এ ০ থেকে ১০০ পর্যন্ত একটি স্কেল আছে। যখন Stochastic লাইন ৮০'র ওপরে থাকে (অর্থাৎ লাল ডট ডট লাইনের ওপরে থাকে), তখন বুঝতে হবে যে মার্কেট এখন overbought. আর যখন Stochastic লাইন ২০'র নিচে থাকে (অর্থাৎ নীল ডট ডট লাইনের নিচে থাকে), তখন বুঝতে হবে যে মার্কেট এখন oversold.
আর আমরা জানি যে মার্কেট যখন oversold থাকে তখন আমরা বাই করি, এবং মার্কেট যখন overbought থাকে তখন আমরা সেল করি।
ওপরের চার্টটি দেখুন। Stochastic অনেকক্ষণ থেকেই overbought অবস্থা দেখাচ্ছে। এই চার্ট দেখে আপনার কি মনে হচ্ছে? প্রাইস এরপর কোথায় যেতে পারে?
আপনার উত্তর যদি হয়ে থাকে যে প্রাইস এখন কমবে তাহলে আপনি একদম সঠিক। কারন মার্কেট অনেকক্ষণ ধরেই overbought অবস্থায় আছে, তাই এই অবস্থায় এখন প্রাইস কমে যেতে বাধ্য।
Stochastic ইন্ডিকেটরের বেসিক কার্যপ্রণালী এটাই। অনেক ট্রেডার Stochastic কে অন্যভাবেও ব্যবহার করেন। কিন্তু মার্কেটের overbought অথবা oversold অবস্থা বোঝাতেই Stochastic ইন্ডিকেটরটি মূলত ব্যবহৃত হয়।

Parabolic Sar

অধিকাংশ ইন্ডিকেটর আপনাকে নতুন ট্রেন্ড শুরু হবার সিগন্যাল দেয়। নতুন ট্রেন্ড চিহ্নিত করা যেমন জরুরি, তেমনি ট্রেন্ডের সমাপ্তি চিহ্নিত করাটাও ততটা জরুরী। যদি সঠিক সময়ে ট্রেড ক্লোজ না করা হয় তবে সঠিক সময়ে ট্রেড ওপেন করে খুব একটা লাভ নেই।


Parabolic SAR (Stop And Reversal) ইন্ডিকেটরটি ট্রেন্ড কখন শেষ হতে পারে সে সম্পর্কে ধারনা পেতে আমাদের সাহায্য করে। Parabolic Sar চার্টে ডট অথবা পয়েন্টের সাহায্যে ট্রেন্ডের পরিবর্তন নির্দেশ করে।

কিভাবে Parabolic SAR এর সাহায্যে ট্রেড করবেনঃ

Parabolic SAR খুব সহজ এবং সাধারন একটি ইন্ডিকেটর। যখন ক্যানডেলের নিচে ডট আসে, তখন তা বাই সিগন্যাল বোঝায়। আর যখন ক্যানডেলের ওপরে ডট আসে তখন তা সেল সিগন্যাল বোঝায়।


ট্রেন্ডিং মার্কেটে এই ইন্ডিকেটরটি অনেক ভাল কাজ করবে। কিন্তু মার্কেট যখন সাইডওয়ে ট্রেন্ডে থাকে, তখন আপনি ভাল ফল পাবেন না।

কিভাবে Parabolic Sar এর সাহায্যে ট্রেড ক্লোজ করবেনঃ

কখন আপনার ট্রেড ক্লোজ করা উচিত তা আপনি Parabolic Sar এর সাহায্যে বুঝতে পারেন। নিচের EURUSD চার্টে দেখুন Parabolic Sar exit সিগন্যাল হিসেবে কাজ করেছে ডেইলি চার্টে।


৩ টি ডট দেখলেই আপনি আপনার পূর্বের ট্রেড ক্লোজ করে নতুন ট্রেন্ডের দিকে নতুন ট্রেড ওপেন করতে পারেন।

Bollinger Bands

মার্কেট ভোলাটিলিটি অনুধাবন করার জন্য Bollinger Bands ইন্ডিকেটরটি ব্যবহার করা হয়।
এই ছোট টুলসটি আমাদের বলে দিবে যে মার্কেট কি এখন শান্ত না অশান্ত। যখন মার্কেট শান্ত থাকে তখন ব্যান্ড ২টি সংকুচিত হয়ে যায়, আর যখন মার্কেট অশান্ত থাকে তখন ব্যান্ড ২টি প্রশস্ত হয়ে যায়।
নিচের চার্টটি দেখুন। যখন মার্কেট শান্ত ছিল, তখন ব্যান্ড ২টি কাছাকাছি ছিল। কিন্তু যখন প্রাইস খুব দ্রুত বেড়ে গেছে অর্থাৎ মার্কেট অশান্ত হয়ে গেছে, তখন ব্যান্ড ২টি দূরে সরে গেছে।



Bollinger Bounce:

Bollinger Bands সম্পর্কে একটি ব্যাপার আপনার জেনে রাখা দরকার যে প্রাইস অধিকাংশ সময় ব্যান্ডের মাঝখানে ফিরে আসে। এটাই হল Bollinger Bounce এর আসল আইডিয়া। নিচের চার্টটি দেখে কি আপনি বলতে পারেন যে প্রাইস পরবর্তীতে কোথায় যেতে পারে?


এখন আপনি যদি বলে থাকেন যে দাম কমবে তাহলে আপনার উত্তর সঠিক। নিচের চার্টে আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে প্রাইস কমে গেছে এবং প্রাইস ব্যান্ড ২টির মাঝখানে চলে এসেছে।


আপনি এখন যেটা দেখলেন সেটা হল Bollinger Bounce. এরকম বাউন্স হবার কারন হল Bollinger bands এর ব্যান্ড ২টি ডাইনামিক সাপোর্ট এবং রেসিসট্যান্স লেভেল হিসেবে কাজ করে।
আপনি যত বড় টাইমফ্রেম ব্যবহার করবেন, ব্যান্ডগুলো তত শক্তিশালি হবে। মার্কেট যখন একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে ঘোরাফেরা করে এবং কোন নির্দিষ্ট ট্রেন্ড থাকে না, তখন এই স্ট্রাটেজীটি ভাল কাজ করে।

Bollinger Squeeze:

যখন ব্যান্ড ২টি খুব বেশি সংকুচিত হয়ে যায় তখন এটি সাধারনত নির্দেশ করে যে সম্ভবত ব্রেকআউট হতে যাচ্ছে।
যদি ক্যানডেল ওপরের ব্যান্ডটিকে ব্রেক করে ওপরে উঠে যায় তবে সাধারনত প্রাইস আরও ওপরে উঠতে থাকে অর্থাৎ প্রাইস বাড়তে থাকে। আর যদি ক্যানডেল নিচের ব্যান্ডটিকে ব্রেক করে নিচে নামতে থাকে, তাহলে প্রাইস আরও নিচে নামতে থাকে অর্থাৎ প্রাইস কমতে থাকে।


ওপরের চার্টটি দেখুন। ব্যান্ড ২টি সংকুচিত হয়ে আসছে। প্রাইস ওপরের ব্যান্ডটি ব্রেক করে ওপরে উঠে যাচ্ছে। এই চার্টের ওপর ভিত্তি করে আপনি কি মনে করেন প্রাইস কি বাড়বে না কমবে?


আপনি যদি বলে থাকেন যে প্রাইস বাড়বে তাহলে আপনি সঠিক। এভাবেই সাধারন Bollinger Squeeze কাজ করে।
এরকম ট্রেডের সুযোগ আপনি প্রতিদিন পাবেন না। কিন্তু ১৫ মিনিটের চার্টে আপনি সপ্তাহে কয়েকবার এরকম ট্রেডের সুযোগ পেতে পারেন।
Bollinger bands দিয়ে বিভিন্ন ভাবে ট্রেড করা যায়। কিন্তু এই ২টি হল Bollinger Bands দিয়ে ট্রেড করার সবচেয়ে সহজ এবং সাধারণ ট্রেডিং স্ট্রাটেজী।

সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৪

Parabolic Sar

অধিকাংশ ইন্ডিকেটর আপনাকে নতুন ট্রেন্ড শুরু হবার সিগন্যাল দেয়। নতুন ট্রেন্ড চিহ্নিত করা যেমন
জরুরি, তেমনি ট্রেন্ডের সমাপ্তি চিহ্নিত করাটাও ততটা জরুরী। যদি সঠিক সময়ে ট্রেড ক্লোজ
না করা হয় তবে সঠিক সময়ে ট্রেড ওপেন করে খুব একটা লাভ নেই।




Parabolic SAR (Stop And Reversal) ইন্ডিকেটরটি ট্রেন্ড কখন শেষ
হতে পারে সে সম্পর্কে ধারনা পেতে আমাদের সাহায্য করে। Parabolic Sar চার্টে ডট অথবা পয়েন্টের
সাহায্যে ট্রেন্ডের পরিবর্তন নির্দেশ করে।
কিভাবে Parabolic SAR এর সাহায্যে ট্রেড করবেনঃ
Parabolic SAR খুব সহজ এবং সাধারন একটি ইন্ডিকেটর। যখন ক্যানডেলের নিচে ডট আসে, তখন তা বাই
সিগন্যাল বোঝায়। আর যখন ক্যানডেলের ওপরে ডট আসে তখন তা সেল সিগন্যাল বোঝায়।






ট্রেন্ডিং মার্কেটে এই ইন্ডিকেটরটি অনেক ভাল কাজ করবে। কিন্তু মার্কেট যখন
সাইডওয়ে ট্রেন্ডে থাকে, তখন আপনি ভাল ফল পাবেন না।
কিভাবে Parabolic Sar এর সাহায্যে ট্রেড ক্লোজ করবেনঃ
কখন আপনার ট্রেড ক্লোজ করা উচিত তা আপনি Parabolic Sar এর সাহায্যে বুঝতে পারেন। নিচের EURUSD
চার্টে দেখুন Parabolic Sar exit সিগন্যাল হিসেবে কাজ করেছে ডেইলি চার্টে।





৩ টি ডট দেখলেই আপনি আপনার পূর্বের ট্রেড ক্লোজ করে নতুন ট্রেন্ডের দিকে নতুন ট্রেড ওপেন
করতে পারেন।

রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৪


মার্কেট ভোলাটিলিটি অনুধাবন করার জন্য Bollinger Bands ইন্ডিকেটরটি ব্যবহার করা হয়।
এই ছোট টুলসটি আমাদের বলে দিবে যে মার্কেট কি এখন শান্ত না অশান্ত। যখন মার্কেট শান্ত
থাকে তখন ব্যান্ড ২টি সংকুচিত হয়ে যায়, আর যখন মার্কেট অশান্ত থাকে তখন ব্যান্ড ২টি প্রশস্ত
হয়ে যায়।
নিচের চার্টটি দেখুন। যখন মার্কেট শান্ত ছিল, তখন ব্যান্ড ২টি কাছাকাছি ছিল। কিন্তু যখন প্রাইস খুব
দ্রুত বেড়ে গেছে অর্থাৎ মার্কেট অশান্ত হয়ে গেছে, তখন ব্যান্ড ২টি দূরে সরে গেছে।









Bollinger Bounce:
Bollinger Bands সম্পর্কে একটি ব্যাপার আপনার জেনে রাখা দরকার যে প্রাইস অধিকাংশ সময় ব্যান্ডের
মাঝখানে ফিরে আসে। এটাই হল Bollinger Bounce এর আসল আইডিয়া। নিচের
চার্টটি দেখে কি আপনি বলতে পারেন যে প্রাইস পরবর্তীতে কোথায় যেতে পারে?









এখন আপনি যদি বলে থাকেন যে দাম কমবে তাহলে আপনার উত্তর সঠিক। নিচের
চার্টে আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে প্রাইস কমে গেছে এবং প্রাইস ব্যান্ড ২টির
মাঝখানে চলে এসেছে।




আপনি এখন যেটা দেখলেন সেটা হল Bollinger Bounce. এরকম বাউন্স হবার কারন হল Bollinger bands এর ব্যান্ড
২টি ডাইনামিক সাপোর্ট এবং রেসিসট্যান্স লেভেল হিসেবে কাজ করে।
আপনি যত বড় টাইমফ্রেম ব্যবহার করবেন, ব্যান্ডগুলো তত শক্তিশালি হবে। মার্কেট যখন একটি নির্দিষ্ট
রেঞ্জের মধ্যে ঘোরাফেরা করে এবং কোন নির্দিষ্ট ট্রেন্ড থাকে না, তখন এই স্ট্রাটেজীটি ভাল
কাজ করে।
Bollinger Squeeze:
যখন ব্যান্ড ২টি খুব বেশি সংকুচিত হয়ে যায় তখন এটি সাধারনত নির্দেশ করে যে সম্ভবত ব্রেকআউট
হতে যাচ্ছে।




যদি ক্যানডেল ওপরের ব্যান্ডটিকে ব্রেক করে ওপরে উঠে যায় তবে সাধারনত প্রাইস আরও
ওপরে উঠতে থাকে অর্থাৎ প্রাইস বাড়তে থাকে। আর যদি ক্যানডেল নিচের ব্যান্ডটিকে ব্রেক
করে নিচে নামতে থাকে, তাহলে প্রাইস আরও নিচে নামতে থাকে অর্থাৎ প্রাইস কমতে থাকে।
ওপরের চার্টটি দেখুন। ব্যান্ড ২টি সংকুচিত হয়ে আসছে। প্রাইস ওপরের ব্যান্ডটি ব্রেক
করে ওপরে উঠে যাচ্ছে। এই চার্টের ওপর ভিত্তি করে আপনি কি মনে করেন প্রাইস
কি বাড়বে না কমবে?







আপনি যদি বলে থাকেন যে প্রাইস বাড়বে তাহলে আপনি সঠিক। এভাবেই সাধারন Bollinger Squeeze




কাজ করে।
এরকম ট্রেডের সুযোগ আপনি প্রতিদিন পাবেন না। কিন্তু ১৫ মিনিটের
চার্টে আপনি সপ্তাহে কয়েকবার এরকম ট্রেডের সুযোগ পেতে পারেন।
Bollinger bands দিয়ে বিভিন্ন ভাবে ট্রেড করা যায়। কিন্তু এই ২টি হল Bollinger Bands দিয়ে ট্রেড করার
সবচেয়ে সহজ এবং সাধারণ ট্রেডিং স্ট্রাটেজী।

রবিবার, ৪ নভেম্বর, ২০১২

ইন্ডিকেটর

ইন্ডিকেটর কি?

ইন্ডিকেটর এক ধরনের নির্দেশক, যা আপনাকে প্রাইস বাড়বে কি কমবে নির্দেশ করে। যদি আপনার অজানা থাকে যে প্রাইস কি বাড়তে পারে কিংবা কমতে পারে, তবে ইন্ডিকেটর আপনাকে সে ক্ষেত্রে সাহায্য করবে। এটা বিভিন্ন সিগন্যাল দেখায় যার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে পরবর্তীতে প্রাইস বাড়বে না কমবে এবং সে অনুসারে ট্রেড করতে পারেন। এছাড়া অনেক ইন্ডিকেটর মার্কেট ট্রেন্ড বুঝতেও আপনাকে সাহায্য করবে।
মনে রাখবেন ইন্ডিকেটর কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট ফর্মুলা দিয়ে কাজ করে। তাই আপনি যে সব সময় সঠিক সিগন্যাল পাবেন তা নয়। অনেক সময় ভুল সিগন্যাল আসতে পারে। আবার ফান্ডামেন্টাল নিউজের কারনে ইন্ডিকেটরের সিগন্যাল অনেক সময় কাজ করবে না। তাই অন্ধভাবে ইন্ডিকেটর অনুসরন না করে নিজের অ্যানালাইসিসকে এর সাথে কাজে লাগিয়ে ট্রেড করুন।
অনেক ইন্ডিকেটর রয়েছে। মেটাট্রেডারে ডিফল্টভাবে কিছু ইন্ডিকেটর দেয়া থাকে। যেমনঃ Bollinger Bands, Moving Average, parabolic Sar ইত্যাদি। এছাড়াও অনলাইনে হাজার হাজার ইন্ডিকেটর ফ্রি পাওয়া যায়। আপনি সেগুলো মেটাট্রেডারে যোগ করে নিতে পারবেন। গুগলে Forex indicator লিখে সার্চ করলেই অনেক ইন্ডিকেটর পাবেন। এছাড়া বিডিপিপসের "ফরেক্স ইন্ডিকেটর" সেকশনে অনেক ইন্ডিকেটর রয়েছে। যেকোনো ইন্ডিকেটর প্রথমে ডেমোতে টেস্ট করে দেখুন। ফলাফল ভাল লাগলে তারপর রিয়েল ট্রেডে ব্যবহার করুন।


ফরেক্সে প্রফিট করার অনেক উপায় রয়েছে। আর আপনি যখন ইন্ডিকেটর নিয়ে কাজ করবেন, এরা আপনার ট্রেডিং টুলবক্সে একেকটি ভিন্ন ভিন্ন টুলস হিসেবে কাজ করবে। আপনার হয়তো ইন্ডিকেটর ব্যবহার করার প্রয়োজন নাও থাকতে পারে, কারন হয়ত আপনি নিজেই অনেক ভাল মার্কেট অ্যানালাইসিস করতে পারেন অথবা আপনার আগে থেকেই পছন্দের ইন্ডিকেটর রয়েছে। কিন্তু নতুন নতুন টুলস আপনার ট্রেডিংকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং আপনি আরও ভালভাবে অ্যানালাইসিস করতে সক্ষম হবেন। কিন্তু খুব বেশি ইন্ডিকেটর ব্যবহার না করাই ভাল। ভিন্ন ভিন্ন ইন্ডিকেটর হয়তো আপনাকে আরও দ্বিধাগ্রস্থ করে তুলবে।


আমরা এখানে যেসব ইন্ডিকেটর নিয়ে আলোচনা করব তা হলঃ

Bollinger Bands
Moving Average
RSI
ADX
Parabolic Sar
Stochastic

আরও অনেক ইন্ডিকেটর রয়েছে। ভবিষ্যতে বিডিপিপস ফরেক্স স্কুলে আর নতুন নতুন ইন্ডিকেটর যুক্ত করা হবে।

শুধুমাত্র একটি ইন্ডিকেটর কখনো অন্ধভাবে অনুসরণ করবেন না। কমপক্ষে ২-৩ টি ইন্ডিকেটর দেখে অ্যানালাইসিস করে ট্রেডের প্রস্তুতি নিন। ইন্ডিকেটর অনেক সময় ভুল সিগন্যাল দেয়।
facebook এ লাইক করুন এই পেজ টি Friends And Company
যেকোন সোময় account খুলতে এখানে ক্লিক করুন
প্রতিটি রিয়াল অ্যাকাউন্ট এর জন্য Frinds And Company আপনাদের দিচ্ছে আতিরিক্ত ৩০ ডলার gift.
আপনার Gift পেতে অ্যাকাউন্ট খোলার আগে যোগাযোগ করুন ফোন অথবা Skype তে ।
ফোন করুন এই নম্বরে +৮৮০১৯১৮-৭১৭৩৮৭
Skype তে অ্যাড করুন tushar.jee

শনিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১২

পিভট পয়েন্ট

পিভট পয়েন্ট কি?


বাই-সেল সিগন্যাল নির্ধারণ করার জন্য পিভট পয়েন্ট ফরেক্সে অনেক জনপ্রিয় একটি মেথড। রিভার্সাল পয়েন্ট (যেখানে গিয়ে প্রাইস বিপরীত দিকে ফিরে আসে) চিহ্নিত করার জন্য ট্রেডাররা পিভট পয়েন্ট ব্যাপকভাবে ব্যবহার করে।

পিভট পয়েন্টে চার্টটিকে কয়েকটি সেকশনে ভাগ করা হয়। মাঝের পয়েন্টটি হল পিভট পয়েন্ট (PP)। পিভট পয়েন্টের ওপরে প্রাইস থাকলে মার্কেট বুল্লিশ (মার্কেটের গতিবিধি ঊর্ধ্বমুখী) এবং পিভট পয়েন্টের নিচে প্রাইস থাকলে মার্কেট বিয়ারিশ (মার্কেটের গতিবিধি নিম্নমুখী)। R1, R2 এবং R3 হল রেসিসট্যান্স লেভেল এবং পিভট পয়েন্টের (PP) অপরে থাকে। S1, S2 এবং S3 হল সাপোর্ট লেভেল এবং পিভট পয়েন্টের (PP) নিচে থাকে।


এখানে,

      PP = Pivot point (পিভট পয়েন্ট)
      S = Support (সাপোর্ট)
      R = Resistance (রেসিসট্যান্স)

কিভাবে পিভট পয়েন্ট হিসাব করা হয়ঃ



পিভট পয়েন্টের ক্ষেত্রেঃ


High = গতকাল প্রাইস সর্বোচ্চ যে প্রাইসে গিয়েছে
Low = গতকাল প্রাইস সর্বনিম্ন যে প্রাইসে গিয়েছে
Close = গতকাল মার্কেট যে প্রাইসে ক্লোজ হয়েছে

ক্যালকুলেশনঃ

R3 = High + 2 x (PP – Low)
R2 = PP + (High – Low) = PP + (R1 – S1)
R1 = (PP x 2) – Low
PP = (High + Low + Close) / 3
S1 = (PP x 2) – High
S2 = PP – (High – Low) = PP – (R1 – S1)
S3 = Low – 2 x (High – PP)




আপনি এখন কষ্ট করে High, low এবং close বের করে পিভট পয়েন্ট বের করতে পারেন। অথবা পিভট পয়েন্ট ক্যালকুলেটরের মাধ্যমে High, low এবং close সহজেই ডাটাগুলো বের করে নিতে পারেন। এছাড়া কিছু পিভট ইন্ডিকেটর রয়েছে, যেগুলো আপনার চার্টেই পিভট পয়েন্ট দেখিয়ে দেবে। এজন্য ইন্ডিকেটর বিভাগটি দেখুন।





কিভাবে পিভট পয়েন্ট ব্যবহার করে ট্রেড করবেনঃ


ব্রেকআউট ট্রেডিং

ব্রেকআউট হলে আপনি যেভাবে ট্রেড করেন, এখানেও তা ঠিক সেভাবেই কাজ করবে। প্রাইস যদি পিভট লাইনকে ক্রস করে এবং সেদিকে ক্লোজ হয়, তবে সাধারনত প্রাইস সেদিকেই যেতে থাকে। নিচের চার্টটি দেখুনঃ



সবুজ জায়গাটি বোঝাচ্ছে যে প্রাইস প্রথমে পিভট পয়েন্টের নিচে ছিল এবং সবুজ জায়গা থেকে পিভট লাইন অতিক্রম করে ওপরের দিকে উঠেছে।

যখন পিভট লাইন ভেঙ্গে যায়, তার মানে হল যে প্রাইস এখন সেদিকে যেতে শুরু করবে। ব্রেকআউট ট্রেড করার উপায় হল, ব্রেক হবার পরেই সেই দিকে ট্রেড ওপেন করা। আপনি যখন ট্রেড ওপেন করবেন, তখন আপনি ব্রোকেন লাইনের ঠিক বিপরীতে স্টপ লস সেট করবেন এবং টেক প্রফিট হবে পরবর্তী লাইন।


ওপরের চার্টটি দেখুন। ট্রেড ওপেন করা হয়েছিল ২.০৫৫০ (সবুজ লাইন) প্রাইসে। স্টপ লস সেট করতে হবে ১.০৫৩৫ এ পিভট পয়েন্টের (লাল লাইন) নিচে। আপনার টেক প্রফিট হবে ১.০৫৯৪ এর R1 এর আশেপাশে।

এই ট্রেডটি মাত্র ৪০ পিপসের ছিল। খুব বেশী উত্তেজিত হবার কোন কারন নেই। কারন এগুলো সবসময় কাজ করে না। টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের অন্য কোন কিছুর সাথে আপনি এটাকে কাজে লাগিয়ে আপনি আরেকটু নিশ্চিত হতে পারনে যে আপনি ভুল ট্রেড করতে যাচ্ছেন না।

রেঞ্জ বাউন্ড ট্রেডিং

রেঞ্জ বাউন্ড ট্রেডিং হল যখন প্রাইস ২টি পিভট পয়েন্টের মধ্যে আঁটকে থাকে, অর্থাৎ ২টি লাইনের মধ্যেই বারবার ঘুরতে থাকে। নিচের চার্টটি দেখুনঃ



যতবার প্রাইস পিভট পয়েন্টকে হিট করে, কিন্তু ব্রেক না করে ফিরে যায়, পিভট পয়েন্ট তত শক্তিশালী হয়। যদি প্রাইস দিনে কোন পিভট পয়েন্টকে ৫ বার হিট করে, কিন্তু ব্রেক না করে, তবে বুঝতে হবে পিভট পয়েন্টটি অনেক শক্তিশালী। কিন্তু প্রাইস যদি পিভট পয়েন্টকে ১ বার হিত করে, তবে রেঞ্জ বাউন্ড ট্রেডিং ট্রেডিং করার জন্য আপনি আরও ১ বার ঐ পিভট পয়েন্ট হিট করার জন্য অপেক্ষা করতে পারেন।

আপনি যদি কোন চার্ট দেখতে থাকেন এবং দেখেন যে প্রাইস কমপক্ষে ২ বার পিভট পয়েন্টকে হিট করেছে কিন্তু ব্রেক না করে বিপরীত দিকে ফিরে গেছে, তাহলে আপনি রেঞ্জ বাউন্ড ট্রেডিং করার কথা ভাবতে পারেন।
facebook এ লাইক করুন এই পেজ টি Friends And Company
যেকোন সোময় account খুলতে এখানে ক্লিক করুন
প্রতিটি রিয়াল অ্যাকাউন্ট এর জন্য Frinds And Company আপনাদের দিচ্ছে আতিরিক্ত ৩০ ডলার gift.
আপনার Gift পেতে অ্যাকাউন্ট খোলার আগে যোগাযোগ করুন ফোন অথবা Skype তে ।
ফোন করুন এই নম্বরে +৮৮০১৯১৮-৭১৭৩৮৭
Skype তে অ্যাড করুন tushar.jee

চ্যানেল

আমরা এখানে চ্যানেল আই, বিটিভি কিংবা কার্টুন নেটওয়ার্ক চ্যানেল নিয়ে আলোচনা করব না। আমরা যদি ট্রেন্ড লাইন থিওরিকে আর এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাই এবং আপট্রেন্ড বা ডাউনট্রেন্ড লাইনের সাথে একই দিকে সমান্তরাল ভাবে আরেকটি লাইন আঁকি, তবে একটি চ্যানেল তৈরি হবে।

চ্যানেল হল টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের আরেকটি টুলস যা বাই বা সেল করার জন্য ভাল প্রাইস নির্ধারণ করতে আমাদের সাহায্য করে।

ঊর্ধ্বমুখী চ্যানেল আঁকার জন্য আপট্রেন্ড লাইনের সমান্তরালে একটি লাইন আঁকতে হবে এবং তা সাম্প্রতিক বটম পয়েন্টগুলোর সাথে কানেক্ট করতে হবে। ট্রেন্ড লাইন আঁকার সময়ই এই লাইনটি আঁকতে হবে।

নিম্নমুখী চ্যানেল আঁকার জন্য ডাউনট্রেন্ড লাইনের সমান্তরালে একটি লাইন আঁকতে হবে এবং তা সাম্প্রতিক টপ পয়েন্টগুলোর সাথে কানেক্ট করতে হবে। ট্রেন্ড লাইন আঁকার সময়ই এই লাইনটি আঁকতে হবে।

যখন প্রাইস নিচের ট্রেন্ড লাইনকে হিট করবে, তখন আপনি বাই করতে পারেন। আর যদি প্রাইস ওপরের ট্রেন্ড লাইনকে হিট করে তবে আপনি সেল করতে পারেন।

চ্যানেল ৩ প্রকারঃ

ঊর্ধ্বমুখী চ্যানেল (higher highs and higher lows)
নিম্নমুখী চ্যানেল (lower highers and lower lows)
সমান্তরাল বা সাইডওয়ে চ্যানেল (ranging)



চ্যানেল সম্পর্কে কিছু জরুরি তথ্যঃ

চ্যানেল আঁকার সময়, দুটি ট্রেন্ড লাইনই সমান্তরাল হতে হবে।
চ্যানেলের নিচের অংশটি বাই জোন এবং ওপরের অংশটি সেল জোন হিসেবে বিবেচিত হয়।
ট্রেন্ড লাইন আঁকার মত চ্যানেল আঁকার সময়েও জোর করে চ্যানেল আঁকার চেষ্টা করবেন না। তাহলে তা ভুল ট্রেডের নির্দেশনা দিতে পারে।


facebook এ লাইক করুন এই পেজ টি Friends And Company
যেকোন সোময় account খুলতে এখানে ক্লিক করুন
প্রতিটি রিয়াল অ্যাকাউন্ট এর জন্য Frinds And Company আপনাদের দিচ্ছে আতিরিক্ত ৩০ ডলার gift.
আপনার Gift পেতে অ্যাকাউন্ট খোলার আগে যোগাযোগ করুন ফোন অথবা Skype তে ।
ফোন করুন এই নম্বরে +৮৮০১৯১৮-৭১৭৩৮৭
Skype তে অ্যাড করুন tushar.jee



শুক্রবার, ২ নভেম্বর, ২০১২

ট্রেন্ড লাইন

টেকনিক্যাল অ্যানালাইসিসের সবচেয়ে প্রচলিত এবং জনপ্রিয় একটি টুলস হল ট্রেন্ড লাইন। ট্রেন্ড লাইন সহজেই বোঝা যায়। ট্রেন্ড লাইন যদি সঠিকভাবে আকা যায় তবে তা অন্য যেকোনো মেথড থেকে ভাল ফলাফল দেয়। কিন্তু অধিকাংশ ট্রেডার সঠিকভাবে ট্রেন্ড লাইন আঁকতে পারে না এবং জোর করে ট্রেন্ড লাইন আকে জার ফলে তা কার্যকর হয় না।

ট্রেন্ড লাইন আঁকার জন্য মেটা ট্রেডার এর টুলস থেকে ট্রেন্ড লাইন টুল দিয়ে লাইন টানতে হয়।

লো পয়েন্টগুলো একটি ট্রেন্ড লাইনের মাধ্যমে কানেক্ট করতে হয় এবং হাই পয়েন্টগুলো একটি ট্রেন্ড লাইনের মাধ্যমে কানেক্ট করতে হয়।

যদি কোন ক্যানডেল ট্রেন্ড লাইন ক্রস করে ওপরে বা নিচে চলে যায়, তখন বুঝতে হবে ট্রেন্ড লাইন ব্রেক হয়েছে।

নিচের চার্টটি ফলো করুনঃ

ট্রেন্ড ৩ রকমঃ
আপট্রেন্ড (higher lows)
ডাউনট্রেন্ড (lower high)
সাইডওয়ে ট্রেন্ড (ranging)

আপট্রেন্ডে মার্কেট ঊর্ধ্বমুখী থাকে। তাই আপনি বাই করতে পারবেন। ডাউনট্রেন্ডে মার্কেট নিম্নমুখী থাকে। তাই আপনি সেল করতে পারবেন। সাইডওয়ে ট্রেন্ডে মার্কেট একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে ঘুরতে থাকে। তাই সাইডওয়ে ট্রেন্ডে ট্রেড না করাই ভাল।



ট্রেন্ড লাইন সম্পর্কে কিছু জরুরি তথ্যঃ


অন্তত ২টি টপ (top) অথবা বটম (bottom) পয়েন্ট সংযুক্ত করে ট্রেন্ড লাইন আঁকতে হয়। তবে ৩টি পয়েন্ট হলে ট্রেন্ড লাইন কনফার্ম হয়।
সাপোর্ট এবং রেসিসট্যান্স লাইনের মত যতই প্রাইস ট্রেন্ড লাইনগুলোকে টেস্ট করবে, ট্রেন্ড লাইনগুলো তত শক্তিশালী হবে।
জোর করে ট্রেন্ড লাইন আঁকার চেষ্টা করবেন না যদি। সেক্ষেত্রে তা ভ্যালিড ট্রেন্ড লাইন হবে না।

facebook এ লাইক করুন এই পেজ টি Friends And Company
যেকোন সোময় account খুলতে এখানে ক্লিক করুন
প্রতিটি রিয়াল অ্যাকাউন্ট এর জন্য Frinds And Company আপনাদের দিচ্ছে আতিরিক্ত ৩০ ডলার gift.
আপনার Gift পেতে অ্যাকাউন্ট খোলার আগে যোগাযোগ করুন ফোন অথবা Skype তে ।
ফোন করুন এই নম্বরে +৮৮০১৯১৮-৭১৭৩৮৭
Skype তে অ্যাড করুন  tushar.jee